জামাই নিচু জাতের, তাঁকেই খুন করতে শ্বশুরের ১ কোটির সুপারি!

জামাই নিচু জাতেরজামাই নিচু জাতের, তাই খুন!

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: জামাই নিচু জাতের, তাই তাঁকে পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছিল। আর সে জন্য ভাড়াটে খুনিকে ‘সুপারি’ দেওয়া হয়েছিল ১ কোটি টাকা! সম্মানরক্ষার্থে তেলঙ্গানার দলিত যুবক খুনে মঙ্গলবার সাত অভিযুক্তকে বিহার থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই সাত জনের মধ্যে সুভাষ শর্মা নামে এক পেশাদার খুনিও রয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, ১ কোটি টাকার বদলে ২৩ বছরের পেরুমাল্লা প্রণয় কুমারকে তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী অম্রুতাবর্ষিণীর সামনেই চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছিল এই সুভাষ। এই খুনিকে বিহারের সমস্তিপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তের জন্য সুভাষকে তেলঙ্গানা নিয়ে যাওয়া হবে। তাকে সমস্তিপুরের জেলা আদালতে ট্রানজিট রিমান্ডের জন্য হাজির করানো হয়েছিল এ দিন।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর তেলঙ্গানার নালগোন্ডায় স্ত্রী অম্রুতাবর্ষিণীকে নিয়ে হাসপাতাল থেকে ফিরছিলেন প্রণয় কুমার। সেই সময়েই তাঁকে খুন করা হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ওই এলাকার সব দোকানের বাইরের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে। এর পরেই অম্রুতাবর্ষিণী অভিযোগ করেন, তাঁর বাবা তিরুনাগারু মারুথি রাওই গুন্ডা দিয়ে খুন করিয়েছেন তাঁর স্বামী প্রণয় কুমারকে।

হস্টেলেই গণধর্ষণ দশমশ্রেণির ছাত্রীর, ভয় দেখিয়ে বন্ধ করে রাখা হয়েছিল মুখ

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, তিরুনাগারু মারুথি রাওয়ের সঙ্গে ১ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছিল সুভাষ শর্মার দলের। এ পর্যন্ত ১৮ লাখ টাকা রাও দিয়েছেন সুভাষকে। সুভাষের দলের বিরুদ্ধে গুজরাতের প্রাক্তন মন্ত্রী হারিন পাণ্ড্যকে খুন করার অভিযোগও ছিল। পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর হয়ে কাজ করার অভিযোগও রয়েছে ওই দলের বিরুদ্ধে।

প্রণয় খুনের তদন্তে নেমে পুলিশ তাঁর শ্বশুর তিরুনাগারু মারুথি রাওয়ের বেআইনি ব্যবসার কথা জানতে পেরেছে। ধনী ও প্রভাবশালী তিরুনাগারু মারুথি রাওয়ের জমি-বাড়ির রমরমা কারবার। সেই কারবার যে সোজা পথে চলে না, প্রাথমিক তদন্তে তেমনটাই জানতে পেরেছে পুলিশ। তদন্তে জানা গিয়েছে, প্রথম দিকে তিরুনাগারু মারুথি রাও ছিলেন গাড়ির ব্যবসায়ী। পরে রেশনের ব্যবসা শুরু করেন তিনি। আর তার পর খুব অল্প সময়ের মধ্যেই জমি-ব্যবসায় হাত পাকিয়ে কোটিপতি হয়ে ওঠেন।

অনার কিলিং: ‘আমি তো চাইনি ওরা আমার বিয়ে মেনে নিক, এত বড় ক্ষতি কেন করল‘

পুলিশ সূত্রে খবর, জমি-বাড়ির কারবারে দুষ্কৃতীদের সাহায্য নিতেন মারুথি রাও। কেউ জমি দিতে রাজি না হলে ভয় দেখানো, মারধর করে রাজি করাতেন তিনি। এমনকি, স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জমি নিজের নামে লিখে নিতে ভুয়ো দলিল তৈরি করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এ বার সে সবের বিষয়েও খোঁজখবর শুরু করেছে নালগোন্ডা পুলিশ।