রাজনীতিকদের হোলি দিল্লিতে এ বার হল না, কারণ সেই পুলওয়ামা

রাজনীতিকদের হোলি দিল্লিতে

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: রাজনীতিকদের হোলি দিল্লিতে প্রতি বারই এক চিত্তাকর্ষক বিষয়। কিন্তু, এ বার আর সেই হোলি উৎসব দেখা গেল না রাজনীতিকদের। কারণ, পুলওয়ামা হামলা। আগে থেকে অনেকেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, পুলওয়ামায় নিহত জওয়ানদের সম্মান জানাতে এ বার হোলি উৎসব উদ্‌যাপন করবেন না। সেই তালিকায় ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরারা।

তবে বৃহস্পতিবার টুইটারে দেশবাসীকে হোলি এবং নওরোজের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একই রকম ভাবে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এবং দলের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। তবে দিল্লির নেতারা এ বার হোলি নিয়ে তেমন একটা মাতামাতি না করলেও উৎসবে মেতেছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে আরএসএস দফতরে হোলি উদ্‌যাপন করেন তিনি। পরে তিনি যান গোরক্ষপুর মন্দিরের হোলি মিলন উৎসবে। মথুরায় হোলি উৎসবে যোগ দেন বিজেপি নেত্রী হেমা মালিনী। এ দিন সন্ধ্যায় তাঁর নাম সেখানকার প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করেছে বিজেপি।

পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করল অবশেষে, বিয়াল্লিশে আপাতত আঠাশ

রাজনীতিকদের একটা বড় অংশের মত, হোলির মতো রঙের উৎসব ঘিরে কর্মী-সমর্থক ও মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর ঐতিহ্য বহু দিনের। লালকৃষ্ণ আডবাণী থেকে লালুপ্রসাদ সকলেই এই রঙের উৎসব পালন করে আসছেন অনেক দিন ধরেই। লালকৃষ্ণ আডবাণীর বয়স হয়েছে। এ দিন বিজেপি যে প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করেছে, সেখানে গান্ধীনগর থেকে তাঁর বদলে দাঁড় করানো হয়েছে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহকে।

এ বারেরটা হোলিটা একটু অন্য রকম। হোলির পরেই লোকসভা ভোট।  উত্তরপ্রদেশ-সহ নানা রাজ্যে স্থানীয় স্তরে হোলিকে কেন্দ্র করে জনসংযোগের কাজ করছেন প্রার্থীরা। কিন্তু ভোটে অন্যতম বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে পুলওয়ামা ও তার পরে পাকিস্তানের বালাকোটে অভিযান।

সিআরপিএফ আগেই জানিয়েছিল, বাহিনী এ বার হোলি উদ্‌যাপন করবে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে একই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজনাথ। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব ও আপ নেতা কেজরিওয়াল একই পথে হাঁটায় রাজনৈতিক হোলির রং অনেকটাই ফিকে হয়ে গিয়েছে।

হোলির দিন দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। তবে পুলওয়ামার হামলার কথা মাথায় রেখেই তিনি বা রাহুলও হোলি মিলনের মতো অনুষ্ঠানে যাননি। রাজনীতিকেরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, অতীতে অনেক সময়েই বিশেষ বিশেষ সঙ্কটের সময়ে হোলি না খেলারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজনীতিকেরা।

(ভারতীয় রাজনীতির আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)