জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: এক তো বাঙালির ১২ মাসে ১৩ পার্বন কথাতেই রয়েছে। এর সঙ্গে এখন আরও অনেক উৎসব যুক্ত হয়েছে। আর পার্বন মানেই বাঙালির ঘুরতে বেরিয়ে পড়া। কলকাতার বাঙালির সব থেকে পছন্দের ডেস্টিনেশন অবশ্যই উত্তরবঙ্গ। ছুটি মানেই ট্রেনের টিকিট কেটে উঠে পড়া। একরাতের জার্নির শেষে নিউ জলপাইগুড়ি হয়ে পাহাড় অথবা ডুয়ার্সের প্রকৃতির সঙ্গে কয়েকদিন কাটিয়ে ফিরে আসা। তবে বাঙালির বেড়ানোর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে খাওয়া-দাওয়া। সে যেখানেই বেড়াতে যাওয়া হোক না কেন ভাল ভাল খাবার না হলে ঠিক জমে না। আর সেটা যদি শুরু হয়ে যায় এনজেপি স্টেশন থেকেই (Rail Coach Restaurant)।
হ্যাঁ, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল সেই ব্যবস্থাই করে ফেলেছে। বাতিল ট্রেনের কোচকে ফেলে না রেখে বানিয়ে ফেলা হয়েছে পুরোদস্তুর রেস্তোরাঁ। নিউজলপাইগুড়ি স্টেশনের আশপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পরিত্যক্ত রেল কোচগুলো অনেক সময়ই চোখে পড়েছে আমাদের। কিন্তু তা নিয়ে খুব একটা ভাবনা-চিন্তা করা হয়নি। রেল কিন্তু ভেবে ফেলেছে উপায়। তাই ট্রেন থেকে নেমে পাহাড়ের গাড়ি ধরার আগে ব্রেকফাস্টটা না হয় এখানেই সেরে নিলেন। অথবা ফেরার পথে ডিনারটা এখানে করে উঠে পড়লেন ট্রেনে। থাকছে সব ব্যবস্থাই।
জানা গিয়েছে পিপিপি মডেলে চলবে ৩২ আসনের এই রেস্তোরাঁ। এর আগে রেলের উদ্যোগে এমনই রেস্তোরাঁ তৈরি হয়েছে কাটিহার স্টেশনেও। এনজেপি-র রেস্তোরাঁর নাম দেওয়া হয়েছে, ‘রেল কোচ রেস্টুরেন্ট কাম ফুড অ্যান্ড টি স্টল’। এমন ব্যবস্থা যে পর্যটকদের কাছে দ্রুত জনপ্রিয়হয়ে উঠবে তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। আর সেই আশাই করছে রেল দফতর। এমনিতে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের উপর রেলের যে সব রিফ্রেশমেন্ট রয়েছে তাতে ভিড় থিক থিক করে ট্রেন ঢোকা ও ছাড়ার সময়গুলোতে। এবার সেটায় কিছুটা ভাগ বসাবে নতুন রেল কোচ রেস্টুরেন্ট। তাতে বাড়বে রেলের আয়ও।
সকাল ছ’টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে এই রেস্তোরাঁ। যার ফলে যাতায়াতের পথে সকলেই এখানে খেতে পারবেন। যেখানে ইন্ডিয়ান থেকে চাইনিজ, দক্ষিণ ভারতীয় খাবারও পাওয়া যাবে। তাই স্বাদের একাধিক বিকল্প ব্যবস্থাও থাকছে। টেবল-চেয়ার দিয়ে সুন্দর করে সাজানো এই কোচ রেস্তোরাঁ জনপ্রিয় হলে তা যে সম্প্রসারিত করা হবে সেটা স্বাভাবিক। সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছে রেল।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: Facebook, Twitter, Google