জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: লিভ-ইন পার্টনারের সঙ্গে সম্পর্কের পতন ঘটেছিল, বলছেন পল্লবী ঘনিষ্ঠরা (Pallavi Dey Death)। যদিও একই বাড়িতে থাকতেন দু’জনে। এক এক দিক থেকে এক এক রকম তথ্য উঠে আসছে। পল্লবীর পরিবারের তরফে অভিযোগ খুন করা হয়েছে পল্লবীকে। আর তার নেপথ্যে রয়েছেন সাগ্নিকই। পল্লবীর মৃত্যুতে অভিযোগের কেন্দ্রে রয়েছেন বয়ফ্রেন্ড সাগ্নিক। প্রাথমিকভাবে শোনা যাচ্ছিল সাগ্নিক বিবাহিত ছিলেন তা পড়ে জানতে পেরেছিলেন পল্লবী। আবার অন্যদিক থেকে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে পল্লবী নাকি জানতেন কারণ সেই বিয়েছে সাক্ষী হিসেবে সই করেছিলেন তিনি। সব মিলে পুরোটাই এখনও ধোঁয়াশা।
তবে পল্লবীর মৃত্যুর একদিনের মধ্যেই বেশ কিছু নতুন তথ্য উঠে আসছে। তার মধ্যে যেটা সব থেকে বেশি তদন্তকারীদের ভাবাচ্ছে তা হল নিউটাউনে সাগ্নিকের ৮০ লাখ টাকার ফ্ল্যাট। জানা যাচ্ছে পল্লবীর থেকে টাকা নিয়েই এই ফ্ল্যাট কেনা হয়েছিল। এবং সেই ফ্ল্যাটের মালিকানায় রয়েছে সাগ্নিক ও তাঁর বাবার নাম। প্রশ্ন উঠছে, যদি পল্লবীই বেশিরভাগ টাকা দিয়ে থাকে তাহলে তাতে তাঁর মালিকানা কেন নেই?
এদিকে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, সাগ্নিকের পেশা নিয়েও। বার বার তাঁর বলেছেন, অন লাইনে কাজ করেন ছেলে। কিন্তু কী কাজ করেন তা খোলসা হয়নি এখনও। জানা যাচ্ছে পল্লবীর টাকাতেই বিলাসিতা করতেন সাগ্নিক। ফ্ল্যাটের পাশাপাশি এই তথ্যও জানা গিয়েছে, সাগ্নিক আর পল্লবীর জয়েন্ট ফিক্সড ডিপোজিটের মূল্য ১৫ লাখ টাকা। এর থেকে একটা জিনিস স্পষ্ট, প্রাথমিকভাবে সাগ্নিক যে পুলিশের কাছে দাবি করেছিলেন, পল্লবী টাকার অভাব নিয়ে চিন্তায় ছিলেন বা আর কোনও নতুন কাজ না থাকায় সব ইএমআই কী করে দেবেন সেটা নিয়েই হতাশ ছিলেন, তাহলে সেটা সর্বতই মিথ্যে।
যে অডি গাড়ির ছবি পল্লবীর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে দেখা যাচ্ছে, সেটা যদি তাঁর হয় তাহলে সেই গাড়ি কেনারও ক্ষমতা ছিল পল্লবীর। এই তথ্যও উঠে আসছে পল্লবীর টাকায় গাড়িও কিনেছিলেন সাগ্নিক। দু’জনের একসঙ্গে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পল্লবীর সব টাকাই সাগ্নিক জানতেন বা সাগ্নিকের সঙ্গে যৌথভাবে ছিল। এক পক্ষের দাবি, সেই সব টাকা হাতাতেই পল্লবীকে খুন করা হয়েছে। ময়না তদন্তের প্রথম রিপোর্টে যদিও পল্লবীর মৃত্যুকে আত্মহত্যাই বলা হচ্ছে। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলা করতে পারে পল্লবীর পরিবার।
‘মন মানে না’ ধারাবাহিক খ্যাত অভিনেত্রী পল্লবী দে-কে রবিবার তাঁর গড়ফার ফ্ল্যাট থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাঁকে সেই অবস্থায় প্রথম দেখেন তাঁরই লিভ-ইন পার্টনার সাগ্নিক। অন্যদিকে, পল্লবীকে যাঁরা চেনেন তাঁরা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন। তাঁদের দাবি, পল্লবী খুবই দৃঢ়চেতা মেয়ে ছিল। তবে আসল সত্য কী, তার খোলসা হোক সেটাই এখন সকলে চাইছেন।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক)