জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: আসলে সব সমস্যার শিকর লুকিয়ে রয়েছে আমাদের খাবার অভ্যেসে (Healthy Food Habit)। সেটা মেনে চললতেই কেল্লাফতে। কিন্তু এই রাস্তাটাই আমাদের অজানা। আবার কেউ বলবেন, এতো স্বাভাবিক। তাহলে তো বোঝাই যাচ্ছে কত সহজে এই স্বাস্থকর খাবার অভ্যেস নিজেদের জীবনে নিয়ে আসা যায়। অনেকেই ওজন কমাতে খাওয়া ছেড়ে বসে থাকেন, জিমে যান, তাই মনে হয় জল পান করলেই মোটা হয়ে যাচ্ছেন। আসলে খাওয়া বন্ধ করলে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না। বরং খাবার রুটিন তৈরি করে সেটা মেনে চলতে পারলেই সব সমস্যা মিটতে পারে বলেই মনে করেন ডায়াটিশিয়ানরা। নিজে থেকে না করতে পারলে কোনও ডায়াটিশিয়ানের কাছেও যেতে পারেন।
প্রাথমিকভাবে মনে রাখতে হবে, না খেয়ে ওজন কমে না। বরং না খেয়ে থাকলে ওজন বাড়তে পারে, বাড়তে পারে মেদও। সঙ্গে অসুস্থতা তো বাড়তি পাওনা। তাহলে উপায়? আসলে রাস্তাটা খুবই সহজ। বাড়ির খাবারই নিয়ম করে খান। আর পুরো একটা দিনের আমাদের যে খাবারের রুটিন তাতে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ সকালের খাবারটা। সব সময়ই বলা হয় দিনের যে মূল তিনটে মিল তার প্রথমটি সব থেকে ভাড়ি করতে হয়। দুপুরেরটা তার থেকে কম আর রাতেরটা সব থেকে কম।
তাহলে ব্রেকফাস্টে আপনি যাই খান না কেন, সেটা হতে হবে ভরপেট। সবসময় ব্রেকফাস্টে স্বাস্থকর খাবার খাওয়াই শ্রেয়। বিদেন প্রথম খাবারই যদি তেল , মশলাদার হয় তাহলে শুরু থেকেই পেট জবাব দিতে শুরু করবে। তাই ব্রেকফাস্টে ঘরের তৈরি জিনিস, যেমন রুটি-তরকারি, ব্রেড-বাটার-অমলেট, কর্ণফ্লেক্স-ওটস আর এর সঙ্গে রাখুন ফল বা ফলের রস। তবে ফলের রসের থেকে ফল খাওয়া অনেকবেশি স্বাস্থকর। এতটাই পেট পুড়ে খেতে হবে যাতে দ্রুত খিদে না পায়। যাঁরা ডেয়ারি প্রোডাক্ট পছন্দ করেন বা হজম করতে পারেন তাঁরা সেগুলোও রাখতে পারেন। যেমন দুধ, লস্যি ইত্যাদি। সকাল ১০টার মধ্যে ব্রেকফাস্ট সেরে ফেলতে হবে। তবে এখানে একটা অন্য হিসেব আছে, সেটা পরে বলছি।
দুপুরের খাবারে আপনি ভাত রাখতেই পারেন। ভাতের পরিমাণটা কম রাখুন। বেশি করে রাখুন ডাল, বিভিন্ন ধরনের মরসুমি সবজির কোনও একটা আর মাছ, মাংসের মধ্যে কোনও একটা থাকতেই পারে। সকালের মেনুতে ডিম না থাকলে দুপুরের মেনুতে সেটা রাখা যাতে পারে। ডিম আসলে খুবই পুষ্টিকর, হাইপ্রোটিন খাবার। হজম করতে পারলে দিনে দুটো দিম খাওয়া যেতেই পারে। সঙ্গে শেষ পাতে রাখা যেতে পারে টক দই। যা হজম করতে সাহায্য করে। শরীরে ফ্যাটের মাত্রার ভারসাম্য রক্ষা করে।
এবার আসা যাক রাতের খাবারে। রাতের খাবার কেন কম খেতে বলা হয়? শুধু কম খেতে বলা হয় না বরং খিদে রেখে খেতে বলা হয়। কারণ খাওয়ার পর শারীরিক কোনও ক্রিয়া করার সম্ভাবনা কম থাকে। অনেকেই খাওয়ার পর হাঁটেন ঘরের মধ্যে। তবে সেটা যথেষ্ট নয় পাচনক্রিয়াকে সঠিক পথে কাজ করানোর জন্য। তাই রাতের খাবারে লোভ সংবরণ গুরুত্বপূর্ণ। রাতের খাবারে স্যুপ, হালকা চিকেন স্টু, সঙ্গে ভাত বা রুটি চলতে পারে। শেষ পাতে মিষ্টিপ্রেমী রা একটা মিষ্টি রাখতেই পারেন তবে সেটা দিনে একটির বেশি নয়। এছাড়া মশালা ওটস বা ডালিয়ার খিচুরিও স্বাস্থকর। যা চলতে পারে ব্রেকফাস্টেও।
এবার বলি সময়ের হিসেবের কথা। রাতের খাবার আর ব্রেকফাস্টের মধ্যে ১২ ঘণ্টার সময়ের ব্যবধান রাখাটা খুবই জরুরী। খাওয়া যেমন স্বাস্থ্যের জন্য জরুরী তেমনই জরুরী ফাস্টিং মানে উপোস। প্রতিদিন ১২ ঘণ্টার একটা ফাস্টিং খুব দরকার। সেকারণেই রাতের খাবার আর সকালের ব্রেকফাস্টের মধ্যে ১২ ঘণ্টার ব্যবধান অবশ্যই রাখতে হবে। রাত ১০ মধ্যে রাতের খাবার খেয়ে নেওয়াটা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। তাহলে ব্রেকফাস্ট করতে হবে ১০টায়। লাঞ্চ ২-৩-টের মধ্যে। খাবারে তেল-মশলা কম রাখাটাই ভাল। বাইরের খাবার একদম বাতিল করতে হবে না তবে মাসে একবার জমিয়ে করা যেতেই পারে এই রুটিন মেনে চললে।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: Facebook, Twitter, Google