কানাডার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এই ‘জঙ্গি’কে ভিসা কেন? নিশানায় ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ত্রুডোর ভারত সফরে কি এক জন খলিস্তানি জঙ্গি রয়েছে? এই প্রশ্নেই আপাতত উত্তাল রাজধানী দিল্লির রাজধানী।

এ নিয়ে ত্রুডোকে প্রশ্ন করা হয় বৃহস্পতিবার। তিনি যদিও এর কোনও জবাব দেননি। তাঁর জবাব না পাওয়া গেলেও, গোটা ঘটনায় অস্বস্তিতে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। কী ভাবে এক জন জঙ্গি ভারতে আসার ভিসা পেয়েছেন, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।

ওই ব্যক্তির নাম জয়পাল অটওয়াল। গত মঙ্গলবারই মুম্বইতে একটি অনুষ্ঠানে জসপালকে দেখা গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী সফি ত্রুডোর সঙ্গে তাঁকে এক ফ্রেমে ছবি তুলতে দেখা গিয়েছে। এমনকী, কানাডার এক মন্ত্রী অমরজিৎ সোহির সঙ্গেও ওই দিন তোলা তাঁর ছবি প্রকাশ্যে এসেছে।

কিন্তু, কে এই জসপাল অটওয়াল?

নিষিদ্ধ সংগঠন ‘আন্তর্জাতিক শিখ যুব ফেডারেশন’-এর সদস্য ছিলেন অটওয়াল। সেটা ১৯৮৬ সাল। ভ্যাঙ্কুভারে ব্যক্তিগত সফরে গিয়েছিলেন প়ঞ্জাবের তৎকালীন মন্ত্রী মালকিয়াত সিংহ সিধু। সেখানে তাঁকে প্রকাশ্য রাস্তায় দু’বার গুলি করা হয়। কিন্তু, সে যাত্রায় প্রাণে বেঁচে যান সিধু। পরে যদিও দেশে ফিরে তিনি খুন হয়ে গিয়েছিলেন। সেই গুলি মামলায় অভিযুক্ত হন জসপাল। পরে দোষী সাব্যস্ত হন। তাঁকে ২০ বছর জেল খাটতে হয়। সাজা ঘোষণার সময় বিচারক ওই ঘটনাকে ‘জঙ্গি কার্যকলাপ’ বলে চিহ্নিত করেছিলেন। এই মুহূর্তে কানাডার রাজনীতিতে প্রভাবশালী হিসেবে জসপালের বেশ নামডাক। ত্রুডোর সম্মানে এ দিন দিল্লিতে নৈশভোজের আয়োজন করেছে সে দেশের দূতাবাস। সেখানেও জসপাল আমন্ত্রিত চিলেন। কিন্তু, বিতর্ক শুরু হওয়ার পর সেই আমন্ত্রণ বাতিল করা হয়েছে।

কিন্তু, এমন এক জন জঙ্গি কী ভাবে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে থাকতে পারে? ভারতীয় মিডিয়ার জবাবে ত্রুডোর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, এমন এক জন ব্যক্তিকে কোনও অনুষ্ঠানেই আমন্ত্রণ জানানো উচিত হয়নি। ওঁর আমন্ত্রণ বাতিল করা হয়েছে। কী করে এমনটা হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাদের আরও সংযোজন, ওই ব্যক্তি ভারত সফররত প্রধানমন্ত্রীর সরকারি প্রতিনিধি দলের সদস্য নন। এমনকী, তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তাদের দাবি, এ ধরনের বিদেশ সফরের ক্ষেত্রে অনেক সময় কেউ কেউ ব্যক্তিগত খরচ এবং উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপ্রধানদের সফররত দেশে পৌঁছে যান। এটাও তেমন কোনও ঘটনা হবে।