কেন্দ্রীয় বাজেট ২০১৯: সংসদে পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন

কেন্দ্রীয় বাজেট ২০১৯কেন্দ্রীয় বাজেট ২০১৯

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কেন্দ্রীয় বাজেট ২০১৯, সংসদে শুক্রবার পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এ দিন সওয়া দু’ঘণ্টার বাজেট বক্তৃতা করেন তিনি।

ওই বাজেট পেশের পর তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া তৃণমূল বলল, এটা ‘সেল ইন্ডিয়া’ বাজেট। শুধু কিছু স্বপ্ন দেখানোর বাজেট।

 

বাজেটে কী কী বললেন অর্থমন্ত্রী—

বিমা ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগ। কৃষিতে বেসরকারি বিনিয়োগ, খুচরো ব্যবসায়ীদের পেনশন।

পেট্রল-ডিজেলে ১ টাকা সেস বাড়ানো হল। ফলে দাম বাড়বে জ্বালানি তেলের।

আয়করের ক্ষেত্রে প্যান ও আধার দুই ব্যবহার করা যাবে। তবে প্রয়োজনে যে কোনও একটিও ব্যবহার করা যাবে।

গৃহ ঋণে বা গৃহ ঋণের সুদে অতিরিক্ত দেড় লক্ষ টাকা আয়কর ছাড়।

ইলেকট্রিক ভেহিকলেও দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়কর ছাড়ের কথা বলা হয়েছে।

৪০০ কোটি টাকা টার্ন ওভার পর্যন্ত ২৫ শতাংশ কর্পোরেট ট্যাক্স।

সৌরশক্তি সম্পন্ন প্রোডাক্টে বিশেষ ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা।

১, ২, ৫, ১০ ও ২০ টাকার নতুন কয়েন আসছে বাজারে।

১ লক্ষ ৬ হাজার কোটি টাকা বিলগ্নিকরণের লক্ষ্য।

হাউজিং ফিনান্স কর্পোরেশনকে ন্যাশনাল হাউজিং বোর্ডের কাছ থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নিয়ে নেবে।

পরিকাঠামো উন্নয়নে ১০০ লক্ষ কোটি বরাদ্দ করল কেন্দ্র।

স্বনির্ভর প্রকল্পের প্রত্যেক মহিলা জন ধন অ্যাকাউন্ট থেকে ৫০০০ টাকা ওভারড্রাফট নিতে পারবে।

এ ছাড়া ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবে স্বনির্ভর প্রকল্পের মহিলারা।

রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কে ৭০ হাজার কোটি টাকা সাহায্য ঘোষণা বাজেটে।

চার বছরে চার লক্ষ কোটি টাকা ঋণ আদায় হয়েছে।

এনআরআইদের ১৮০ দিন অপেক্ষা করতে হবে না। ভারতীয় পাসপোর্ট থাকলে এ দেশে ফিরলেই দেওয়া হবে আধার কার্ড।

খোলা হবে চারটি নতুন দূতাবাস।

নতুন ১৭টি পর্যটনস্থল তৈরি করবে সরকার।

১ কোটি পড়ুয়াকে কারিগরি শিক্ষা।

দূরদর্শনের আওতায় একটি নতুন সরকারি টিভি চ্যানেল শুরুর প্রস্তাব৷ সেখানে নতুন ব্যবসায়ীদের জন্য খবর প্রকাশ করা হবে৷

ক্রীড়া ক্ষেত্রের উন্নয়নে নতুন বোর্ড৷

বিদেশি পড়ুয়া আনতে নতুন শিক্ষানীতি-প্রকল্পের নাম স্টাডি ইন ইন্ডিয়া ৷ ভারতকে করা হবে উচ্চশিক্ষার হাব৷

গবেষণায় উৎসাহ দেওয়ার জন্য জাতীয় শিক্ষানীতির আওতায় তহবিল গঠন করা হবে৷

গান্ধীবাদের প্রচারে গান্ধীপিডিয়া চালুর উদ্যোগ৷ আগামী ২ অক্টোবরের মধ্যে শুরু হবে।

