জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: কালবৈশাখীতে বিপর্যস্ত শহর এবং শহরতলী। তখন সবে রঙের খেলা শেষ করে মানুষ ঘর মুখি। স্নান, খাওয়া জমিয়ে আড্ডার প্রস্তুতির মধ্যেই আকাশ কালো করে এল। ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস তো ছিলই। সেই মতই বিকেল পাঁচটা থেকে আকাশের মুখ ভারের সঙ্গে শুরু হয়ে হাওয়া। তার গতি ক্রমশ বাড়তে থাকে। ঝড়ের আকাড় নেয় সেই হাওয়া। সঙ্গে শুরু হয় প্রবল বৃষ্টি। দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে কালবৈশাখীর এতটাই তান্ডব ছিল যার ফলে মৃত্যু হয়েছে তিন জনের।
শুক্রবার ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে পড়ে বর্ধমানে মৃত্যু হয় দু’জনের। জানা গিয়েছে যখন প্রবল ঝড় ও বৃষ্টি শুরু হয় তখন পশ্চিম বর্ধমানের বুদবুদে একটি গাছের নিচে আশ্রয় নিয়েছিলেন দু’জন। সেখানেই বাজ পনে মৃত্যু হয় এই দুই ব্যাক্তির। অন্যদিকেপূর্ব বধ৪মানে মন্তেশব্রেও বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক জনের।
শুক্রবার সাময়িক সময়ের জন্য হলেও প্রায় ৬৮ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যায় কলকাতা শহরের উপর দিয়ে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে কলকাতার জনজীবন। কলকাতা সংলগ্ন হাওড়া, হুগলি, উতত্র ২৪ পরগনায়ও বিপুল প্রভাব পড়ে ঝড়ের। গাছের ডাল ভেঙে বন্ধ হয়ে যায় রাস্তা। উড়ে যায় দোকানপাটের ছাউনি। উপড়ে পড়ে গাছ। ক্ষতিগ্রস্ত হয় জেলার ফসলও।
সন্ধ্যের মুখে যখন ঝড় শুরু হয় তখন অফিস ফেরতা মানুষ ঘরমুখি কিন্তু যে যেখানে ছিল সেখানেই আটকে যান। ব্যহত হয় যান চলাচল। বিপর্যয় মোকাবিলা দল পৌঁছে রাস্তা পরিষ্কার করে দ্রুত।
ব্যহত হয় ট্রেন চলাটলও। নৈহাটি-শিয়ালদহ শাখায় ওভার হেড লাইনে গাছের ডাল পড়ে বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে চক্ররেল চলাচলও। বন্ধ হয়ে যায় ব্যান্ডেল-কাটোয়া ট্রেন চলাচলও। তবে বেশিক্ষণ বন্ধ হয়ে থাকেনি ট্রেন চলাচল। দ্রুত সব সমস্যা মিটিয়ে যাতায়াত স্বাভাবিক করা হয়।
(রাজ্যের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)