জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: অনুমোদন নয় কোভ্যাক্সিনকে এখনই। বার বার এগিয়ে গিয়েও ধাক্কা খেতে হচ্ছে কোভিড টিকা কোভ্যাক্সিনকে। কিছুতেই ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের স্বীকৃতি তারা আদায় করে নিতে পারছে না। এবার মনে করা হয়েছিল, শেষ পর্যন্ত হয়তো স্বীকৃতি পেয়েই গেল কোভ্যাক্সিন। কিন্তু তেমনটা হল না। এখনও সন্তুষ্ট নয় ‘হু’। কোভ্যাক্সিনের প্রস্তুতুকারী সংস্থা ভারত বায়োটেকের কাছে আরও কিছু তথ্য চেয়ে পাঠালো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এখনও বিশ্বের দরবারে স্বীকৃত নয় কোভ্যাক্সিন। যে কারণে যে সব ভারতীয়রা কোভ্যাক্সিন টিকা নিয়েছেন, তাঁরা বিদেশে যেতে পারবেন না।
গত এপ্রিলে যখন গোটা দেশ কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে রীতিমতো ধরাশায়ী তখন আপৎকালীন পরিস্থিতিতে কোভ্যাক্সিন প্রয়োগের অনুমোদন চেয়েছিল ভারত বায়োটেক। কিন্তু তখন থেকে কেটে গিয়েছে ৬ মাস। তার পর বার বার পরীক্ষার মুখে পড়তে হয়েছে এই টিকাকে কিন্তু অনুমোদন মেলেনি এখনও। এবারও মিলল না। মঙ্গলবার ভারত বায়োটেকের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা তা পর্যালোচনা করেন। কিন্তু যতটুকু তথ্য তাদের হাতে পৌঁছেছিল তার উপর ভিত্তি করে অনুমোদন দিতে পারছে না হু। সেকারণে নতুন করে ভারত বায়োটেককে ই-মেল করে আরও কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছে।
৩ নভেম্বর আবার নতুন তথ্য নিয়ে পর্যালোচনায় বসবেন বিশেষজ্ঞরা। যে কারণে দ্রুত সেই সব তথ্য পাঠাতে হবে সংস্থার তরফে। রিস্ক বেনিফিট অ্যাসেসমেন্টের অংশ হিসেবে বাকি তথ্য চাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর আগে ভারতে তৈরি কোভিশিল্ড দ্রুত অনুমোদন পেয়ে গিয়েছিল। যে কারণে কোভিশিল্ডের চাহিদাও ভারতের বাজারে তুঙ্গে। এ ছাড়া ‘হু’ অনুমোদন দিয়েছে মডার্না, ফাইজার, জনসন অ্যান্ড জনসন, সিনোফার্ম, সিনোভ্যাকের মতো ভ্যাকসিনকে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, যে কোনও ভ্যাকসিনের অনুমোদনের ক্ষেত্রে তারা তাড়াহুড়ো করে কোনও ঝুঁকির পথে হাঁটতে চায় না। কারণ মানুষের উপর তা প্রয়োগ হবে। মানুষের জীবন সব থেকে বেশি মূল্যবাণ। সেই পরিস্থিতিতে কোভ্যাক্সিনের কী কী সমস্যা রয়েছে অনুমোদনের ক্ষেত্রে তা পরিষ্কার করে কোনও তরফেই জানানো হয়নি। কিন্তু বাকি সব কোভিড টিকা এত দ্রুত অনুমোদন পেয়ে গেল এবং কোভ্যাক্সিন সেটা পাচ্ছে না কেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)