হাথরাস মামলায় অভিযুক্তের চিঠি পুলিশকে, ‘‘আমরা বন্ধু ছিলাম’’

হাথরাস মামলায় অভিযুক্তের চিঠি

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: হাথরাস মামলায় অভিযুক্তের চিঠি হাথরাসের পুলিশ সুপারকে। সেই চিঠিতে তিনি জানালেন, তিনি নির্দোষ, তাঁকে অন্যায়ভাবে দোষী প্রমান করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এবং সেই চিঠিতে তিনি তাঁর তিন বন্ধুকেও নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। হাথরাসের তরুণীর মৃত্যুর পর থেকেই গ্যাংরেপ এবং খুনের দায়ে অভিযুক্ত করা হচ্ছে সেই গ্রামেরই চারজনকে। আপাতত তাঁরা জেলে। যাঁদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তাঁরা সন্দীপ ঠাকুর, রবি, লবকুশ ও রামু চারজনই জেলে রয়েছেন। সেখান থেকেই সন্দীপ যিনি মূল অভিযুক্ত এদিন ন্যায় বিচার চেয়ে চিঠি লিখলেন পুলিশকে।

শুধু তাই নয়, সন্দীপ ঠাকুর তাঁর চিঠিতে দাবি করেছেন সেই দলিত তরুণীর মা ও ভাই তাঁর উপর অত্যাচার করত। মৃতার পরিবারের লোকেরা যে এই অভিযুক্তকে চিনত তার প্রমান আগেই পেয়েছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।

সন্দীপ দাবি করেছেন মৃতা তরুণী তাঁদের বন্ধু ছিল। দেখা করা ছাড়াও তাঁরা ফোনে কথা বলতেন মাঝে মাঝে। হিন্দিতে হাতে লেখা চিঠিতে অভিযুক্তরা তাঁদের বক্তব্য জানিয়েছেন। উত্তর প্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, কল রেকর্ডে এটা পরিষ্কার মৃতার ভাইয়ের সন্দীপের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। গত বছর অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত ১০৪বার ফোন কল হয়েছে দু’জনের মধ্যে।

সন্দীপ তাঁর চিঠিতে অভিযোগ এনেছেন, তরুণীর পরিবার তাঁদের বন্ধুত্ব পছন্দ করত না। তিনি লিখেছেন, ‘‘ঘটনার দিন আমি ওর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম খেতে। যেখানে ওর মা ও ভাইও উপস্থিত ছিল। ও আমাকে চলে যেতে বলায় আমি বাড়ি ফিরে আসি।’’

এর সঙ্গে তিনি লেখেন, ‘‘এর পর আমি গ্রামের মানুষদের থেকে জানতে পারি আমাদের বন্ধুত্ব নিয়ে ওর মা ও ভাই ওকে প্রচন্ড মেরেছে এবং ও গুরুতর আহত। আমি কখনও ওকে মারিনি, কখনও ওর সঙ্গে খারাপ কিছু করিনি। ওর মা এবং ভাই মিথ্যে আমাদের অভিযুক্ত করছে। আমরা নির্দোষ। অনুরোধ করছি তদন্ত করুন এবং আমাদের ন্যায় দিন।’’

আলিগড় জেলের সিনিয়র অফিসার নিশ্চিত করেছেন অভিযুক্তরা এই চিঠি পাঠিয়েছেন। যদিও মৃতার বাবা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

১৪ সেপ্টেম্বর হাথরাসের খেত থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় এই দলিত তরুণীতে উদ্ধার করে গ্রামবাসীরা। গত মঙ্গলবার দিল্লির সফদরজঙ্গ হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। তার পর থেকেই তা নিয়ে উত্তাল দেশ। তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। দলে দলে নেতারা দাঁড়িয়েছে মৃতার পরিবারের পাশে।

স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম  (সিট) যোগী আদিত্যনাথ সরকারের থেকে আরও ১০ দিন সময় চেয়ে নিয়েছে সত্যতায় পৌঁছনোর জন্য। তিন সদস্যের দল মৃতার ভাইয়ের সঙ্গেও কথা বলেছে। সেখানে তাঁর ভাই জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগাযোগ ছিল না। তাঁদের বাড়িতে একটিই ফোন। যদিও পুলিশের কাছে কথপোকথনের রেকর্ড থাকে তাহলে সেটা সামনে আনারও দাবি জানিয়েছেন তিনি।

(দেশের সব খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)