জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: Omicron Effect, এখনই শুরু হচ্ছে না আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল। ইতিমধ্যেই বিদেশ থেকে আসা ৮ জনের শরীরে পাওয়া গিয়েছে কোভিড-১৯ সংক্রমণ। তাঁরা ওমিক্রন ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়। তার মধ্যেই ১৫ ডিসেম্বর থেকে দেশে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল স্বাভাবিক করার কথা ঘোষণা করে দিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। কিন্তু বিভিন্ন দেশে ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্তে পিছু হটল সরকার। আপাতত জানিয়ে দেওয়া হল পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ১৫ ডিসেম্বর থেকে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না। কবে থেকে হবে তা পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী সময়ে জানানো হবে।
গত ২৬ নভেম্বরই আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা স্বাভাবিক করার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই দেশের সব বিমন বন্দরে নতুন কোভিড নিয়ম জারি করে দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে যাঁরা ঝুঁকির মধ্যে থাকা দেশগুলো থেকে আসবেন। তা ছাড়া অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রেও নিয়ম বাড়ানো হয়েছে। এদিন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়,‘‘গোটা বিশ্বের যা পরিস্থিতি তার উপর ভিত্তি করে সব অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করে তবেই বিমান চলাচল স্বাভাবিক কবে হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’
আন্তর্জাতিক বানিজ্যিক বিমান গত ২০ মাস ধরে বন্ধ আর যাত্রী বিমান বাবল ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে চলছে। কয়েকটি দেশ নিজেদের মধ্যে বিমান চলাচল শুরু করেছে বর্তমান পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। তবে আবার নতুন করে সব অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরতে চলেছে। ২ শতাংশ যাত্রী যাঁরা বিদেশ থেকে আসছে হঠাৎ করে তাঁদের পরীক্ষার জন্য ডাকা হতে পারে। পরীক্ষার ফল আসার আগে তাঁরা গন্তব্যে পৌঁছে গেলেও আইসোলেশনে থাকতে হবে এক সপ্তাহের জন্য।
বিভিন্ন বিমান বন্দর আলাদা করে রাজ্যের নিয়মও জারি করেছে। মুম্বইয়ে যেমন ডোমেস্টিক বিমানের ক্ষেত্রেও যাত্রীদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যের নেগেটিভ রিপোর্ট ছাড়া বিমান বন্দরের বাইরে যেতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিমান সংস্থাগুলোকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, নেগেটিভ সার্টিফিকেট ছাড়া যেন মুম্বইয়ের বিমানে কাউকে উঠতে দেওয়া না হয়।
আন্তর্জাতিক যাত্রীদের ক্ষেত্রে বিমান বন্দরেই আরটিপিসিআর পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এলে তবেই বাইরে যেতে দেওয়া হবে। এবং সঙ্গে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন, এই নিয়ম সব আন্তর্জাতিক যাত্রীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। যাঁরা ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে আসবেন তাঁদের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে ৭ দিন। সঙ্গে দ্বিতীয় চতুর্থ ও সপ্তম দিন আরটিপিসিআৱ পরীক্ষা হবে। পজিটিভ এলে হাসপাতালে রাখা হবে।
২৬ নভেম্বরের ঘোষণা অনুযায়ী ঝুঁকিপূর্ণ দেশের মধ্যে রয়েছে ইউরোপ, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, বাংলাদেশ, বতসোয়ানা, চিন, মরিশাস, নিউজিল্যান্ড, জিম্বাবোয়ে, সিঙ্গাপুর, হংকং এবং ইজরায়েল। এছাড়া ইউরোপের বেশ কিছু দশ যেমন ইউকে, জার্মানি, স্পেন, বেলজিয়াম ও ইতালিও রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা, বতসোয়ানা, ইজরায়েল, জাপান ও হংকং-এ ইতিমধ্যেই ওমিক্রন আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)