কৃষিতে বেসরকারি বিনিয়োগে জোর।

৯৫ শতাংশ গ্রাম স্বচ্ছ৷ গুগুল ম্যাপে ৪৫ হাজার পাবলিক টয়লেট চিহ্নিতকরণ।

১ কোটি জনতা স্বচ্ছ অ্যাপ ডাউনলোড করেছেন।

প্রতি গ্রামে পৌঁছবে স্বচ্ছ ভারত অভিযান৷

প্রতি বাড়িতে পানীয় জল পৌছনোর লক্ষ্যে সরকার৷ ‘হর ঘর জল’ প্রকল্প৷ বৃষ্টির জলকে পুনরায় ব্যবহার করার উদ্যোগ।

৩১৪ দিনের বদলে ১১৪ দিনে সরকারি বাড়ি তৈরির লক্ষ্য। ২০২২-এর মধ্যে ১.৯৪ কোটি বাড়ি করার লক্ষ্য।

ডাল ও দুগ্ধজাত পণ্যে জোর৷

অসামরিক বিমান পরিবহণে বিদেশি বিনিয়োগ চাইছে সরকার৷ এর আগে এয়ার ইন্ডিয়াকে বেসরকারিকরণ করতে গিয়ে ধাক্কা খেয়েছে সরকার৷ এখন সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ ৪৯ শতাংশ করা যায়৷ জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী৷

প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনার আওতায় ১,২৫ হাজার সড়ক আধুনিকীকরণ হবে৷ খরচ পড়বে ৮০ হাজার ২০০ কোটি টাকা৷

বিমা ক্ষেত্রে সংস্কারের পথে সরকার৷

প্রতি বছর শিল্পের বিশ্ব সম্মেলন করতে চায় সরকার৷ শিল্পপতি, কর্পোরেট কর্তা, বিনিয়োগকারীদের নিয়েই এই সম্মেলন হবে৷

২০২২ সালের মধ্যে গ্রামের প্রতিটি পরিবার বিদ্যুৎ পাবে৷ এবং রান্নার জন্য সুব্যবস্থা হবে৷

এই সংক্রান্ত আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন…

৫৯ সেকেন্ডে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণের সংস্থান।

সিঙ্গল ব্রান্ড খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগ।

বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য আরও সহজ কেওয়াইসি ব্যবস্থা৷

৩০০ কিলোমিটার মেট্রো রেলপথ স্থাপনের লক্ষ্য সরকারের৷

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য পেনশন ব্যবস্থা৷ যাদের লেনদেন বছরে ১.৫ কোটির মধ্যে তারাই সুবিধা পাবেন৷

প্রধানমন্ত্রী ‘মন ধন’ যোজনা৷ এর ফলে তিন কোটি ব্যবসায়ী উপকৃত হবেন৷

বর্তমান বাড়ি ভাড়া আইনকে সেকেলে মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ আইনের সংস্কার দরকার৷ সে ক্ষেত্রে বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে।

চাঁদে পৌঁছনোর দিকে যাচ্ছে ভারত।

রেলে বিপুল বিনিয়োগ।

‘এক দেশ এক গ্রিড’ বিদ্যুৎ প্রকল্প চালুর পথে সরকার৷

গঙ্গা দিয়ে পণ্য পরিবহণ চার গুণ বেড়েছে৷

পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া বন্দরে গুরুত্ব৷

তৈরি হবে হবে নতুন প্রকল্প৷

একই ভাবে ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জেও জোর দিচ্ছে সরকার৷

ভারতীয় রেলে বিপুল বিনিয়োগের পথে সরকার৷

১৫ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে ২০৩০ সালের মধ্যে৷

বিমান পরিবহণে ভারত বৃহত্তম ক্ষেত্র৷ সাগরমালা প্রকল্পে বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ আরও বৃদ্ধি করবে৷

৫৫ বছর লাগল এক ট্রিলিয়নের অর্থনীতিতে পৌঁছতে৷ সেখানে ৫ বছরে ২.৭ ট্রিলিয়নের অর্থনীতি৷ এবার ৫ ট্রিলিয়নের দিকে এগোচ্ছে দেশ৷

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)