জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: সম্প্রতি এমন ঘটনা বার বার শোনা যাচ্ছে। কিন্তু তা বন্ধ হওয়ার কোনও নাম নেই। এবার তাজপুরে Poisonous Crab খেয়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। গত কয়েকমাসে দীঘা-সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সমুদ্র সৈকতে এমন ঘটনা ঘটেছে পর্যটকদের সঙ্গে। সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে গিয়ে বিচে বসা দোকান থেকে মাছ ভাজা কিনে খাওয়াটা খুব স্বাভাবিক ঘটনা। বছরের পর বছর ধরে এমনটাই হয়ে আসছে। কিন্তু অতীতে চিংড়ি বা কাঁকড়া বা অন্য কোনও সামুদ্রিক মাছ খেয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। তাহলে কেন সম্প্রতি এমন ঘটনা ঘটছে তা নিয়ে ভাবার সময় এসেছে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কাঁকড়া খেয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এবারও তেমনটাই হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সোদপুরের শুখচর এলাকার বাসিন্দা ৬২ বছরের সুদীপ মুখোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে শনিবার সপরিবারে দীঘা বেড়াতে গিয়েছিলেন সুদীপ। সেখান থেকে রবিবার তাজপুরে যান তাঁরা। সেখানেই দুপুরের খাওয়া-দাওয়া সেরে সমুদ্রে স্নান করতে নামেন। দুপুরেই ভাতের সঙ্গে কাঁকড়া খেয়েছিলেন তিনি।
এদিকে জানা যায়নি পরিবারের বাকিরা সেই কাঁকড়া খেয়েছিলেন কিনা। যদি খেয়ে থাকেন তাহলে তাঁদের কিছু না হয়ে থাকলে সুদীপবাবুরই অ্যালার্জির সমস্যা ছিল ধরে নিতে হবে। স্নান করতে করতেই অসুস্থ বোধ করেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে দীঘা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসা করার সুযোগ পাওয়া যায়নি। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশ খবর পেয়ে ব্যক্তির দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে সঙ্গে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত নভেম্বরে দীঘায় কাঁকড়া খেয়ে মৃত্যু হয়েছিল বেহালার সৌম্যদীপ শিকদারের। তাঁর একমাস পরেই একইভাবে কাঁকড়া খেয়ে মৃত্যু হয় বীরভূমের তরুণীরও। বার বার প্রতিটি মৃত্যুই হয়েছে সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে গিয়ে কাঁকড়া খেয়ে।
অনেকেরই কাঁকড়া, চিংড়ি যাতীয় সমুদ্রের মাছে অ্যালার্জি থাকে। যাঁদের অ্যালার্জি থাকে তাঁরা সেব্যাপারে স্বাভাবিকবাবেই ওয়াকিবহাল থাকেন। এবং সেই জিনিস খান না। তাহলে কেন বার বার একইভাবে কাঁকড়া খেয়ে পর্যটকদের মৃত্যু হচ্ছে? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। গত কয়েকমাসে এই নিয়ে তৃতীয় মৃত্যুর ঘটনা ঘটল দীঘা ও সংলগ্ন এলাকায়। এবং সব কিছুর পিছনেই রয়েছে কাঁকড়া।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আপাতত কাঁকড়া বিক্রি সরকারীভাবে বন্ধ করা উচিত। যতদিন না পরীক্ষা-নিরিক্ষার পর কাঁকড়াকে নিরাপদ নিশ্চিত করা হচ্ছে। এই কাঁকড়াতে কোথাও সমস্যা হচ্ছে। আর যাঁরা পর্যটক তাঁদেরও আর একটু সচেতন হতে হবে। যখন বার বার এমন ঘটনা ঘটছে তখন সমুদ্রের পাড়ে গিয়ে নাই বা খেলেন কাঁকড়া। আনন্দ করতে গিয়ে এভাবে পরিবারের একজন হারিয়ে ফেরাটা সত্যিই কষ্টের। এই নিয়ে এখনই ব্যবস্থা নেওয়ার সময় এসেছে প্রশাসনের।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক)