জল পানের উপকারিতা পেতে নিয়ম মানুন

জল

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো:  জল পান করছেন তো বেশি করে? গরম আসছে। তাতছে শহরের রাস্তা থেকে গ্রামের মাটির দেওয়াল। যদিও সূর্য অস্ত গেলেই ঠান্ডা হয়ে যায় গ্রামের পরিবেশ। কারণ সেখানে প্রচুর গাছপালা। তাই গরমের সঙ্গে লড়াই করার জন্য রসদ চলে আসে খুব সহজেই। কিন্তু কী করবেন শহুরে মানুষরা? তাঁদের তো আর উপায় নেই। এই গরমে পুড়ে, ঘামে ভিজেই সারাদিন খাটতে হবে। ভাবছেন যাঁরা এসিতে বসে কাজ করেন, তাঁদের আর কি চিন্তা? চিন্তাটা তাঁদের আরও একটু বেশি। গরম থেক দুম করে এসিতে ঢুকে পড়াটা শরীরের জন্য আরও ক্ষতিকর। কিন্তু গরম থেকে নিজেকে সুস্থ রাখতে আপনার সব থেকে বড় সম্বল কি জানেন?

এ বার সেটা নিয়েই বলব। সেটা হল জল। আপনি হয়তো ভাবছেন সেই চর্বিত চর্বন। এ তো সবারই জানা। ২২ মার্চ ছিল বিশ্ব জল দিবস। যেদিন বিশ্ব জুড়ে জলের উপকারিতা উদ্‌যাপন করা হয়। শরীরের হাইড্রেশনের পরিমান ঠিক রাখতে সাহায্য করে জল। শরীরে জলযোজনের মাপ ঠিক থাকলে ক্ষতিকর টক্সিন শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। বিশেষ করে গরমের সময় ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে অনেকটা জল অপ্রত্যাশিত ভাবেই বেরিয়ে যায়। সঙ্গে প্রতিনিয়ত মূত্রের মাধ্যমেও শরীর থেকে জল বেরয়। স্বাভাবিকভাবে ৮-১০ গ্লাস জল প্রতিদিন খাওয়া উচিত। সেটা যদিও মানুষের কাজ, শরীরের সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা হেরফের হতে পারে।

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে কী করবেন

যদি সেটা কম হয় তাহলে অনেক উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যেমন, মুখের শুষ্কভাব, মাথা ব্যথা, শুষ্ক চামরা, মাথা ঘোরা, সক্রিয়তার অভাব দেখা দিতে পারে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, শরীরকে সুস্থ রাখতে ঠিক কতটা জল পান করা প্রয়োজন।

সাধারণত, একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ৩ লিটার করে জল খাওয়া উটিত।
পুরুষদের মাংসপেশী যেভাবে তৈরি তার জন্য মহিলাদের থেকে একটু বেশি জল প্রয়োজন।
মহিলাদের আড়াই লিটার থেকে তিন লিটারপর্যন্ত প্রয়োজন।
পুরুষদের সেটা অবশ্যই তিন লিটার হতে হবে।

কী ভাবে জল পান করবেন। সেটা জানাও খুব জরুরি। একসঙ্গে অনেকটা জল খেয়ে ফেললেন তাতে কিন্তু শরীরেরই ক্ষতি। ৫০০ এমএল জল শরীরের বিপাকক্রিয়াকে ৩০% ঠিক রাখে। যদি দু’বেলার মিলের আধঘণ্টা আগে  জল পান করা যায় তা হলে খাওয়ার থেকে যে ক্যালরি শরীরে ঘর করে সেটার মাত্রা অনেকটা কমে যায়। স্বাস্থ্যকর খাওয়ারের সঙ্গে নিয়মিত জল পান শরীরে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। যখনই বিপাকক্রিয়ার উন্নতি হবে তখনই ক্যালরিকে তাড়ানো সহজ হবে।

কোষ্ঠকাঠিন্য, কিডনির সমস্যা ও ব্রণর সমস্যা কমিয়ে ফেলা যায় জল পান করেই।
ডিম, মাছ, মাংস, শসা, লেটুসের মধ্যেও জল রয়েছে। যা শরীরে ফ্লুইডের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
তৃষ্ণা পেলেই জল পান করুণ। তাতেই শরীরে জলের ভারসাম্য রক্ষা হবে।
গর্ভাবস্থায় মহিলাদের আরও বেশি জল খেতে হয় বমি আর ডিহাইড্রেশন না হয়।