Pahalgam ভরা ট্যুরিজম মরসুমে কেমন যেন একলা হয়ে গিয়েছিল গত একমাসে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যেমন সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে যায় তেমনই প্রভাব দেখা যাচ্ছে পহেলগাঁওয়ে। ফিরছেন ভ্রমনার্থীরা। গত রবিবার স্বয়ং জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা নিজে পহেলগাঁও ঘুরে এসে সেখানকার ছবি পোস্ট করে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। ‘‘সন্ত্রাসী হামলার পর যেভাবে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল তার কয়েক সপ্তাহ পর পর্যটকরা এই মনোরম শহরে ফিরে আসা শুরু করেছে, স্থানীয় ট্যুরিজম অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে,” বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এক মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো পহেলগাঁওয়ে ফিরে এসে আবদুল্লাহ জনাকীর্ণ রাস্তা এবং যানজটের ছবি শেয়ার করেছেন, কারণ কাশ্মীর পর্যটন পুনরুজ্জীবনের প্রথম লক্ষণ দেখতে শুরু করেছে। পহেলগাঁওয়ের প্রকৃতি ভ্রমণপিপাসুদের কাছে সব সময়ই আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকে। সাময়িক ভয় কাটিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটকদের স্থানীয় পিকনিককারীরাও পহেলগাঁওয়ে পৌঁছচ্ছেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
“শেষবার যখন আমি পহেলগাঁওয়ে ছিলাম, তখন আমি প্রায় নির্জন একটি বাজারের মধ্যে দিয়ে সাইকেল চালিয়েছিলাম। আজ আমি আবার এমন একটি পহেলগাঁওয়ে ফিরে এসেছি যেখানে প্রচুর মানুষ ছিল। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটকরা স্থানীয় পিকনিককারীদের সঙ্গে জায়গার জন্য রীতিমতো প্রতিযোগিতা করছেন। ভ্রমণার্থীরা ঠান্ডা আবহাওয়া এবং বৃষ্টি উপভোগ করছেন,” তিনি টুইট করেছেন।
“আমি এবং আমার সহকর্মীরা ধীরে ধীরে যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি তার পর এটা দেখে খুবই সন্তুষ্ট,” আব্দুল্লাহ আরও বলেন।
মে মাসের শেষ সপ্তাহে, আবদুল্লাহ এবং তাঁর মন্ত্রীরা রাজধানী শ্রীনগর থেকে পহেলগাঁওয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক করার জন্য যান, যেখানে বৈসরন উপত্যকায় সন্ত্রাসী হামলার পর আস্থা তৈরি করা হয়, যেখানে ২৫ জন পর্যটক এবং একজন স্থানীয় নিহত হয়েছিলেন।
লস্কর সন্ত্রাসীদের হামলার ফলে সরকার কাশ্মীরের বেশ কয়েকটি পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছিল, কারণ এই এলাকা থেকে বিপুল সংখ্যক পর্যটক মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। মে মাসে হোটেলগুলিতে ৮০% বুকিং বাতিলের খবর পাওয়া গিয়েছিল।
তবে, বন্ধ থাকা ৪৮টি পর্যটন কেন্দ্রের মধ্যে ১৬টি পুনরায় চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, “পৃথিবীতে স্বর্গ” হিসেবে খ্যাত কাশ্মীরে পর্যটন পুনরুজ্জীবিত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
পর্যটন শিল্প কাশ্মীরের জীবনরেখা। এটি জম্মু ও কাশ্মীরের জিডিপির প্রায় ৭-৮ শতাংশের জন্য দায়ী। উপত্যকার জন্য এটি আরও বেশি। তাই সে রাজ্যে পর্যটন শুরু হলে সেখানকার স্থানীয়দের জন্যও স্বস্তির। সঙ্গে কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রীও আহ্বান জানাচ্ছেন যাতে ভ্রমণার্থীরা আগের মতোই যেন কাশ্মীর ভ্রমণে যান।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: Facebook, Twitter, Google