দেশ জুড়ে বন্যা, প্রবল বৃষ্টিতে ভাসছে হিমাচল প্রদেশ থেকে উত্তরবঙ্গ

দেশ জুড়ে বন্যাহিমাচলের বন্যা

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: দেশ জুড়ে বন্যা । উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম বন্যার কবলে একাধিক রাজ্য। হিমাচল প্রদেশে যেখানে বিপাশা ফুঁসছে বিপদসীমার উপর সেখানে চামুর্চির মতো ছোট নদীতে বানভাসী অবস্থা ডুয়ার্সের। পঞ্জাবে জারি করা হয়েছে লাল সঙ্কেত। ইতিমধ্যেই সেখানকার নদীগুলোও বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে।

দু’দিন আগেই মানালি ও কুলুর মধ্যে বিপাশায় একটি ট্যুরিস্ট বাস ভেসে যাওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। বিপাশা অনেক জায়গায়ই উঠে এসে রাস্তায়। নেমেছে বিরাট বিরাট ধস। তার জেড়ে গোটা হিমাচল জুড়ে বিভিন্ন জায়গা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। আটকে রয়েছে প্রচুর ট্যুরিস্ট। বেশিরভাগই আটকে কুলু অথবা মানালিতে। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই জায়গা দুটোই।

এর মধ্যে ট্রেকিংয়ে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া রুরকি আইআইটির ৪৫ জন ছাত্রের খোঁজ মিলেছে। হিমাচলের লাহুল-স্পিতি জেলায় ট্রেকিংয়ে গিয়েছিল এই দলটিয় সোমবার থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তাঁদের সঙ্গে। মঙ্গলবার অবশ্য হিমাচল প্রদেশ সরকারের তৎপরতায় খোঁজ মিলল সকলের। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে সকলেই সুস্থ রয়েছেন।

দেশ জুড়ে বন্যা

ডুয়ার্সে চা বাগানে ঢুকেছে জল

এই জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে এই ৪৫ জনকে বাদ দিয়েও আটকে রয়েছে ৩০০জনের মতো মানুষ। দুটো ভারতীয় বিমান বাহিনীর বিমানকে উদ্ধারের কাজে লাগানো হয়েছে। এই সকলেই নিরাপদ অবস্থায় রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে সকলের থাকার এবং খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জয় রাম ঠাকুর জানিয়েছেন, কুলু এবং লাহুল-স্পিতিতে যাঁরা আটকে রয়েছে তাঁদের উদ্ধারের কাজে নেমে প্রশাসন। সমস্যা বেড়েছে নতুন করে বরফ পড়ায়। লাহুল-স্পিতিতে সোমবার পর্যন্ত বরফ পড়েছে চার ফিট। বন্ধ হয়ে গিয়েছে রোহটাং পাসের রাস্তা।

এ তো গেল হিমাচল প্রদেশের বন্যা পরিস্থিতি। বিপদ রয়েছে উত্তরবঙ্গেল ভূটান সীমান্ত জুড়েও। রবিবার রাত থেকে ডুয়ার্সের বিস্তির্ন এলাকায় প্রবল বৃষ্টির জেড়ে পাহাড়ি সব নদীতে জলের পরিমান অনেকটাই বেরে গিয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলার তিনটি ব্লকের অনেক জায়গা চলে গিয়েছে জলের তলায়। জল ঢুকেছে ডুয়ার্সের বিভিন্ন জঙ্গলেও। যার ফলে লোকালয়ে চলে এসেছে হাতির পাল। ভুটানের পাহাড় থেকে অত্যধিক জল নামায় সমস্যা বেরেছে।

বিপাশায় ভেসে গেল বাস, মানালির কাছে

৩১ নম্বর জাতীয় সরকের অনেক অংশ প্লাবিত হয়েছে। ধুপগুড়ি, বানারহাটের মতো জায়গায় জল ঢুকেছে। বিভিন্ন চা বাগানের মধ্যেও জল ঢুকে পড়েছে। তাতে অনেক বড় ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে চা ব্যবসায়। এখনও প্রাণহানির কোনও খবর আসেনি। সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি নিয়েও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি কমায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে উত্তরবঙ্গে।

পঞ্জাব-হিমাচল-কাশ্মীর মিলে এখনও পর্যন্ত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইতিমধ্যেই সেনাবাহিনীকে নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অরুনাচল প্রদেশ, অসম, মেঘালয়, উত্তর প্রদেশের পশ্চিমপ্রান্ত, উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানা, চণ্ডিগড়, দিল্লি ও হিমাচল প্রদেশে আরও প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।