মারা গেলেন ডিএমকে সুপ্রিমো এম করুণানিধি, খবর পেয়েই মমতা গেলেন চেন্নাই

মারা গেলেন ডিএমকে সুপ্রিমো এম করুণানিধিডিএমকে সুপ্রিমো এম করুণানিধি

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: মারা গেলেন ডিএমকে সুপ্রিমো এম করুণানিধি, তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৪। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে চেন্নাইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালে প্রয়াত হন তিনি।

বেশ কিছু দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন করুণানিধি। গত ২৮ জুলাই মূত্রথলিতে সংক্রমণ এবং প্রচণ্ড জ্বর নিয়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। ২৯ তারিখেই হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, আপাতত সুস্থ আছেন করুণানিধি। তাঁকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, রাজনীতিক-অভিনেতা কমল হাসন, রজনীকান্ত-সহ অনেকেই। কিন্তু, সোমবার রাত থেকে তাঁর অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। এ দিন তাঁর মৃত্যুর পর ওই হাসপাতালের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়, ‘আমাদের সেরা চিকিৎসক, নার্স এবং মেডিক্যাল টিমের সকল সম্ভাব্য চেষ্টা ছিল। কিন্তু, উনি সাড়া দিলেন না।’

তামিলনাড়ুর পাঁচ বারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন করুণানিধি। প্রায় ছ’দশক ধরে তিনি রাজ্য রাজ্যনীতির অন্যতম মুখ ছিলেন। জয়ললিতা বা এমজি রামচন্দ্রনের মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের পাশাপাশি করুণানিধিও দাপটে রাজনীতি করেছেন। তাঁদের দু’জনের মতোই নিজের কেরিয়ার ফিল্ম দিয়েই শুরু করেছিলেন। সেটা ১৯৪৯ সাল। ‘কলাইগনার’ তাঁর চিত্রনাট্যের জন্য বিখ্যাত হয়ে ওঠেন। সেই সুবাদেই তিনি রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার আগেই অনেকটা পরিচিত ছিলেন।

‘লাল-সাদা-কালো রঙের গাড়ি আসত দিদিদের নিতে

১৯৬৯-এ তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী সিএন আন্নাদুয়ারি মারা যাওয়ার পরেই করুণানিধি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেন। তিন বছর পরে তিনি এমজিআর-কে দল থেকে সরিয়ে দেন। তিনি নতুন দল এআইএডিএমকে গড়ে তোলেন। ১৯৭৭ সালে ক্ষমতায় আসে এআইডিএমকে। ১৯৮৯-এ এমজিআর-এর মৃত্যুর পর ফের ক্ষমতায় বসেন করুণানিধি। তার পর ক্ষমতা হারিয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রী হন ১৯৯৬-এ। সেই সময় তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জয়ললিতা। এর পর থেকে এক বার করুণানিধি এবং এক বার জয়ললিতা পালা করে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করেছেন।

জয়ললিতা বা এমজি রামচন্দ্রনের মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের পাশাপাশি করুণানিধিও দাপটে রাজনীতি করেছেন। তাঁদের দু’জনের মতোই নিজের কেরিয়ার ফিল্ম দিয়েই শুরু করেছিলেন। সেটা ১৯৪৯ সাল। ‘কলাইগনার’ তাঁর চিত্রনাট্যের জন্য বিখ্যাত হয়ে ওঠেন। সেই সুবাদেই তিনি রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার আগেই অনেকটা পরিচিত ছিলেন।

তাঁর মৃত্যুর পর শোকপ্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন বিকালে করুণানিধির শারীরিক অবস্থার গুরুতর অবনতি হওয়া মাত্রই তিনি চেন্নাইয়ের উদ্দেশে রওয়ানা দেন। শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।