জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: নিট পরীক্ষা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। এক পক্ষ চাইছিল কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে বন্ধ করা হোক জয়েন্ট ও নিট পরীক্ষা। কিন্তু কেন্দ্র তাতে রাজি হয়নি। জয়েন্টে হাজিরার পরিমান কিছুটা আশানুরূপ না হলেও ডাক্তারীর পরীক্ষায় সব ভয় কাটিয়ে গোটা দেশে হাজির হলেন ছাত্রছাত্রীরা। দেশ জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় যানবাহনের চলাচলও রয়েছে নিয়ন্ত্রিত। সেই কারণ দেখিয়েই নিট স্থগিত রাখার আবেদন জানানো হয়েছিল একাধিক রাজ্যসরকারের তরফে। কিন্তু তা নাকচ হয়ে যেতেই নতুন করে ভাবনা-চিন্তা শুরু করে।
নিটের কথা ভেবে রবিবার শুধুমাত্র ছাত্রছাত্রীদের জন্য চালানো হয় মেট্রো। সোমবার থেকে মেট্রো খুলে যাচ্ছে জন সাধারণের জন্য। এদিন অ্যাডমিট কার্ড দেখিয়ে ছাত্রছাত্রীরা মেট্রো ব্যবহার করেছেন।
পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতেও ছিল সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সকাল ১১টা থেকে শুরু হয়ে গিয়েছিল কেন্দ্রগুলোতে পরীক্ষার্থীদের পৌঁছনো। পরীক্ষা শুরু হয় দুপুর দুটো থেকে। দ্রুত পৌঁছতে বলা হয়েছিল কারণ, সবরকম প্রোটোকল মেনে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে বেশ খানিকটা সময় লাগবে।
পরীক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন সময় বেধে দেওয়া হয়েছিল। সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং ঠিক রাখার জন্য কেন্দ্রে ঢোকাও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছিল। ছাত্রছাত্রীদের দেখা গিয়েছে পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে। এবং ভিতরে যাওয়ার আগে সবার শরীরের তাপমাত্রা দেখা হয়েছে।
এমনও হয়েছে, কারও কারও তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেশি এসেছে। এদিন দেশ জুড়ে গরম ও রোদ ছিল। সেকারণেই অনেকের তাপমাত্রা বেশি হয়ে গিয়েছিল কেন্দ্রে পৌঁছতে পৌঁছতে। সেই সব পরীক্ষার্থীদের কিছুটা সময় ঠান্ডায় বসিয়ে বিশ্রাম নিয়ে, জল খাইয়ে আবার তাপমাত্রা পরীক্ষা করে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে।
এদিনের পুরো দায়িত্বটাই দেওয়া হয়েছিল ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির হাতে। তারা পরীক্ষাথীদের জন্য একটি গাইডলাইনও দিয়েছিলেন। তার মধ্যে ফেসমাস্ক ও গ্লাভস ছিল বাধ্যতামূলক। সঙ্গে পরীক্ষার্থীদের থেকে লিখিতভাবে নেওয়া হয়েছে, তাঁদের কোভিড নেই বা তাঁদের কোনও উপসর্গ নেই এবং তাঁরা কোনও কোভিড আক্রান্তের সংস্পর্শে আসেননি।
দেশ জুড়ে এই পরীক্ষার জন্য নাম নথিভুক্ত করিয়েছিলেন ১৬ লাখের উপর ছাত্রছাত্রী। সব রাজ্য সরকারই পরীক্ষার্থীদের পাশে ছিল এবং তাঁরা যাতে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে পারে সে ব্যবস্থা করেছিল। ওড়িশা সরকার যাতায়াত এবং থাকা ফ্রি করে দিয়েছিল। মুম্বই রেল বিশেষ ট্রেন চালিয়েছেন পরীক্ষার্থীদের জন্য। বিহারেও চালানো হয়েছে বিশেষ ট্রেন।
আর এই পরীক্ষাকে কেন্দ্র করেই নিউ নর্মালে কলকাতায় মেট্রো পরিষেবা চালু হয়ে গেল। সকাল ১০টায় এদিন প্রথম মেট্রো ছাড়ে নোয়াপাড়া ও কবি সুভাষ স্টেশন থেকে। ১৫ মিনিট অন্তর চালানো হয় মেট্রো। সন্ধে সাতটা পর্যন্ত চলে এদিনের মেট্রো পরিষেবা। সব নিয়ম মেনেই এদিন যাত্রীদের মেট্রোতে চরতে দেওয়া হয়।
শুধু পরীক্ষা কেন্দ্রের ছবিটিই সঠিক। তার আগে পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় যে ভাবে সামাজিক দুরত্বের দফারফা হয়েছে তা দেখে নতুন করে কোভিড সংক্রমণ বাড়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে গিয়েছে। এমনিতেই দেশ জুড়ে প্রতিদিনই রেকর্ড হচ্ছে। সেই আগুনে হাওয়ার মতো কাজ করবে এই সব পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছনোর রাস্তা।
(করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সব খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন)
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)