সিরিয়ালের শ্যুটিং শুরু শুক্রবার থেকেই, অরূপ-রাজ-পরমদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত

সিরিয়ালের শ্যুটিং শুরু শুক্রবারসিরিয়ালের শ্যুটিং শুরু শুক্রবার

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: সিরিয়ালের শ্যুটিং শুরু শুক্রবার থেকেই, অবশেষে জট কাটল। ফেডারেশন এবং আর্টিস্ট ফোরামের মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতের আলোচনায় বরফ গলল বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ, রাজ্যের মন্ত্রী  অরূপ বিশ্বাস, প্রযোজক তথা বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী এবং অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়দের উপস্থিতিতে ওই ওই আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, সিরিয়ালের শ্যুটিং শুরু শুক্রবার থেকেই হচ্ছে। এর পর আগামী ২৪ জুন আর একটা বৈঠক হবে। সেখানেও সব পক্ষকে থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এ দিন রাতে আলোচনা শেষে রাজ বলেন, ‘‘আমাদের কাজ শুরু করা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। আমরা ইতিমধ্যেই অনেক কিছু হারিয়েছি। আমাদের ইন্ডাস্ট্রি আর একটা কর্মহীন দিন সহ্য করতে পারবে না। অতিমারির কারণে চলচ্চিত্র শিল্প সঙ্কটে রয়েছে। আমরা কখনই ছোটপর্দার শিল্পকে সেই সঙ্কটের মুখে ঠেলে দিতে পারি না। যত দ্রুত সম্ভব কাজ শুরু হবে।’’

কার্যত লকডাউন পরিস্থিতিতে রাজ্যের কোভিডবিধি মেনে শ্যুটিং প্রায় এক মাস ধরে বন্ধ। ১৬ জুন শ্যুটিং শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যে সমস্ত টেকনিসিয়ান ফেডারেশনের সদস্য, তাঁরা কলটাইম দেওয়া সত্ত্বেও কাজে আসেননি। প্রযোজকদের অভিযোগ, ফেডারেশনের নেতৃত্ব টেকনিসিয়ানদের ভয় দেখানো হয়েছে। এক প্রযোজকের কথায়, ‘‘ফেডারেশনের সদস্যেরা টেকসিয়ানদের ভয় দেখাচ্ছে। ফোন করে হুমকি দিচ্ছে। কারও কারও তো বাড়ি পর্যন্ত ধাওয়া করেছে। যে সমস্ত টেকসিয়ানরা প্লোরে চলে এসেছিলেন, তাঁদেরকে ভয় দেখিয়ে বাড়ি পাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা চলতে পারে না।’’

এরই মধ্যে ‘মোহর’, ‘খড়কুটো’, ‘কৃষ্ণকলি’-সহ একাধিক সিরিয়ালের স্যুটিং বুধবার শিরি হয়ে গিয়েছিল। আসলে এই গন্ডগোলের সূত্রপাত কার্যত লকডাউনের সময় থেকে। সেই সময় সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনে শ্যুটিং বন্ধ রাখা হয়েছিল। কিন্তু একাধিক প্রযোজক কোনও টেকনিসিয়ানকে কাজে না নিয়ে বাড়ি থেকে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের দিয়ে শ্যুটিং করাচ্ছিল। ফেডারেশন তাতে বাধ সাধে।

এর পর যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোট কলাকুশলীর ৫০ শতাংশকে নিয়ে শ্যুটিং শুরুর অনুমতি দেন, তখন ফেডারেশনের তরফে জানানো হয়, কোনও টেকনিশিয়ানই ২০টি ধারাবাহিকে কাজ করতে পারবেন না। কারণ, ফেডারেশনের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও লক়ডাউনের মধ্যে সেগুলির শ্যুটিং চলেছে। যত ক্ষণ না প্রোডিউসার গিল্ডের সঙ্গে ফেডারেশনের নতুন চুক্তি কার্যকর হচ্ছে, তত ক্ষণ ওই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। ওই ২০টি ধারাবাহিকের তালিকাও দেওয়া হয়েছিল ফেডারেশনের তরফে। সেগুলো হল ‘কৃষ্ণকলি’, ‘তিতলি’, ‘অপরাজিতা অপু’, ‘গ্রামের রাণী বীণাপাণি’, ‘বরণ’, ‘খেলাঘর’, ‘যমুনা ঢাকি’, ‘গঙ্গারাম’, ‘জীবন সাথী’, ‘মিঠাই’, ‘সাঁঝের বাতি’, ‘খড়কুটো’, ‘শ্রীময়ী’, ‘মোহর’, ‘দেশের মাটি’, ‘রিমলি’, ‘ওগো নিরুপমা’, ‘ফেলনা’, ‘কি করে বলবো তোমায়’ এবং ‘ধ্রুবতারা’।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)