জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: শীত (Foot Care) যেমন আনন্দের তেমনই যত্নের। শীতে অনেকবেশি শরীরের যত্ন নিতে হয়। তার প্রস্তুতি আগে থেকে শুরু না করলেই বিপদ। মানে, সমস্যাগুলো জাঁকিয়ে বসে। গত কয়েকদিন ধরেই কলকাতার সকাল আর রাতের বাতাসে একটা শিরশিরানি ভাব অনুভব করা যাচ্ছে। পুরো স্পিডে আর ফ্যান চলছে না। এসিও প্রায় সকলেই ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছে। যদিও কলকাতায় এমন শীতের আগমনবার্তা আসার পরেও গরম হাজির হয় স্বমহিমায়। তাই হয়তো শীত নিয়ে বাঙালির আদিখ্যেতার শেষ নেই।
শীত যা পড়ে তা সাকূল্যে ১৫ দিন ডিসেম্বর জানুয়ারি মিলিয়ে। জানুয়ারির শেষ থেকে আবার যাই যাই। আসতে আসতেও সেই ডিসেম্বরের মাঝামাঝি। সব মিলে শীতের অপেক্ষায় কলকাতাবাসী বসে থাকা প্রায় গোটা বছরটাই। এই বছর এখনও বৃষ্টি, নিম্নচাপের অশনী সঙ্কেত রয়েছে। তাই শীত যে বাধাপ্রাপ্ত হবে সেটাই স্বাভাবিক। তবুও প্রস্তুতিটা সেরে রাখাই ভাল। গরম জামা-কাপড় না হয় আর ক’দিন পর বের করবেন। কিন্তু পায়ের যত্ন এখন থেকেই নিতে হবে। না হলে গোড়ালি প্রতিবাদ করতে শুরু করবে।
শীতে সবার আগে যে সমস্যাটা হয় সেটা হল ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া। এখন থেকেই সেই অনুভূতি হতে শুরু করেছে। আর তার প্রভাব পড়ে মুখ থেকে পা—সর্বত্র। তাই পায়ের যত্ন সব থেকে বেশি নিতে হয়। কারণ, পায়ের উপরই আমাদের সবটা ভারটা থাকে। রাস্তার ধুলো, ময়লা, কাদা, মাটি সব সহজেই পায়ে আশ্রয় নিতে পারে। তাই এখন থেকেই পুরো পা ঢাকা জুতো পরা শুরু করতে হবে। সঙ্গে যতক্ষণ রাস্তায় থাকছেন ততক্ষণ পায়ে থাকুক মোজা। তাহলে পা গরম থাকলে শুষ্কভাবটা দ্রুত প্রভাব ফেলতে পারবে না। এখনও মোজা পরার মতো শীত পড়েনি ঠিকই তবুও কষ্ট করে মোজা পরে রাস্তায় বেরলে পায়ের গোড়ালি ভাল থাকবে।
পায়ের সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয় গোড়ালি। এমনিতেই গোড়ালির চামরা মোটা আর শক্ত। তাই তা দ্রুত ফেটে যায়। তার জন্য কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে হবে। প্রথমত, বাইরে থেকে বাড়ি ফিরে শুধু জল ঢেলে পা ধুলে চলবে না। বরং হালকা গরম জল আর সাবা বা শ্যাম্পু বা বডি শাওয়ার জেল দিয়ে পা ধুতে হবে। আর গোড়ালি ঘষতে হবে কোনও শক্ত জিনিস দিয়ে। সেটা বাজারে কিনতে পাওয়া প্লাস্টিকের খোসা হতে পারে তবে যে গুলো খসেখসে সেগুলো দিয়ে পা ঘসতে হবে। শীতের জন্য কিনে ফেলুন পিউমিক স্টোন। গোড়ানি ঘষার জন্য এর থেকে ভাল বিকল্প আর কিছু হতে পারে না। প্রতিদিন এই ভাবে পা পরিষ্কার রাখাটা বাধ্যতামূলক। কারণ ঠান্ডায় পা বেশি ময়লা হয়।
পা পরিষ্কার হয়ে গেলে তোয়ালে দিয়ে ভাল করে পা মুছে নিতে হবে। যাতে কোনও জল না থাকে। পা শুকিয়ে গেলে পায়ের পাতায় ভাল করে ময়শ্চারাইজার মেখে নিন। ততক্ষণ ম্যাসাজ করুন যতক্ষণ না পুরোটা ত্বকের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। এই সময় ঘরে রাখুন যে কোনও ফুটকেয়ার ক্রিম। এবার সেই ক্রিম লাগিয়ে নিন গোড়ালিতে একই পদ্ধতিতে। কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করলেই গোড়ালির ত্বকে সেটা মিশে যাবে। এখন না পারলেও আর কিছুদিন পর শীত পুরোপুরি পড়লে এই পুরো পদ্ধতিটি সারা হলে পায়ে সুতির মোজা পরে নিন। তাহলে আর কখনও পা ফাটবে না।
সপ্তাহে একদিন গরম জলে শ্যাম্পু, লেবুর রস দিয়ে পা ডুবিয়ে বসে থাকুন কিছুক্ষণ। সময় থাকলে একাধিক দিনও করতে পারেন। তাতে যেমন ক্লান্তি কাটবে তেমন পাও ভাল থাকবে। এই পুরো পদ্ধতি হাতের কনুইয়ের জন্যও করতে পারেন। কারও কারও কনুইও খুব রুক্ষ হয়। টেবলি বসে কাজ করতে করতে খসখসে হয়ে যায়। পায়ের চর্চার মতো এভাবে কনুই চর্চাও সম্ভব। যত্নের কোনও বিকল্প হয় না। নিজেকে যত্নে রাখুন।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: Facebook, Twitter, Google