ডেল্টা প্রজাতি বা বি.১.৬১৭.২-ই ভারতের দ্বিতীয় ঢেউয়ের নেপথ্যে

ডেল্টা প্রজাতি

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ডেল্টা প্রজাতি-ই নাকি ভারতের বুকে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউকে মারণ করে তুলেছিল। জিনোমিক কনসর্টিয়া অ্যান্ড ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোলের এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই ভয়াবহ তথ্য। ডেল্টা প্রজাতি বা বি.১.৬১৭.২ ভাইরাস-ই ভারতে দ্বিতীয় ঢেউয়ের এই ভয়ঙ্কর রূপের কারণ। ভারতে পাওয়া এই ভাইরাসের নাম ডেল্টা রেখেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গত অক্টোবরে ভারতে দুটো বাইরাস পাওয়া গিয়েছিল। এঅকটি বি.১.৬১৭.১ এবং বি.১.৬১৭.২। দ্বিতীয়টি হল ডেল্টা প্রজাতি। আর সেটাই ভারতকে ২০২১-এ নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছে।

এর সমগোত্রীয় আলফা প্রজাতির ভাইরাসটি পাওয়া গিয়েছিল ব্রিটেনে। তার তুলনায় ৫০ শতাংশ বেসি সংক্রমক ডেল্টা। ভারতে থাকা ১২,২০০ প্রজাতির ভাইরাসের মধ্যে সব থেকে ভয়ঙ্কর এই ডেল্টা প্রজাতি। যার ফলে টিকা নেওয়ার পরও এই ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা গিয়েছে মানুষের শরীরে। যেটা আলফার ক্ষেত্রে হয়নি।

এই খারাপ খবরের মধ্যেও ভাল খবর হল, কোভিডের প্রথম টিকা দেওয়ার সংখ্যার নিরিখে আমেরিকাকে ছাপিয়ে গিয়েছে ভারত। শুক্রবার এমনটাই দাবি করেছে কেন্দ্র সরকার। নীতি আয়োগের ভিকে পাল জানান, গোটা বিশ্বে যে টিকার পরিসংখ্যান পাওয়া যাচ্ছে তাতে প্রথম কোভিড টিকা পাওয়া মানুষের সংখ্যা আমেরিকার থেকে ভারতে বেশি।

আওয়ার ওয়ার্ল্ড ইন ডেটার তথ্য অনুযায়ী ভারতে প্রথম টিকা পেয়ে গিয়েছেন ১৭.২ কোটি মানুষ। আমেরিকা সেক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে ১৬.৯ কোটিতে। এ ছাড়া, ব্রিটেন ৩.৯ কোটি, জার্মানি ৩.৮ কোটি প্রথম টিকা দিয়েছে। তবে লোক সংখ্যার নিরিখে যদি শতাংশের হিসেব করা যায় তাহলে এই হিসেব কতটা গর্ব করার মতো সেটাও ভাবতে হবে।

তবে আগামীতে টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে গতি আসবে তা গত কয়েকদিন ধরেই জানাচ্ছে কেন্দ্র সরকার। এমনকী এমনও ঘোষণা করা হয়েছে দিনে গোটা দেশে এক কোটি করে টিকা দেওয়া হবে। ভারতে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলে এখনও পর্যন্ত টিকা পাওয়ার সংখ্যাটা ২২.৪১ কোটি। টিকার জোগান বাড়াতে বিভিন্ন নিয়ম শিথিল করতে শুরু করেছে ভারত সরকার।

এদিন রাশিয়ার স্পুটনিখ ভি তৈরির ছাড়পত্র পেয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউট। এর আগে কোভিশিল্ড তৈরির ছাড়পত্রও দেওয়া হয়েছিল। অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রী ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তবে কেন্দ্র সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, বিশেষ কিছু শর্ত সাপেক্ষে এই ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার গামালেয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব এপিডেমোলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই টিকা তৈরি করবে সেরাম ইনস্টিটিউট।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)