জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: দাঁড়িপাল্লায় নরেন্দ্র মোদী, অন্য দিকে পদ্মফুল চাপানো। নিজের ওজনের সমান পদ্মফুল দেওয়া হল উপাচারে। পুজো দিলেন মন্দিরে।
শনিবার সকাল দশটা নাগাদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পৌঁছন ত্রিশূর জেলার গুরুবায়ুর মন্দিরে। প্রধানমন্ত্রী পৌঁছতেই রীতি মেনে শুরু হয় ‘তুলাভরম’। দাঁড়িপাল্লার এক দিকে নরেন্দ্র মোদী। অন্য দিকে তোলা হয় পদ্মফুল। তামিলনাড়ুর নাগেরকয়েল থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল ওই ফুলগুলি। কেরলের ঐতিহ্যবাহী ‘কাসাভু মুন্ডু’ পোশাক পরে কেরলে নরেন্দ্র মোদী পুজো দিলেন মন্দিরে।
এর পরে দুপুরে ত্রিশূরে জনসভা ছিল মোদীর। দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে বসার পরে এটাই তাঁর প্রথম জনসভা। ওয়েনাডের সাংসদ হিসেবে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী এই মুহূর্তে তিন দিনের কেরল সফর করছেন। তার মধ্যেই এ দিন প্রধানমন্ত্রী গিয়েছিলেন বিখ্যাত গুরুবায়ুর মন্দিরে। সভাও করেন ত্রিশূরে। কেরলে রাহুল গাঁধী যখন একের পর এক রোড শো থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করেছেন, মোদীর মুখে তখন সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলার কথাই শোনা গিয়েছে। তাঁর মুখ থেকে উধাও ভোট প্রচারের সেই সব ঝাঁঝালো ভাষা।
আরও পড়তে…
শপথ নিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, সঙ্গে অমিত-রাজনাথ-নির্মলা-নিতিন-সহ ৫৮ সাংসদ
কেরল বিজেপিকে একটাও আসন দেয়নি। কিন্তু সে সব তুলে রেখে এ দিন মোদী জানিয়েছেন, কেরল তাঁর কাছে নিজের কেন্দ্র বারাণসীর মতোই আপন। পুজো দেওয়ার পরে রাজ্য বিজেপি আয়োজিত অভিনন্দন সভায় মোদী তাঁর কেরল সফরের কারণ ব্যাখ্যা করেন। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, অনেকেই অবাক হয়ে ভাবছেন কেরলে একটাও আসন না জিতে নরেন্দ্র মোদী কেন এ রাজ্যে ভাষণ দিতে এলেন? জবাবও দিয়ে দেন মোদী। তিনি জানান, আসলে দেশের মানুষকে নরেন্দ্র মোদী আলাদা চোখে দেখেন না। তাঁর কাছে কেরলের মানুষ ততটাই আপন, যতটা বারাণসীর। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘গণতন্ত্রে ভোট হবেই। আর এতে জয়ী হচ্ছেন যিনি, তাঁর দায়িত্ব ১৩০ কোটি দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে চলা। যাঁরা আমাদের জিতিয়েছেন, আর যাঁরা জেতাতে চাননি, সকলেই আমাদের নিজেদের লোক।’’
মোদীর দাবি, শুধু সরকার গড়তেই রাজনীতিতে আসেননি তিনি। বরং মানুষের জন্য কাজ করে যেতে এসেছেন। তাঁর মতে, দেশের মানুষ পাঁচ বছরের জন্য জন প্রতিনিধি নির্বাচন করেন। কিন্তু তাঁরা জন সেবক। সারা জীবন মানুষের জন্য কাজ করে যাবেন বলেও তিনি দাবি করেন। ভোটে মানুষই ভগবান বলেও মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে তাঁকে।
কেরলে নরেন্দ্র মোদী পুজো দেওয়ার পর রওনা হন মলদ্বীপের উদ্দেশে। দু’দিনের বিদেশ সফরে সেখান থেকে তিনি যাবেন শ্রীলঙ্কায়। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দ্বিতীয় বার দায়িত্ব পাওয়ার পর এটাই তাঁর প্রথম বিদেশ সফর। মলদ্বীপে সেখানকার পার্লামেন্টে ভাষণ দেন মোদী। দেখা করেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সলিহর সঙ্গে। মলদ্বীপ সরকার মোদীকে ‘অর্ডার অব নিশানিজুদ্দিন’-এ সম্মানিত করে।
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)