গঙ্গা যাত্রায় প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা, তিন দিন শেষে ভোটপ্রচার নিয়ে পৌঁছলেন বারাণসী

গঙ্গা যাত্রায় প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরাপ্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: গঙ্গা যাত্রায় প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা, পৌঁছলেন বারাণসীতে। গঙ্গা পথে তিন দিনের ভোটপ্রচার শেষে বুধবার কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিদায়ী কেন্দ্রে। পৌঁছেই মোদীর কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে তাঁকে রীতিমতো তুলোধ‌োনা করলেন প্রিয়ঙ্কা। মোদী নিজের দেওয়া কথা নিজেই রাখতে পারেন না। সর্বদা নিজের বিজ্ঞাপন করতে ব্যস্ত। এমন ভাষাতেই এ দিন আক্রমণ শানাতে শোনা গিয়েছে প্রিয়ঙ্কার মুখে।

তিন দিন আগে অর্থাৎ সোমবার ইলাহাবাদ থেকে গঙ্গাবক্ষে ভোটপ্রচার শুরু করেছিলেন পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিয়ঙ্কা। এ দিন তিনি বারাণসীর রামনগর ঘাটে পৌঁছন। সেখান থেকে অসিঘাট হয়ে দশাশ্বমেধ ঘাটে আরতিতে যোগ দেন। তাঁকে দেখতে বারাণসীর ঘাটে তখন ভিড় জমে গিয়েছে। কংগ্রেস নেতা-কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও হাজির হয়েছিলেন বারাণসীর ঘাটে।

প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে নিয়ে আরও খবর পড়তে এখানে ক্লিক করুন

ইলাহাবাদ অর্থাৎ প্রয়াগরাজ থেকে বারাণসী, প্রায় ১৪০ কিলোমিটার গঙ্গা সফরে শুধু উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারাই নন, প্রিয়ঙ্কার সঙ্গী ছিলেন বেশ কয়েক জন পড়ুয়াও। উত্তরপ্রদেশের ভোটের আগে এই সফরে বিভিন্ন মন্দির, দরগায় গিয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী। নদীর তীরের এলাকাগুলিতে প্রিয়ঙ্কার এমন ভোটপ্রচারে উৎসাহী হয়ে পড়ে সাধারণ মানুষ।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে আনুষ্ঠানিক ভাবে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব প্রিয়ঙ্কার হাতে তুলে দেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। এর পরই তাঁকে লোকসভা নির্বাচনে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব দিয়ে দেওয়া হয়। এরই মধ্যে পড়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসী। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের গোরক্ষপুরও পূর্ব উত্তরপ্রদেশের মধ্যেই পড়ে।

দায়িত্ব হাতে পাওয়ার পর গত ১১ ফেব্রুয়ারি দাদা রাহুল গাঁধীর সঙ্গে লখনউতে পথসভা করেন তিনি। সোমবার সকালে ইলাহাবাদের বড় হনুমান মন্দিরে পুজো দিয়ে মানাইয়া ঘাট থেকে বারাণসীর অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন প্রিয়ঙ্কা। সোমবার রাতে ভাদোহীতে রাত কাটান তিনি। মঙ্গলবার সীতামারি মন্দিরে পুজো দেন। পরে পৌঁছন মির্জাপুরে। সেখানকার বিন্ধ্যবাসিনী দেবী মন্দিরে প্রিয়ঙ্কা যখন ঢুকছেন, বিজেপি সমর্থকেরা তাঁকে উদ্দেশ্য করে স্লোগান দেওয়া শুরু করেন। তিনি পুজো দেওয়ার সময়েও স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি সমর্থকেরা। পরে সীতামারিতে মহর্ষি বাল্মীকি আশ্রম এবং মির্জাপুরের খাজা ইসমাইল চিস্তির দরগাতেও যান প্রিয়ঙ্কা।

বুধবার পুরনো রামনগরে পৌঁছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রীর বাসভবনে যান প্রিয়ঙ্কা। শাস্ত্রী চকে লালবাহাদুর শাস্ত্রীর মূর্তিতে মালা দেন তিনি। এর পর এ দিন বিকেলে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে পুজো দিয়ে গঙ্গা যাত্রা কর্মসূচি শেষ করেন প্রিয়ঙ্কা।

সক্রিয় রাজনীতিতে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী, ভোটে দাঁড়াতে পারেন মা সনিয়ার রায়বরেলী থেকে

জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন