নীতি আয়োগের বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, যাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা

নীতি আয়োগের বৈঠকনীতি আয়োগ

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: নীতি আয়োগের বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামী শুক্রবার অর্থাৎ ১৫ জুন নয়াদিল্লিতে দেশের সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ওই বৈঠকে ডেকেছেন তিনি। কিন্তু ওই দিন রাষ্ট্রপতি ভবনে যে নীতি আয়োগের বৈঠক হবে, সেখানে যাবেন না বলে শুক্রবার জানিয়ে দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে লেখা এক চিঠিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।

ওই চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, নীতি আয়োগের কোনও অর্থনৈতিক ক্ষমতা নেই। রাজ্যের উন্নয়নে নীতি আয়োগ কোনও ভূমিকা নেয় না। শেষ সাড়ে চার বছরে তাঁর অভিজ্ঞতা এমনই। প্রধানমন্ত্রীকে লেখা তিন পাতার ওই চিঠিতে এ বিষয়ে সবিস্তার লিখেছেন তিনি। তাঁর মতে, যোজনা কমিশনের অর্থ বরাদ্দের ক্ষমতা ছিল। ছিল রাজ্যগুলির মধ্যে অর্থ বণ্টনের ক্ষমতাও। কিন্তু নীতি আয়োগের সেই সব ক্ষমতা নেই। তাই তিনি যাবেন না বলে জানিয়েছেন মমতা।

২০১৪ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। ওই বছরেরই ১৫ অগস্ট মোদী যোজনা কমিশনের পরিবর্তে নীতি আয়োগ গড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। মমতা তাঁর চিঠিতে সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে লিখেছেন, ২০১৪-র ১৫ অগস্ট নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছিলেন যোজনা কমিশনের পরিবর্তে একটি নতুন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে। কিন্তু সেই ঘোষণার আগে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে কোনও আলোচনা করা হয়নি। মমতার মতে, ওই ঘটনায় তিনি অবাক হয়েছিলেন।

আরও পড়তে…
মোদীর শপথে মমতা যাচ্ছেন না, বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ

ওই চিঠিতে তিনি আরও লিখেছেন, যোজনা কমিশনের আগে জাতীয় যোজনা কমিটি ছিল। সেই জাতীয় যোজনা কমিশন তৈরি করেছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। সেটা ১৯৩৮ সাল। পরে ১৯৫০ সালের ১৫ মার্চ যোজনা কমিশন গড়া হয়। মমতার দাবি, যোজনা কমিশনের হাতে প্রচুর আর্থিক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রকগুলির পাশাপাশি বিভিন্ন রাজ্যে সরকারও কী ভাবে খরচ করবে তার রূপরেখাও তৈরি করার ক্ষমতা ছিল কমিশনের হাতে। যোজনা কমিশনের সেই সব পরামর্শ এবং প্রস্তাব রাজ্য সরকারগুলি বিবেচনা করত। অর্থ বরাদ্দের পাশাপাশি দেশে সম্পদ বণ্টনের রূপরেখা তৈরি করত যোজনা কমিশন।

এটাই প্রথম নয়, এর আগে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদীর দ্বিতীয় বারের জন্য শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানেও আমন্ত্রণ এসেছিল মমতা। প্রথমে যাবেন বলেও পরে সেই অনুষ্ঠানে যাওয়ার সিদ্ধান্তও বাতিল করেন তিনি। রাজনৈতিক মহলের একটা অংশের মতে, মোদী সরকারের সঙ্গে সঙ্ঘাতের রাস্তা থেকে সরতে চাইছেন না মমতা। এ দিনের চিটিতে ফের এক বার তা প্রমাণিত হল।

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)