জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কফি মানেই এনার্জি বুস্টার। এতদিন এমনটাই জেনে এসেছি। সে কারণে বেশি পরিমাণ কফি পান করতেতা স্বাস্থ্যে ক্ষতি করতে পারে বলেই মনে করা হয়। বা রাতে কফি পান করলে তা ঘুমেরও ব্যাঘাত ঘটায়। খারাপ দিকগুলোতে রয়েছেই তা বলে কী আর ভাল দিক নেই? যা মনে করেন কফির কোনও ভাল দিক নেই এবার তাদের মুখ বন্ধ করার সময় এসেছে। অনেকেই সকাল শুরু করেন কফি দিয়ে। সকালটা সকলেরই বাড়তি এনার্জির দরকার হয়। তার জন্য কফির (Coffee For Health) কোনও বিকল্প হয় না। সেটাও কাজেই লাগে। সকালে না হলে ঘুমের ঘোর কাটতে কাটতে অনেক দেড়ি হয়ে যায় সব কিছুতে। তাই সকালে উঠে এক কাপ কফি দিনের শুরুটাই চনমনে করে দিতে পারে।
১) সকালে এক কাপ কফি নার্ভাস সিস্টেমকে সচল করে তোলে, সারাদিনের ক্লান্তি থেকে দূরে রাখে, এনার্জি বাড়ায়। দেখা গিয়েছে ক্যাফিন মানুষের শরীরে ক্লান্তিকে আটকাতে সাহায্য করে। যেমন একজন যখন সাইকেল চালাচ্ছেন, তাতে যে ক্লান্তি তৈরি হয় সেটা কফি পান করে করলে তার পরিমাণ ১২ শতাংশ কমে যায়। কিছু স্টাডিতে দেখা গিয়েছে, ক্রীড়াবিদদের এনার্জি ধরে রাখতে কফি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
২) নিয়মিত ও পরিমানমত কফি পান ডায়াবেটিসের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। বেশ কিছু রিসার্চে দেখা গিয়েছে যাঁরা কফি পান করেন নিয়মিত তাঁদের টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কম থাকে। দিনে প্রতি কাপে ৬ শতাংশ করে টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। এ ছাড়া কফিতে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় ইনসুনিল সংবেদনশীলতা, প্রদাহ ও বিপাক প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে।
৩) কফি আটকাতে পারে পার্কিনসন রোগ। একটি স্টাডিতে দেখা গিয়েছে যে দিনে চারকাপের বেশি কফি পান করেন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। এছাড়া নিয়মিত কফি পান করা মানুষের যেমন ডিপ্রেশনে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে তেমনই অ্যালজাইমারও দূরে থাকে।
৪) কফি লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে। যাঁরা দিনে ২-৩ কাপ কফি পান করেন তাদের ক্রনিস লিভার সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে। স্টাডি বলছে সেই পরিমাণটা ৩৮ থেকে ৪৬ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। যেমন লিভার ক্যান্সার, ফ্যাটি লিভার, সিরোসিস অফ লিভারের মতো সমস্যা থেকে দূরে রাখতে পারে। কফিতে গলব্লাডার স্টোনের সম্ভাবনাও কমে।
৫) কফি যাঁরা পান করেন তাঁদের নন-ভাইরাল হেপাটাইটিস জাতীয় সিরোসিসে মৃত্যুর সংখ্যা কম। প্রতিদিন ২ বা বেশি কাপ কফি ৬৬ শতাংশ পর্যন্ত ঝুঁকি কমাবে। সব থেকে বড় যেটা স্টাডিতে উঠে আসছে সেটা হল হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমবে। দিনে ৩-৫ কাপ কফি পান করলে কার্ডিওভাসকুলার রোগ থেকে বাঁচাবে। এ ছাড়া ১-৫ কাপ পর্যন্ত কফি যে কোনও রোগের কারণে মৃত্যুকে আটকাবে। যাঁদের ইতিমধ্যেই হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে তাঁরা কফি পান করলে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমবে।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: Facebook, Twitter, Google