বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট ১৭১-এর দুর্ঘটনার পর বিমানে থাকা একজন যাত্রী বেঁচে যান, যা সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনাগুলির মধ্যে একটি। তিনি কীভাবে ওই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা সেটা ভেবেই অবাক হয়ে যাচ্ছে সকলে। কথায় আছে “রাখে হরি মারে কে”। তবে তাঁর এই অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়া বিমানে 11A সিট সম্পর্কে আগ্ৰহ তৈরি করেছে। প্রশ্ন উঠছে 11A আসনটি কি সত্যিই লাইফ সেভার?
বৃহস্পতিবার সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে ওড়ার কয়েক সেকেন্ড পরেই বোয়িং ড্রিমলাইনার বিমানটি ভেঙে পড়ে ও আগুন লেগে যায় তাতে। সেই বিধ্বস্ত দৃশ্য দেখে অতীত আশাবাদী মানুষও ভাবতে পারেননি সেখান থেকে কেউ বেঁচে যেতে পারে। ভাবতে পারেননি স্বয়ং সেই ব্যক্তি যিনি সত্যিই বেঁচে গিয়েছেন। ওই বিমানের ১১এ আসনে বসে থাকা ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক বিশ্বাস কুমার রমেশ এখন আহমেদাবাদের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এখনও ভাবতে পারছেন না কীভাবে বেঁচে গেলেন। তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, সরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে এই দুর্ঘটনায় তিনি হারিয়েছেন তাঁর পাশেই বসে থাকা তাঁর ভাইকে।
দুর্ঘটনায় বাকি ২২৯ জন যাত্রী, দুই পাইলট এবং ক্রু সদস্য মারা গেলেও, ৪০ বছর বয়সী ব্যবসায়ী ধ্বংসস্তূপ থেকে বেরিয়ে আসেন নিজের পায়ে হেঁটেই। তাঁর সারা গায়ে রক্ত লেগেছিল, শরীরের অনেক জায়গায় পুড়ে যাওয়ার ক্ষত চিহ্ন ছিল। “আমি জানি না আমি কীভাবে জীবিত বেরিয়ে এসেছি। যখন বিমানটা মাঝখান থেকে দু’ভাগ হয়ে গেল তখন আমার সিটটা ভেঙে বাইরে ছিটকে পড়ে। যখন জ্ঞ্যান ফেরে দেখি চারিদিকে আগুন, ছাই আর মানুষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে।”
যদিও বলা হচ্ছে রমেশের বেঁচে যাওয়া কোনও অলৌকিক ঘটনা নয়। ইমার্জেন্সি দরজার সঙ্গের এই আসনটির সুরক্ষা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। এটিই বিমানের সব থেকে নিরাপদ আসন কিনা তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। জানা যাচ্ছে এমনটা প্রথম নয় যে ওই আসনে বসা যাত্রী ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পরও প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: Facebook, Twitter, Google