জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: Pori Moni ফের অভিযুক্ত। অভিযোগ, তিনি নিজেরই অশ্লীল ছবি ও ভিডিও তুলেছেন। সেগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে নিজের অশ্লীল ছবি ও ভিডিও সরানোর জন্য আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে ঢালিউডের আলোচিত তারকা শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমনিকে। সোমবার যৌথ ভাবে তাঁর ঠিকানায় ওই নোটিস পাঠিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার এবং ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী ইসমাতুল্লাহ লাকি তালুকদার।
ওই নোটিসে লেখা হয়েছে, ৩০ দিনের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত পরীমনির সব ধরনের অশ্লীল ছবি ও ভিডিও সরিয়ে নেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি ভবিষ্যতে সব ধরনের অশ্লীল সংলাপ, অভিনয়, অঙ্গভঙ্গি, নগ্ন বা অর্ধনগ্ন নৃত্য; যা চলচ্চিত্র, ভিডিও চিত্র, অডিও ভিজ্যুয়াল চিত্র, স্থিরচিত্র, গ্রাফিকস বা অন্য কোনো উপায়ে ধারণ করা ও প্রদর্শনযোগ্য এবং যার কোনো শৈল্পিক বা শিক্ষাগত মূল্য নেই, এসব করা থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকার জন্য আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে।
এ দিন রেজিস্ট্রি ডাকযোগে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বিএফডিসির ঠিকানায় পরীমনিকে এ নোটিস দিয়েছে অ্যাডভোকেট হাসান অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস। সেখানে আরও বলা হয়েছে, গত ২৪ অক্টোবর ঢাকার রেডিসন ব্লু হোটেলে ৩০তম জন্মদিনে অশালীন পোশাকে তিনি যে অঙ্গভঙ্গি করেছেন, তারও উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, পরীমনির সেই পার্টির ভিডিওতে নারীরাই বেশি ‘নেতিবাচক’ মন্তব্য করেছেন।
নোটিস প্রসঙ্গে জানতে পরীমনির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়েছেন, এখনও নোটিস হাতে পাননি। পাওয়ার পর এ নিয়ে কথা বলতে পারবেন। তিনি আরও জানান, এর আগে আদালত থেকে তাঁকে যখন বলা হয়েছিল, তখন ১ ঘণ্টার মধ্যে ছবিগুলো সরিয়ে ফেলেছিলেন। এখন যে ভিডিওর কথা বলা হয়েছে, সেগুলো তিনি শেয়ার করিনি। বরং তাঁর ব্যক্তিগত ভিডিও অন্য কেউ ফেসবুকে দিয়েছে। নোটিস হাতে না পেলেও তিনি বিভিন্ন জায়গা থেকে খবরটি পেয়েছেন। সে সব দেখে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
নোটিসে আরও বলা হয়েছে, ২০১২ সালের পর্নোগ্রাফি আইনের ২ নং ধারার ‘গ’ উপধারা অনুযায়ী— যৌন উত্তেজক কোনও অশ্লীল সংলাপ, অভিনয়, অঙ্গভঙ্গি, নগ্ন বা অর্ধনগ্ন নাচ বা সিনেমা, ভিডিয়ো চিত্র, অডিও ভিজ্যুয়াল চিত্র, স্থিরচিত্র, গ্রাফিক্স পর্নোগ্রাফির নামান্তর। কারণ, এতে যৌন উত্তেজনার রসদ থাকে। শিক্ষা বা শিল্প থাকে না। এই অপরাধের শাস্তি কী? একই আইনের ৮ নং ধারার ৪ উপধারা অনুযায়ী, অভিযুক্ত অপরাধী হিসেবে গণ্য হবেন। আদালতে তাঁর শাস্তি সর্বোচ্চ দু’বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড। এবং এক লক্ষ টাকা জরিমানা। একই সঙ্গে পর্নোগ্রাফি সংশ্লিষ্ট অপরাধ জামিনযোগ্য নয়।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)