জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: একটা খুব অদ্ভুত ধারণা নিয়ে চলি আমরা। কেউ মোটা হচ্ছে তাহলে কমিয়ে দিন খাওয়া। কারও পেটে মেদ জমছে বাদ দিয়ে দিন খাওয়া। কারও জামা-কাপড় গায়ে ঢুকছে না পছন্দের খাবারের তালিকায় ইতি। আসলে বিষয়টা ঠিক তেমন নয়। কোনও কিছুই যেমন বেশি ভাল না তেমন কোনও কিছুই কমও ভাল নয়। খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে আপনি রোগা হতে পারেন কিন্তু তার ফলে যে কোনও সময় অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। কমে যেতে পারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। ক্লান্তি গ্রাস করতে পারে। আরও অনেক রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই স্লিম হওয়া মানেই খাওয়া ছেড়ে দেওয়া নয় (Pujo Diet) বরং সঠিক পরিমাণ খেয়ে নিজেকে ফিট রাখা।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একজন মানুষের খাবারের তালিকায় সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ব্রেকফাস্ট। কারণ একটা দীর্ঘ সময় খালি পেট থাকার পর প্রথম যে খাবারটা শরীরে যাচ্ছে সেটা অনেকটা পরিমাণ করতে হয়। তাহলে গোটা দিন শরীরে এনার্জির ভারসাম্যটা বজায় থাকে। যে কারণে ব্রেকফাস্টে যেমন প্রোটিন থাকতে হবে তেমনই থাকতে হবে মিনারেল কার্বোহাইড্রেট-সহ যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ জিনিস।
কী কী খেতে পারেন ব্রেকফাস্টে— ব্রেড বা পাউরুটি ব্রেকফাস্টের সব থেকে সহজ অংশ। তার সঙ্গে থাকুক একটি ডিম সেদ্ধ। ফ্রুট জুস অনেকেই পছন্দ করেন তবে আমার মতে জুসের থেকে ভাল ফল এমনি খাওয়া। সঙ্গে থাকতে পারে কোনও হেলথ ড্রিঙ্কস। এছাড়া এখন অনেকেই ব্রেকফাস্ট সারেন ওটস বা কর্নফ্লেক্স দিয়ে। তার সঙ্গে দুধ বা দই মিশিয়ে নিন আর পছন্দের ফল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে শোনা যাচ্ছে কর্নফ্লেক্স বা ওটসের মতো জিনিসে প্রিজার্ভেটিভ থাকায় তাকে আমরা যতটা স্বাস্থ্যকর মনে করি ততটা নয়। সেক্ষেত্রে ছিমছাম ব্রেকফাস্ট হতে পারে হাতে তৈরি রুটি সঙ্গে বিভিন্ন সবজি দিয়ে তরকারি। শেষ পাতে হেলথ ড্রিঙ্কস।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, সব থেকে ভাড়ি খাবার ব্রেকফাস্ট হওয়া উচিত। তার পর লাঞ্চ এবং সব থেকে হালকা খাবার হওয়া উচিত ডিনার। কারণ রাতে খাবার পরে হাঁটা চলার খুব সুযোগ থাকে না তাই রাতের খাবার হজম হতে সময় লাগে। তাই সে সময় পেট পুড়ে খেলে বিপদ হতে পারে। হজমের সমস্যা থেকে আরও নান সমস্যা তৈরি হতে পারে। আরও একটি বিষয় ভিষন ভাবে খেয়াল রাখতে হবে দুটো খাবারের মধ্যের সময়। পেট যেন একদম খালি হয়ে না যায়। যেমন লাঞ্চ আর ডিনারের মাঠে যে সময়টা তখন হালকা কিছু খাওয়া যেতে পারে। বিস্কুট, মুড়ি, চিরে, খুব এনার্জির ঘাটতি হলে সুযোগ বুঝে ডার্ক চকোলেটেও কামড় বসানো যেতে পারে।
দুপুরের খাবারে কী রাখা যেতে পারে— সাধারণত দুপুরটা সকলেরই কাটে অফিসে। সেখানে পেটপুড়ে, গুছিয়ে বসে ভাত খাওয়ার সুযোগ থাকে না। তবে টিফিন বক্সে করে ভাত-মাছ নিয়ে যাওয়া যেতেই পারে। তাতে ভেতো বাঙালির যেমন ভাত খিদে মিটবে তেমনই বেশি পরিমাণে খাওয়ারও সুযোগ থাকবে না। ভাতের বদলে কেউ রুটি নিতে পারেন। যাঁরা এর কোনওটাই খাবেন না তারা বেছে নিতে পারেন স্যালাড ও টক দই। একদম স্বাস্থ্যকর লাঞ্চ। অনেকে আবার ব্রেকফাস্টের বদলে লাঞ্চে ফল খেতে পছন্দ করেন। যেহেতু ডেস্কে বসে কাজ করতে হচ্ছে সে কারণে লাঞ্চের পরিমাণটা কমই হবে।
রাতের খাবার হালকা হলেও ভাল রাখতে হবে— কারণ সারা দিনের যে খাবার তা খুব স্বস্তিতে খাওয়া হয় না। ব্রেকফাস্ট খাওয়া হয় অফিস যাওয়ার তাড়ায় আর লাঞ্চ অফিসের কাজের ফাঁকে। কোনওটাতেই খুববেশি মনোনিবেশ করা যায় না। সে কারণে কম হলেও রাতের খাবারটা বেশ জমিয়ে খায় অনেকেই। রাতের খাবারে সব থেকে ভাল হচ্ছে স্যুপ। যে কোনও স্যুপ একবাটি। অনেকর তাতেই হয়ে যাওয়ার কথা। না হলে স্যুপের সঙ্গে ব্রেড চলতে পারে বা হাতে তৈরি রুটি। স্যুপ না খেতে চাইলে, সব ধরনের ভেজিটেবল সেদ্ধ নুন,গোলমরিচ দিয়ে দারুণ সুস্বাদু। মিষ্টিপ্রেমীরা শেষপাতে একটি মিষ্টি রাখতে পারেন তবে সেটি একাধিক নয়। সবার শেষে বলি সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ যেটা, প্রতিদিনের জীবনে রাখুন আধঘণ্টায় শরীরচর্চা। একঘণ্টা রাখতে পারলে সব থেকে ভাল।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: Facebook, Twitter, Google