হোম আইসোলেশনে কী করতে হবে, নতুন গাইডলাইন দিল কেন্দ্র

হোম আইসোলেশনে

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: হোম আইসোলেশনে আছেন? কী ভাবে নিজেকে সামলাবেন বা বাড়ির আক্রান্ত মানুষটিকে সাহায্য করবেন বুঝতে পারছেন না? তাহলে জেনে নিন কী বলছে কেন্দ্র সরকারের নতুন গাইড লাইন। কোভিড-১৯-এর প্রথম ঢেউয়ের সময় একটা গাইড লাইন মেনে চলেছে হোম আইসোলেশন। তবে দ্বিতীয় ঢেউ অনেক বেশি আক্রান্ত করছে মানুষকে। সমস্যা ভয়ঙ্কর আকাড় নিচ্ছে। হাসপাতালে বেড নেই, নেই অক্সিজেন, ওষুধ। সেকারণেই যতক্ষণ সম্ভব হোম আইসোলেশনকেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তার জন্যই এবার নতুন গাইড লাইন দিল কেন্দ্র কাঁরা থাকবেন হোম আইসোলেশনে—

  • যেসব আক্রান্তদের হালকা উপসর্গ রয়েছে বা উপসর্গ নেই, এমন রোগীরা মেডিক্যাল অফিসারের নির্দেশে হোম আইসোলেশনে থাকতে পারেন।
  • যে বাড়িতে থাকবেন সেখানে হোম আইসোলেশনে থাকার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকতে হবে যা পরিবারের বাকি সদস্যদের থেকে তাঁকে কোয়রান্টিনে থাকতে সাহায্য করবে।
  • হোম আইসোলেশনের পুরো সময়টা এমন একজনকে সেই আক্রান্তের খেয়াল রাখতে হবে যিনি নিয়মিত তাঁর ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন এবং আক্রান্তের বিস্তারিত জানাতে পারবেন প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রোগীর দেখভাল করতে পারবেন।
  • যে সব আক্রান্তের বয়স ৬০-এর ওপর তাঁদের হোম আইসোলেশনে রাখতে হলে দেখতে হবে তিনি আগাম এক বা একাধিক রোগে আক্রান্ত কিনা। যেমন হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা, পুরনো ফুসফুস, লিভার, কিডনির কোনও সমস্যা আছে কিনা। তাঁরা তখনই বাড়িতে থাকতে পারবেন যখন তাঁর চিকিৎসক তাঁকে অনুমতি দেবেন।
  • যেসব লোকেরা আক্রান্তের সেবা করবেন বা তাঁর সংস্পর্শে থাকবেন তাঁরা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিয়ম মেনে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন প্রফিল্যাক্সিস নিতে হবে। আগের থেকে কোনও পুরনো রোগ থাকলে সেই সব ওষুধগুলো খেয়ে যেতে হবে তবে বর্তমান ডাক্তারের পরামর্শ মেনে। লক্ষ্য রাখতে হবে যে সব উপসর্গ রয়েছে তার দিকে, যেমন জ্বর, নাক দিয়ে জল পড়া, কাশি—তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারকেও জানাতে হবে।
  • দিনে দু’বার আক্রান্তকে গরম জলে গার্গল করতে হবে। সঙ্গে দু’বার গরম স্টিম নিতে হবে। যদি দিনে চারবার প্যারাসিটামল ৬৫০ দিয়েও জ্বর নিয়ন্ত্রণে না আসে তাহলে ডাক্তারকে জানাতে হবে। ডাক্তার সেই সময় যে পরামর্শ দেবেন সেটা মেনে চলতে হবে। সেই সময় ওষুধ পরিবর্তন করে কাজ হতে পারে যে সিদ্ধান্ত ডাক্তারই নেবেন। বাজারে অনেক ওষুধের নাম ঘোরাফেরা করছে তবে সেটা নিজে কিনে ডাক্তারের অনুমতি ছাড়া খাওয়া ক্ষতিকর হতে পারে।
  • সব উপসর্গ দেখা দেওয়া বন্ধ হয়ে গেলেও আইসোলেশনে ১০ দিন থাকতেই হবে। যদি জ্বর তিন ধরে না আসে তাহলে আর পরীক্ষা করার প্রয়োজন নেই। তবে পুরোপুরি সুস্থ বোধ করার পরই হোম আইসোলেশন থেকে বেরনো নিজের সঙ্গে সঙ্গে একই বাড়িতে থাকা মানুষগুলোর জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)