জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ছোট্ট শিশুকে সঙ্গে নিয়েই থানায় ডিউটি করেন মা। মধ্যপ্রদেশের ঝাঁসির কোতোয়ালি থানায় কনস্টেবল পদে কাজ করেন অর্চনা জয়ন্ত। সন্তানের প্রতি স্নেহ এবং ডিপার্টমেন্টের প্রতি কর্তব্য— এই দুয়ের মিশেলে তিনি ঝাঁসির নাম ফের তুলে ধরেছেন গোটা দেশের কাছে।
ঝাঁসির কোতোয়ালি থানার একটি ছবি সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, থানার ডেস্কের উপরেই ঘুমিয়ে রয়েছে ছোট্ট একটি শিশু। আর তার পাশে মাথা গুঁজে কাজ করছেন এক মহিলা পুলিশ কর্মী। ওই মহিলা পুলিশ কর্মীই অর্চনা জয়ন্ত। তাঁর এই ছবি দেখার পর ঝাঁপিয়ে পড়ে সংবাদমাধ্যম। অর্চনার এই কর্তব্যপরায়নতা নিয়ে সকলে খবর করে।
সেই খবরের কথা উল্লেখ করে টুইট করেন ঝাঁসি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাহুল শ্রীবাস্তব। তিনি টুইটারে লেখেন, ‘কোতোয়ালি থানায় কর্মরত অর্চনা নামের এই মা-পুলিশকে দেখুন, মাতৃত্ব এবং ডিপার্টমেন্টের প্রতি কর্তব্য একইসঙ্গে কী ভাবে তিনি পালন করেন! তিনি স্যালুট করার যোগ্য!’ পুলিশ বিভাগের থেকে অর্চনাকে স্বীকৃতি স্বরূপ ১ হাজার টাকা পুরস্কারও দেওয়া হয়েছে।
Meet ‘MotherCop’ Archana posted at kotwali jhansi for whom the duties of motherhood & the department go side by side !
She deserves a Salute !! pic.twitter.com/oWioMNAJub— RAHUL SRIVASTAV (@upcoprahul) October 27, 2018
সাতসকালে বাড়ি থেকে ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে থানায় পৌঁছন অর্চনা। তার পর অফিসের ডেস্কে মেয়েকে শুইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেন। মাঝে মাঝে তাঁকে কোলে নিয়েও কাজ করেন। খাওয়ানোর সময়েও মেয়েকে থানা চত্বরে নিয়ে ঘুরে বেড়ান। তাতে যদিও কাজের কোনও রকম ক্ষতি হয় না বলেই জানিয়েছেন ঝাঁসির পুলিশকর্তারা। অন্য পুলিশকর্মীরাও তাঁর সন্তানের দেখভাল করেন অনেক সময়।
মোহনবাগান নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক নেতাদের জটলা
এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই অনেকে পুলিশ বিভাগকে আরও সংবেদনশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কর্মক্ষেত্রে মায়েদের আরও সুযোগসুবিধার দাবি জানিয়ে পোস্ট করা হয়েছে। আরও ভাল সুযোগসুবিধা মেলা উচিত মহিলা পুলিশকর্মীদের। তাঁরা যাতে সন্তানদের আরও যত্ন নিতে পারে সে বিষয়ে ডিপার্টমেন্টের আরও সচেতন হওয়া উচিত মনে করেন অনেকে। কেউ কেউ আবার পরামর্শ দিয়েছেন, ওই মহিলা পুলিশকর্মীকে স্যালুট না জানিয়ে থানা চত্বরে একটি ক্রেশের ব্যবস্থা করা উচিত। তা হলে স্ত্রী-পুরুষ নির্বিশেষে অনেকেই উপকৃত হবেন।
অর্চনার স্বামী একটি নামী মোটরগাড়ি সংস্থায় কাজ করেন। কনক নামে তাঁর ১০ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। তবে সে কানপুরে দাদু-দিদিমার কাছে থেকে পড়াশোনা করে। ঝাঁসিতে একটি বাড়ি ভাড়া করে ছোট মেয়ে অনিকাকে নিয়ে থাকেন অর্চনা। তিনি ডিপার্টমেন্টের কাছে দরবার করেছেন, যাতে তাঁকে আগরাতে বদলি করা হয়। কারণ সেখানেই তাঁর পরিবারের অন্যেরা থাকেন।