জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: বাড়ির বিছানায় বাঘ বাবাজি, দেখে তো চোখ কপালে উঠেছিল রফিকুল ইসলামের। বৃহস্পতিবার সকাল তখন ন’টা হবে।
মতিলালের ছাঁট লোহার ব্যবসা দেখভাল করেন রফিকুল। গুদামের সামনের দিকের ঘরে দোকান। আর গুদাম লাগোয়া ঘরেই রফিকুলের শোওয়ার বিছানা। লোকজনের চিৎকার শুনে সেই শোয়ার ঘরে উঁকি মেরেই ভিরমি খাওয়ার জোগাড় হয় রফিকুলের। কাঠের খাটে পাতা লাল-কালো-সাদার চাদরের বিছানায় দিব্যি শুয়ে আছে একটা রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার!
এই সংক্রান্ত আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন…
সারা দিন সেখানেই শুয়ে থাকল সে। সারা দিন বলতে, সকাল সেই ৯টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা! প্রায় সাড়ে ৯ ঘণ্টা পর রফিকুলের বিছানা ছেড়ে হেলতে দুলতে বেরোয় ওই বাঘিনি। আর সে যত ক্ষণ রফিকুলের বিছানা দখল করে থাকল, তত ক্ষণ বাইরে তাকে পাহারা দিচ্ছিল পুলিশ, বনকর্মী, পশু চিকিৎসকদের দল। শেষে রাতে সে বাঘিনি ফের জাতীয় উদ্যানে ঢুকে পড়ে।
অসম বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, অতিরিক্ত বর্ষায় ভেসে গিয়েছে কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান। কাজিরাঙার বাগরি রেঞ্জ থেকে এ দিন সকাল সাণে ৮টা নাগাদ তাই বাঘটি নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বেরিয়ে পড়ে। জঙ্গল ছেড়ে প্রথমে ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়কে ওঠে সে। উদ্দেশ্য ছিল, রাস্তা পেরিয়ে উল্টো দিকের কার্বি আংলংয়ের পাহাড়। কিন্তু, বাঘ দেখে সকলেই চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেয়। সঙ্গে রাস্তার গাড়িঘোড়ার আওয়াজ। ফলে ২০০ মিটার এগিয়েই সে জাতীয় সড়কের ধারের একটি ধাবার উল্টো দিকে বাগরি রেঞ্জের হারমোতি এলাকায় টিনের একটা বেড়া টপকে ঢুকে পড়ে মতিলালের ছাঁট লোহার গুদামে। সেখানেই সে রফিকুলের বিছানায় আরাম করে শুয়ে পড়ে।
A shout out to new followers and those following our #AssamFloods #Kaziranga updates, our team is on location w @kaziranga_ & will #waituntildark to give the #tiger a safe passage from the house to the forest. @fayedsouza @protectwildlife @bahardutt @prernabindra pic.twitter.com/rMnFbugcwO
— Wildlife Trust India (@wti_org_india) July 18, 2019
বাঘ দেখে সকলেই চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেয়। সঙ্গে রাস্তার গাড়িঘোড়ার আওয়াজ। ফলে ২০০ মিটার এগিয়েই সে জাতীয় সড়কের ধারের একটি ধাবার উল্টো দিকে বাগরি রেঞ্জের হারমোতি এলাকায় টিনের একটা বেড়া টপকে ঢুকে পড়ে মতিলালের ছাঁট লোহার গুদামে। সেখানেই সে রফিকুলের বিছানায় আরাম করে শুয়ে পড়ে।
কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের অধিকর্তা পি শিবকুমার জানান, পাকড়াও করার বদলে সকাল থেকেই ওই বাঘিনিকে নিরাপদে জঙ্গলে ফিরে যাওয়ার জন্য পথ করে দেওয়ার ব্যবস্থা করছিলেন বনকর্মীরা। এ দিন বিকেলের পর থেকে জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর পর সন্ধ্যায় ওই বাঘিনিটি বেরিয়ে এসে জঙ্গলের পথ ধরে।
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)