মন্দার রাও দেশাই স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতীয় দলের, ভরসা দিয়েছিলেন ক্লিফোর্ড-গাউলি

মন্দার রাও দেশাইনীল জার্সিতে মন্দার রাও দেশাই

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: মন্দার রাও দেশাই কখনও উইং থেকে প্রতিপক্ষের রক্ষণকে ভেঙে উঠে আসছেন আক্রমণে। গোলের বল সাজিয়ে দিচ্ছেন দলের স্ট্রাইকারের জন্য। আবার কখনও নেমে যেতে হচ্ছে লেফটব্যাকে। যা একদম নতুন। তাতে কী নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়েই আবারও সেই একই কাজ করেছেন তিনি। রক্ষণ থেকে উঠে এসে আক্রমণে শান দিয়েছেন ভারতীয় দলের। নতুন কোচ ইগর স্টিম্যাকের অধিনে নিজেকে নতুন করে খুঁজে পাচ্ছেন মন্দার রাও দেশাই। ডেম্পো থেকেই জাতীয় দলের স্বপ্নটা জাগিয়ে দিয়েছেন ক্লিফোর্ড মিরান্ডা, মহেশ গাউলিদের মতো সিনিয়ররা। যাঁরা এক সময় দাঁপিয়ে খেলেছেন ভারতীয় দলের জার্সিতে। তাঁদেরও বিশ্বাস ছিল এই ছেলে একদিন পারবেন। হিরো কন্টিনেন্টাল কাপ ২০১৯-এর প্রথম ম্যাচ হারতে হয়েছে ভারতকে। তার পর কী বললেন মন্দার।

ছোটবেলার স্বপ্ন

আমি সব সময় সিনিয়র জাতীয় দলের হয়ে খেলতে চাইতাম। যখন থেকে ডেম্পোতে খেলতে শুরু করলাম।

প্রেরণা

ডেম্পোতে খেলার সময় আমি ক্লিফোর্ড মিরান্ডা ও মহেশ গাউলির মতো সতীর্থ পেয়েছিলাম। যাঁরা জাতীয় দলের হয়ে দাঁপিয়ে খেলেছে। ওরা আনাকে সব সময় সাহায্য করেছে উন্নতি করতে। ওদের আমার উপর বিশ্বাস ছিল। ওরা বলত আমি একদিন জাতীয় দলের হয়ে খেলব।

২৭ বছর বয়সে জাতীয় দলে

বয়স একটা সংখ্যা মাত্র। আমাকে খাটতে হবে, এগিয়ে যেতে হবে। ভারতীয় দলের জার্সি পরে মাঠে নামাটাই একটা আলাদা অনুভূতি। আমাকে এই জায়গাটা ধরে রাখতে হবে। আমি কোচ যেখানে খেলাবে আমি খেলতে রাজি।

পজিশন

দেশের জার্সিতে তাজিকিস্তানের বিরুদ্ধে লেফট ব্যাকে খেলাটা আমি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম। আমি এই প্রথম লেফটব্যাকে খেললাম। তবে সেখানেই খেলাটা আমি উপভোগ করেছি।

অ্যাটাকিং ক্ষমতা

কোচ বিশ্বাস করেন আমি দলের আক্রমণাত্মক দিকেও কাজে লাগব। এটাই আমার শক্তিশালী দিক। উঠে দলকে আক্রমণ তৈরি করতে সাহায্য করা। কোচের পছন্দ বল ধরে রেখে ধিরে এগিয়ে যাওয়া। এই স্টাইলেই আমি ক্লাবে খেলে এসেছি।

তাজিকিস্তানের কাছে হার

অতীত নিয়ে ভাবছি না। প্রথমার্ধে আমরা ভাল খেলেছি। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধটা অতটা ভাল যায়নি। যদিও আমরা সেটা নিয়ে ভাবছি না। বাকি ম্যাচেই ফোকাস করছি। আমাদের অনভিজ্ঞ দল। আর এক জন সিনিয়র হিসেবে নতুনদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানো আমার দায়িত্ব।

গুজরাতের সমর্থন

প্রথম ম্যাচে ভারতের সমর্থক দেখে খুব ভাল লেগেছিল। প্যাশনই একমাত্র এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। এর থেকে বোঝা গেল গুজরাতের মানুষেরও ফুটবলপ্রেম রয়েছে। যত সময় যাবে আমার বিশ্বাস এই প্যাশনটা বাড়বে আর এখান থেকেও ফুটবলার উঠে আসবে।

(অন্যান্য সাক্ষাৎকার পড়তে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)

(সাক্ষাৎকার ও ছবি: এআইএফএফ)