মাইকেল শুমাখারকে নিয়ে তথ্যচিত্র আসতে চলেছে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে

মাইকেল শুমাখার

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: মাইকেল শুমাখার-কে মনে আছে নিশ্চই। এক কথায় গতির জাদুকর। তিনি যখন চালকের আসনে বসতেন তখন হাওয়ার সঙ্গে কথা বলত গাড়ি। সেই শুমাখারের গতি অনেকদিন আগেই স্তব্ধ হয়েছে। একটি দুর্ঘটনা পুরো জীবনটাই বদলে দিয়েছে তাঁর। জীবন আছে কিন্তু গতি উধাও। সেই মাইকেল শুমাখারকে নিয়ে তথ্যচিত্র এবার আসতে চলেছে নেটফ্লিক্সে। ১৫ সেপ্টেম্বর এই তথ্যচিত্রের মুক্তির কথা ঘোষণা করেছে নেটফ্লিক্স। ইতিমধ্যেই সেই ডকুমেন্টারির ট্রেলার চলে এসেছে সামনে। এই তথ্যচিত্রে শুমাখারের জীবন তাঁর পরিবারের পাশাপাশি দেখা য়াবে ৪ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন এবং বর্তমান অ্যাস্টন মার্টিনের লিড ড্রাইভার সেবাস্টিয়ান ভেটেল।

যদিও তিনিও জড়িয়ে রয়েছে শুমাখারের জীবনের সঙ্গে। তাঁকে চ্যাম্পিয়ন করে তোলার পিছনে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন শুমাখার। সেবাস্টিয়ানের মেন্টর ছিলেন শুমাখার। এই তথ্যচিত্রে এমন অনেক কিছু উঠে আসতে চলেছে যা বহির্জগত এর আগে দেখেনি। এর মধ্যে থাকছে শুমাখারের সেই সাক্ষাৎকার যা আগে কখনও দেখানো হয়নি। এখানে দেখা যাবে শুমাখারের বাবার ভিডিও ফুটেজও। দেখা যাবে কী ভাবে বিশ্ব বিখ্যাত ফর্মূলা ওয়ান ড্রাইভার হয়ে উঠলেন তিনি।

প্রথমবার কেউ ৭ বার এফ-ওয়ান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে রেকর্ড করেছিলেন। এখানে দেখা যাবে কোথা থেকে উঠে এসে তিনি এই খেলায় বিশ্ব জয় করলেন। ডকুমেন্টারির নাম ‘শুমাখার’। এখানে সেই শুমাখারকে দেখা যাবে যিনি নিজের সাফল্যকে তাঁর জীবনের নিয়মানুবর্তিতা দিয়ে কী ভাবে তুলে এনেছিলেন। কীভাবে ক্রমশ ফর্মূলা ওয়ান ট্র্যাকে প্রতিপক্ষের ত্রাস হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু কখনও স্পট লাইটে থাকতে পছন্দ করতেন না। ফর্মূলা ওয়ানের বাইরে খুব সাধারণ জীবন কাটাতেন পরিবারের সঙ্গে।

এখানে উঠে আসবে কী ভাবা তিনি নিজের সঙ্গেই নিজের প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ওঠার জন্য লড়াই চালিয়ে যেতেন। পিছিয়ে পড়ে আবার ঘুরে দাঁড়াতেন। শুধু শেষবারটাই হল না। এখানে উঠে আসবে তাঁর পরিবারে তাঁর সঙ্গে থাকা স্ত্রী ও দুই সন্তানও। ছেলে মাইক শুমাখার ইতিমধ্যেই বাবার পথে হেঁট ২০২১-এ ফর্মূলা ওয়ানে অভিষেক ঘটিয়ে ফেলেছেন হাসের সঙ্গে। ট্রেলারে দেখা যাচ্ছে মাইক বলছেন, তিনি সব সময় তাঁর বাবার মতো হতে চেয়েছিলেন। ভেটেলের জন্য তিনি হিরো। এই মুহূর্তে ভেটেল এবং মাইকের সম্পর্ক অনেক বেশি গভীর হয়ে উঠেছে।

২০১৩-তে স্কি করতে গিয়ে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার শিকার হন মাইকেল শুমাখার। তার পর থেকে তিনি সজ্জাশায়ী। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর তিনি প্রাণে বেঁচে গিয়েছে ঠিকই কিন্তু হারিয়ে ফেলেছেন সব শক্তি। তাই শুধু তাঁর কাছের মানুষরাই তাঁর কাছে যেতে পারেন। রয়েছেন সুইৎজারল্যান্ডে তাঁর নিজের বাড়িতে। সেখানে তিনি টিভিতে এফ-ওয়ান রেসও দেখেছেন বলে তাঁর ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন। গত বছর ২০২০-তে শুমাখারের ৭ বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রেকর্ড স্পর্শ করেছেন লুইস হ্যামিল্টন। সেই খবর নিশ্চই পৌঁছেছে তাঁর কাছে। এখন শুধু ডকুমেন্টারির অপেক্ষা। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই তথ্যচিত্র তাঁদের তরফে শুমাখারের জন্য উপহার।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)