ইন্ডোর প্ল্যান্টের শখ থাকলেই হবে না, জানতে হবে নিয়মও

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: এতদিন দেখতাম যাঁদের বাড়ি রয়েছে তাঁদের বাড়ির সঙ্গে একফালি বাগান থাকত। কারও আবার বড় বড় বাগানও থাকত। কারও তো বাগান বাড়িই থাকত। কিন্তু মানুষের জীবনযাত্রা ক্রমশ বদলেছে। বাড়ি কখন যে ছোট্ট ফ্ল্যাটে পরিণত হয়েছে তা টের পেতে পেতে জীবন আটকে গিয়েছে চার দেওয়ালে। যেখান থেকে চাইলেই আকাশ দেখা যায় না বা বাগানের শখ পূরণ করা যায় না। তা বলে কি হাত পা গুটিয়ে বসে থাকবে মানুষ। একটা সময় পর্যন্ত কি কেউ ভাবতে পেরেছিল ঘরের মধ্যেই তৈরি করে ফেলা যেতে পারে আস্ত একটা বাগান। আপনার ব্যালকনিটাই হয়ে উঠতে পারে ফুল বা সবজির বাগান। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে বাগানের ধারণাও।

আজকাল মাটি ছাড়াই জন্মাচ্ছে গাছ। বেঁচে থাকছে শুধু জলে। আবার টবে মাটি দিয়ে কী না গাছ হচ্ছে। আর ইন্ডোর প্ল্যান্টের সব থেকে সদর্থক দিক হল, খুব বেশি যত্নের প্রয়োজন হয় না তাদের। সময়ে সময়ে জল দিলেই হয়ে যায়। আর মাঝে মাঝে একটু সার। তবুও একদম অবহেলা করলে তো আর চলবে না। তাই ইন্ডোর প্ল্যান্টের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।

এক, কিছু না করেই গাছ বেঁচে রয়েছে দেখা জল দেওয়া বন্ধ করবেন না। নিয়মিত গাছের গোড়ায় জল দিন। কোন গাছের জন্য কতটা জল লাগে সেটা জেনে নিন। আবার বেশি জলেও ক্ষতি হয় গাছের। তাই নিয়ম মেনে জল দিন। সঙ্গে একটা স্প্রে বোতলে জল নিয়ে গাছের পাতায় স্প্রে করে দিন তাতে পাতাও সজীব থাকবে।

দুই, ঘরে মধ্যে গাছ বেঁচে থাকে বলে তাঁকে আলো দেবেন না তেমনটা যেন না হয়। এক একটা গাছের এক এক রকমের আলো প্রয়োজন হয়। কোনও গাছের সরাসরি রোদের প্রয়োজন আবার কারও শুধুই আলো। তাহলে ঘরে সেরকম জায়গায় গাছগুলোকে রাখুন যেখানে যেমন আলো আসে। তেমন হলে সকালের সময়টা ব্যালকনিতে বের করে দিন গাছ। বা জানলার পাশে রাখুন।

তিন, যে ঘরে এসি চলে সে ঘরে গাছ না রাখাই ভাল। তাও যদি রাখতে হয় তাহলে এসি থেকে দূরে রাখতে হবে। আর যখন এসি চালাবেন তখন গাছকে সে ঘর থেক বাইরেও বের করে রাখা যেতে পারে। কারণ এসির ঠান্ডাটা গাছের জন্য সঠিক নয়।

চার, দেখবেন কখনও কখনও গাছের কিছু পাতা হলুদ হয়ে যাচ্ছে বা শুকিয়ে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে সেটা ছিড়ে ফেলুন বা কেটে বাদ দিয়ে দিন। শুকনো পাতা গাছে না রাখাই ভাল। এর সঙ্গে যেটা করবেন মাঝে মাঝে ভেজা তুলো বা কাপড় দিয়ে গাছের পাতাগুলো মুছে দেবেন তাহলে ধুলোটা সরে যাবে। ঘরের ভিতরে থাকলেও ধুলো তো লাগেই। তাহলে সবুজটা আরও সুন্দর দেখাবে।

পাঁচ, গাছের গোড়ায় চাল ধোয়া জল, চা পাতার জল দিলে গাছ দ্রুত বাড়বে।  আর পোকামাকড়ের থেকে গাছকে বাঁচাতে কাঁচা দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে সেটা গোড়ায় দিতে হবে।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: FacebookTwitterGoogle