গরম থেকে মুক্তি বাংলার, বিধ্বস্ত মুম্বই

গরম থেকে মুক্তি বাংলারগরম থেকে মুক্তি বাংলার

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: গরম থেকে মুক্তি বাংলার, বর্ষা এসে গেল রাজ্যে। আগেই এসেছিল সে। কিন্তু, হঠাৎ বাতাসে গরম হাওয়া ঢুকে পড়ায় জলীয়বাষ্প উধাও হয়ে যায়। কাজেই, এসেও শেষমেশ থমকে যায় বর্ষা। সোমবার ফের নিম্নচাপের সঙ্গী হয়ে রাজ্যে সক্রিয় হল বর্ষা। আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, আগামী ২৪ ঘণ্টা গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ভারী বৃষ্টি হবে। পাশাপাশি, বৃষ্টির কবলে পড়ে বিপর্যস্ত অবস্থা মুম্বইরও। সেখানে মারা গিয়েছেন ৪ জন।

এ দিন সকাল থেকেই গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। সেই সঙ্গে প্রচণ্ড বজ্রপাত। সব মিলিয়ে বিপর্যস্ত হয়ে ওঠে গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। এ দিন বাজ পড়ে রাজ্যে তিন জনের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছেন ৭ জন। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, নিম্নচাপের হাত ধরে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বর্ষা ঢুকে পড়ল।

ভোর থেকেই আকাশের মুখ ভার হয়ে ওঠে। ঘনিয়ে আসে গাঢ় অন্ধকার। কিছু ক্ষণের মধ্যেই হুড়মুড়িয়ে বৃষ্টি নামে। সঙ্গে টানা বাজ পড়তে থাকে। কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, নদিয়ার মতো একাধিক জেলায় ঝড়-বৃষ্টি-বজ্রপাত শুরু হয়। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়িতেও প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়।

গরম থেকে মুক্তি বাংলার

আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, গত ১১ জুন পশ্চিমঙ্গে বর্ষা ঢুকেছিল। কিন্তু গরম হাওয়া ঢুকে পড়ায়, আচমকাই বাতাস থেকে জলীয় বাষ্প উধাও হয়ে যায়। সোমবার বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়। সেই নিম্নচাপই ফের ডেকে নিয়ে বর্ষাকে।

বর্ষায় ভেসে যাচ্ছে বাণিজ্যনগরী মুম্বইও। রবিবার রাত থেকে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয় সেখানে। এখনও পর্যন্ত মরসুমের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে রবিবার। সোমবারেও তার বিরতি নেই। বৃষ্টির জেরে মুম্বই এবং ঠাণেতে প্রাণ গিয়েছে অন্তত ৪ জনের। জলবন্দি হয়ে পড়েছেন বহু মানুষ।

শিশুদের আচরণগত সমস্যা এই সময়ের একটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

এই বৃষ্টির মধ্যেই মুম্বইতে এ দিন ভোরে একটি ৩২ তলা একটি আবাসনের একটা অংশ ভেঙে পড়ে। ওই আবাসনের পার্কিং লট রীতিমতো বিধ্বস্ত হয়ে যায়। ধসের তলায় তলিয়ে যায় প্রায় ২০টি গাড়ি। সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার কাজ শুরু হয়। আটকে যায় ওয়াডালা-র অ্যান্টপ হিল এলাকার ওই রাস্তা। বৃষ্টিতে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। আবাসনের সব বাসিন্দাকে নিরাপদে নীচে নামিয়ে আনা হয়।

শহরতলির সমস্ত লাইনে ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হয়। লাইনে জল জমে যাওয়ায় ট্রেন চলাচল সাময়িক ভাবে বন্ধ হয়ে যায় আন্ধেরি, খার এবং মালাড এলাকায়। মুম্বইতে রবিবার ২৩১.৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।