অযোধ্যায় নরেন্দ্র মোদী ২৯ বছর পর, বললেন: ‘‘রাম সকলের, সকলের মধ্যেই রাম’’

অযোধ্যায় নরেন্দ্র মোদীঅযোধ্যায় রামলালার পুজোয় নরেন্দ্র মোদী

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: অযোধ্যায় নরেন্দ্র মোদী ২৯ বছর পর এলেন। এলেন বিজেপির বহু প্রতিশ্রুত রামমন্দিরের শিল্যান্যাসে। শিলান্যাসের পর বললেন, ‘‘রাম সকলের, সকলের মধ্যেই রাম রয়েছেন।’’

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর ভাষণে বুধবার বলেন, ‘‘দেশের স্বাধীনতা দিবস, ১৫ অগস্ট ও রামমন্দিরের শিল্যান্যাসের দিন, ৫ অগস্ট একই রকম তাৎপর্যপূর্ণ।’’ তিনি আরও বলেন, “সারা দেশ স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগ দিয়েছিল। মন্দিরের জন্যও অনেকে বলিদান দিয়েছে। এত দিনে তাঁকে অপেক্ষা শেষ হল। ১৫ অগস্ট যেমন স্বাধীনতার প্রতীক। আজকের দিনটি তেমনই ত্যাগ, সঙ্কল্প ও সংঘর্ষের প্রতীক।’’


দেশের আরও খবরের জন্য এখানে ক্লিক করুন

দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে রাম এতটাই জড়িয়ে যে কোনও ভাবেই তাঁকে আলাদা করা সম্ভব নয় বলে এ দিন মন্তব্য করেন মোদী। তাঁর কথায়, ‘‘রাম আমাদের মনের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন। আমাদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে গিয়েছেন উনি। প্রভুর কী অদ্ভূত শক্তি দেখুন, ইমারত নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তাতেও কিছু হয়নি। রামের অস্তিত্ব মিটিয়ে দেওয়ার সবরকম চেষ্টা হয়েছিল, কিন্তু রাম আমাদের মন জুড়ে রয়েছেন রাম। আমাদের সংস্কৃতির আধার তিনি।’’ তাঁর কথায়, ‘‘“এই মন্দির শাশ্বত আস্থা এবং সংস্কৃতির আধুনিক প্রতীক হবে।”

অযোধ্যায় নরেন্দ্র মোদী ২৯ বছর পর এলেন, আর সেখানেই দেখা হল সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতের সঙ্গে। একসঙ্গে মঞ্চেও দেখা গেল তাঁদের। মোদীর আগে নিজের ভাষণে মোহন ভাগবত বলেছেন, ‘‘২০ থেকে ৩০ বছর লড়াই করতে হবে ভেবে নিয়েই রামমন্দিরের আন্দোলনে নেমেছিলাম।’’ মোহন ভাগবতের পাশাপাশি এ দিনে ভূমিপূজনে আমন্ত্রিতদের বেশির ভাগই সাধু-সন্ন্যাসী।

দেশের সকলের রামমন্দির নির্মাণে সমর্থন ছিল বলেই তার পথ প্রশস্ত হয়েছে বলে এ দিন মন্তব্য করেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর কথায়, ‘‘স্বাধীনতা সংগ্রামে মহাত্মা গাঁধী যেমন দলিত এবং জনজাতি মানুষের সমর্থন পেয়েছিলে, একই ভাবে দেশের সমস্ত মানুষের সমর্থন ছিল বলেই রামমন্দির নির্মাণের কাজ শুরু করা গিয়েছে। রাম সকলের, সকলের মধ্যেই রাম রয়েছেন।’’

করোনা পরিস্থিতিতে রামমন্দিরের নির্মাণ ঘিরে সমালোচনার মুখে পড়েছে কেন্দ্র। তবে এ দিন অনুষ্ঠানস্থলে সামাজিক দূরত্ববিধি মেনেই অতিথিদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। মাস্ক পরেই ভূমিপূজায় অংশ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘করোনার জন্য এই অনুষ্ঠান অন্য ভাবে করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশের পরেই আমরা চিন্তা করেছিলাম। আমরা চেয়েছিলাম, সবাই যেন শান্তিতে অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেন।’’

তবে অযোধ্যায় নরেন্দ্র মোদী-র উপস্থিতিতে যখন ভূমিপূজন চলছে, তখন অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড জানিয়ে দিল, বাবরি মসজিদ ছিল, আছে আর চিরকালের জন্য থাকবে। ওই সংগঠনের মতে, শরিয়ত অনুযায়ী কোনও জায়গায় কখনও কোনও মসজিদ প্রতিষ্ঠা হলে তা চিরকালের জন্য থেকে যায়।


(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)