১ জুন North Sikkim-এর দু’টি গ্রাম মঙ্গন জেলার ছাতেন এবং লাচেন থেকে Mi-17 V5 হেলিকপ্টার ৩৪ জন পর্যটকক্ উদ্ধার করেছে, যেখানে রাস্তাঘাটে যাতায়াত ব্যবস্থা পুরোপুরি বন্ধ ছিল প্রবল বৃষ্টিতে ধসের কারণে। যার ফলে উত্তর সিকিমের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে আটকে পড়েছিল প্রায় দেড়হাজার পর্যটক। তাঁদের হোটেল থেকে বেরতে বারণ করেছিল প্রশাসন। কারণ এই এলাকায় গাড়ি তিস্তায় পড়ে যায় ১১ জনকে নিয়ে। তাদের মধ্যে অনেককেই এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
আটকে পড়া মানুষের প্রথম দলটি পাকিয়ং গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করেছে বলে জানানো হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসাধীন আহত সেনা সদস্য, তাদের পরিবারের সদস্য এবং পর্যটকরাও রয়েছেন।
উত্তর সিকিমে উদ্ধারকাজে সহায়তা করার জন্য হেলিকপ্টারের প্রথম অভিযানে জাতীয় দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনীর (NDRF) ৩০ জন সদস্যকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এই দলগুলি স্যাটেলাইট ফোন এবং অন্যান্য জরুরি সরবরাহ দিয়ে সজ্জিত।
সিকিম রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (SSDMA) পরিচালক প্রভাকর রাইয়ের মতে, ১১২ জন পর্যটক এখনও লাচেনে আটকে রয়েছেন। “মঙ্গলবার পায়ে হেঁটে বা গাড়িতে তাদের উদ্ধারের পরিকল্পনা করা হয়েছিল, কিন্তু গতকাল ভূমিধসে লাচেন থেকে ছাতেন যাওয়ার রাস্তাটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার ফলে তিনজন সেনারও মৃত্যু হয়েছে,” রাই বলেন।
ছাতেনের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ পুনরুদ্ধারের জন্য SSDMA মঙ্গন জেলার কর্মকর্তা এবং লাচেনের বাসিন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেই কাজ করছে। যাতে তাঁরা সঠিক রাস্তা দেখাতে পারে। যেহেতু এই এলাকাতেই তাঁরা থাকেন, কাজ করেন এবং পাহাড়ের মানুষরা বেশিরভাগ সময় হেঁটেই বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করেন। সে কারণে কর্তৃপক্ষ লাচেন থেকে ছাতেন পর্যন্ত সম্ভাব্য হেঁটে যাওয়ার পথগুলি খতিয়ে দেখছে তাঁদের সাহায্য নিয়ে, যাতে পর্যটকরা হেঁটে হেলিপ্যাড পর্যন্ত পৌঁছতে পারেন এবং ছাতেন থেকে পর্যটকদের হেলিকপ্টারে নিরাপদে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে।
৩০-৩১ মে রাতে উত্তর সিকিমে অবিরাম বৃষ্টিপাত এবং মেঘ ভাঙার ফলে ব্যাপক ধ্বংসের সম্মুখিন হয় বিস্তির্ণ এলাকা, গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা এবং সেতুগুলি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তিস্তা নদীর জল ৩৫-৪০ ফুট বৃদ্ধি পায়, যার ফলে আঞ্চলিক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সেই থেকেই উত্তর সিকিমের বিভিন্ন এলাকায় আটকে রয়েছে মানুষ। যার ফলে দেখা দিয়েছে পানীয় জল ও খাবারের সমস্যা। তবে সেদিকে নজর রেখেছে প্রশাসন। উদ্ধার কাজ শুরু হওয়ায় একটু হলেও স্বস্তি ফিরেছে পর্যটকদের মধ্যে। তবে প্রশাসনের আর্জি এখনই যেন কোনও পর্যটক উত্তর সিকিমে বেড়াতে না যান।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: Facebook, Twitter, Google