টিএন সেশন-কা নাম তো সুনাহি হোগা, কে এই টিএন সেশন

টিএন সেশন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: টিএন সেশন –কে এই প্রজন্ম হয়তো মনে রাখত না। কিন্তু সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট বর্তমান নির্বাচন কমিশনের কর্মকাণ্ডের তুলোধনা করতে গিয়ে আবার মনে করিয়ে দিল এই মানুষটিকে। কে এই টিএন সেশন, কেনই বা তাঁর সঙ্গে তুলনা টানল হাইকোর্ট। তিনি আসলে ছিলেন এক আতঙ্কের নাম। রাজনৈতিক নেতারা তাঁকে রীতিমতো ভয় পেতেন। কোনও দলের বা নেতার হাতের পুতুল হওয়া তো দুরঅস্ত। আর সেই মানুষটাকে মনে করিয়ে দিয়েই হাইকোট বলে উঠল, ‘‘টিএন সেশনকে মনে হয় ভুলে গিয়েছে কমিশন। তাঁর ১০ শতাংশও বোধহয় এই কমিশন করতে পারবে না।’’

২০১৯-এ ৮৬ বছর বয়সে প্রয়াত হন তিনি। ১৯৯০ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত তিনি ছিলেন তিনি চিফ ইলেকশন কমিশনার। তাঁর হাত ধরেই ভারতীয় নির্বাচনের ইতিহাসে স্বচ্ছ্বতা এসেছিল সেই সময়। ১৯৫৫ ব্যাচের এই আইএএস অফিসার রাজীব গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ১৯৮৮-তে সেক্রেটারি অব ডিফেন্সের পদে নিযুক্ত হন। এর সেখান থেকে ক্যাবিনেট সেক্রেটারি হন ১৯৮৯-এ।

১৯৯০-এ দশম চিফ ইলেকশন কমিশনার হিসেবে তাঁকে নিযুক্ত করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ভেঙ্কটরাম। তার পরের ছ’টা বছর ভারতীয় নির্বাচনের ইতিহাসে আমূল বদলের বছর। তার আগে পর্যন্ত টাকা আর পাওয়ারের উপরই চলত নির্বাচন। শক্ত হাতে, দাপটের সঙ্গে সবটা বদলে দিয়েছিলেন তিনি। ভেঙে দিয়েছিলেন সব দেওয়াল। তিনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলেন, ভোটে তাঁর দুই মন্ত্রী ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন‌ এবং নির্বাচনের নিয়ম ভাঙছেন, তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হোক ক্ষমতা থেকে। সমালোচিতও কম হননি।

১৯৯৬-এ তিনি ম্যাগস্যাসে পুরস্কার পান ভারতের নির্বাচনকে সৎ পথে পরিচালনা করার জন্য। ১৯৯৭-এ অবসরের পর তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও অংশ নিয়েছিলেন কিন্তু হেরে যান কেআর নারায়ানানের কাছে। ২০১৮-তে মধ্যপ্রদেশ নির্বাচনের সময় যখন চূড়ান্ত সমস্যা তৈরি হয় তখন সুপ্রিম কোর্ট উদাহরণ টেনেছিলেন টিএন সেশনের। ভারতীয় নির্বাচন ব্যবস্থায় তিনি এভাবেই সারাজীবন উদাহরণ হয়ে থেকে যাবেন।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)