জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ভারত-পাক উত্তেজনা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ বার সরাসরি শান্তির বার্তা দিলেন। বৃহস্পতিবার নবান্নে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের শাসকদলের নেত্রী বললেন, ‘‘রাজনীতির প্রয়োজনে যুদ্ধ চাই না। দেশের প্রয়োজনে আমরা রয়েছি। আমরা শান্তি চাই।’’
পুলওয়ামা হামলা-র ১২ দিন পর গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোরে ভারতীয় বায়ুসেনা পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের বালাকোটে অভিযান চালায়। নরেন্দ্র মোদীর সরকার দাবি করে, ওই হামলায় ভারতীয় বায়ুসেনা জইশ-ই-মহম্মদ-এর প্রশিক্ষণ শিবির গুঁড়িয়ে দিয়েছে। সরকারি সূত্র জানিয়ে দেয়, ওই হানায় অন্তত ৩০০ জনের প্রাণ গিয়েছে। মমতা এ দিন প্রশ্ন তোলেন, ‘‘শুনছি, শত্রুপক্ষের ৩০০-৩৫০ লোক মারা গিয়েছে। সংখ্যাটা কত, আদৌ কেউ মারা গিয়েছেন কি না, আমরা জানতে চাই।’’
এখানেই থামেননি মমতা। তিনি আরও বলেন, ‘‘ওই দিন বোমা কোথায় ফেলা হয়েছিল? আদৌ বোমা ঠিক জায়গায় পড়েছে কি না? এ সব তো আমরা জানতে চাইতেই পারি।’’ এর পরেই তিনি কয়েকটি বিদেশি সংবাদপত্রের নাম উল্লেখ করে বলেন, ‘‘ওরা বলছে, এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি। বোমাটা অন্য জায়গায় পড়েছে, মিস হয়েছে। মানুষ মারা যায়নি। কেউ বলছে এক জন মারা গিয়েছেন। সত্যিটা কী, এটা তো মানুষ জানতে চাইতেই পারে।’’
তবে মমতা এ সব বলে যে বিজেপি সরকারকেই প্রশ্নে বিঁধতে চেয়েছেন, সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তাঁর কথায়। তিনি বলেন, ‘‘আমরা বাহিনীর সঙ্গে রয়েছি। কিন্তু বাহিনীকে সত্যি কথাটা বলার সুযোগ দেওয়া উচিত। দেশবাসীর তো সত্যিটা জানা উচিত।’’
বুধবার সংসদের অ্যানেক্স ভবনে বিরোধী দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মমতা। সেখানে জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয়। ভারত-পাক উত্তেজনাকে মোদী সরকার রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে— সে অভিযোগও ওঠে ওই বৈঠক থেকে। সেখানেও সরব হতে দেখা যায় মমতাকে। এ দিন আরও এক ধাপ এগিয়ে মমতা প্রশ্ন তোলেন, এমন একটা পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়েও। তিনি বলেন, ‘‘পুলওয়ামার ঘটনা এবং তার পরে ভারতীয় বায়ুসেনার প্রত্যাঘাত, কোনও কিছু নিয়েই তো প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলগুলির সঙ্গে আজ পর্যন্ত একটি বৈঠকও করেননি।’’
ভারত-পাক উত্তেজনা: পাকিস্তানের হেফাজতে থাকা ভারতীয় পাইলটকে ফেরতের দাবি
এ দিনের বক্তব্যে তিনি জানিয়ে দেন, জওয়ানদের রক্তে রাজনীতি করা উচিত নয়। তিনি সেটা যে পছন্দ করেন না, ভারত-পাক উত্তেজনা নিয়ে মমতা এ দিন সে কথাও স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন।
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)