Own Home, নিজের গাড়ি তো সব মানুষেরই স্বপ্ন থাকে। কেউ সফল হয় সেই স্বপ্ন পূরণ করতে, কেউ আবার শত চেষ্টাতেও পেরে ওঠে না। জীবনের বাকি প্রয়োজন মেটাতে মেটাতে আর নিজের নামের গাড়ি, বাড়ি করা হয়ে ওঠে না। বাস্তব জীবন সব সময় স্বপ্নের পরিপূরক হয়ে উঠতে পারে না। এমন অবস্থায় মানুষের কাছে বিকল্প আর কিই বা থাকে। মাথা গোজার একটা জায়গা তো সবার আগে প্রয়োজন। এমনও হতে পারে, হয় হল গাড়ি, নয় বাড়ি। যদিও বাড়ির থেকে গাড়ির মূল্য অনেকই কম। তাই গাড়ি কেনা সহজ হলেও বাড়ি অনেকেরই ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এমন কি কখনও ভেবেছেন, বাড়ি না হয় নাই হল, একটা গাড়ি কিনে তাতেই বাকি জীবনটা কাটিয়ে দেওয়া যায়। আপনি না ভাবুন, এমনটাই ভেবেছেন এক ভারতীয়। তবে তাঁর যান কিন্তু জলযান।
পেশার তাগিদে ভারতের মূল শহরগুলিতে সবাই থাকতে চায়। যত চাহিদা, তত দাম বেশি। আর এর কারণেই শহরের বাড়ি বা ফ্ল্যাটের মূল্য আকাশছোঁয়া। প্রাথমিকভাবে ওপি ভেবেছিলেন, একটা বাড়ি বা ফ্ল্যাট কিনেই ফেলবেন। কিন্তু বাধ সাধল তার চড়া দাম। আর তখনই তাঁর মাথায় খেলে গেল অন্য একটি বুদ্ধি। ওপি সোশ্যাল মিডিয়ার কাছেই তাঁর অসহায় অবস্থার কথা জানিয়ে, তার সহজ সমাধানের কথাটাও জানিয়েছেন। তবে তাতে কোনও আইনি সমস্যা রয়েছে কি না সেটাও জানতে চেয়েছেন। তিনি পরিষ্কার করেছেন যে বেঙ্গালুরু, চেন্নাই এবং হায়দরাবাদের মতো মেট্রো শহরে সম্পত্তি কেনার জন্য তাঁর কাছে তহবিল নেই এবং তিনি ইএমআইও বহন করতে পারবেন না।
“আমি ভারতের কোনও শহরে – বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, হায়দরাবাদে ফ্ল্যাট কিনতে পারছি না। আমার বয়স ইতিমধ্যেই বেড়ে গেছে, তাই ইএমআই-এর জন্য আমার এখন আর কাজ করার বয়স হবে না,” রেডিটে ওপি লিখেছেন।
“আম কি একটি ছোট নৌকা ভাড়া করে বা কিনে, যেখানে একটি রান্নাঘর, স্নানঘর এবং তার উপর তৈরি দু’টি ঘর থাকবে, তা কি বৈধ? সমস্ত শহরেই কয়েকটি ঝিল রয়েছে, আমি কি এই নৌকাগুলি হ্রদ বা সমুদ্রের তীরে পার্ক করে সেখানে থাকতে পারি,” তিনি আরও লেখেন।
ওপি বলেছেন যে তিনি “দাম নিয়ে হতাশ” এবং সোশ্যাল মিডিয়ার সদস্যদের কাছ থেকে সিরিয়াস পরামর্শের প্রয়োজন। তিনি লেখেন, “এটি একটি গুরুতর প্রশ্ন। হাউসবোটের দাম ১৫ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা। তাছাড়া, যদি বন্যা আসে, তবুও আমি ভেসে থাকব।”
পোস্টটি ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা বিষয়টি নিয়ে তাদের মতামত প্রকাশ করেছেন, বেশিরভাগই এই ধরণের পদক্ষেপের ব্যবহারিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অন্যরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে আমলাতান্ত্রিক ফাঁদ এবং বিভিন্ন কর্মকর্তাদের ঘুষ পুরো প্রক্রিয়াটিকে ব্যর্থ করে দেবে।
“আমা আপনার পরিকল্পনাটি পছন্দ হয়েছে, কিন্তু আপনি কোথায় একটি হ্রদ পাবেন কারণ সব জলাশয় ভরাট করে অ্যাপার্টমেন্ট তৈরি হচ্ছে,” একজন ব্যবহারকারী বলেছেন। অন্য একজন যোগ করেছেন, “আপনি কি শহরে একটি বাড়ি কিনতে পারবেন না? এটি নৌকার মতো মজাদার হবে না তবে কমপক্ষে এটি আরও বাস্তবসম্মত হবে।”
তৃতীয় একজন মন্তব্য করেছেন, “সরকারি সম্পত্তির জোরপূর্বক দখলের জন্য ৬০ লক্ষ টাকা কর দিতে যদি আপনি রাজি থাকেন তবে এটি অনুমোদিত হবে।”
চতুর্থজন যোগ করেছেন, “আমার মনে হয় না আপনি এটা ভেবে দেখেছেন। প্রথমত, আপনি শহরের কোথাও একটি হ্রদে একটি বড় নৌকা রাখতে পারবেন না। হ্রদগুলি জনসাধারণের সম্পত্তি এবং আপনি এটি ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য ব্যবহার করতে পারবেন না। এর অর্থ হল ঘুষ যা ক্রমাগত এবং অনেক ব্যয়বহুল।”
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: Facebook, Twitter, Google