জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: এবারের পুজোটা বৃষ্টি বৃষ্টি করেই কেটে গেল। তা বলে ঠাকুর দেখার উত্তেজনা কোনও অংশে কমেনি। বরং বৃষ্টিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই নতুন পোষাক (New Dresses) পরে মানুষ বেরিয়ে পড়েছেন প্যান্ডাল হপিংয়ে। শহর থেকে শহরতলী— প্যান্ডাল থেকে মূর্তি সবাই সবাইকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে রীতিমতো। আর মানুষ থাকছেন সেই চ্যালেঞ্জের সাক্ষী। তাই কখনও ভ্যাটিকান সিটি তো কখনও লাল কেল্লা। আবার কখনও মালয়েশিয়ার টুইন টাওয়ার তো কখনও আদিবাসী গ্রাম। প্রত্যেকটি প্যান্ডালের রয়েছে আলাদা আলাদা আকর্ষণ আর সেই টানেই সব বাধাকে উপেক্ষা করে রাস্তায় বেরচ্ছে মানুষ।
কিন্তু সমস্যা তো একটা আছেই। নতুন জামা-কাপড় কার ভাল লাগে ধুতে। কিন্তু বৃষ্টির মধ্যে নতুন পোষাক ভিজেছে তো বটেই সঙ্গে কাদাও লেগেছে। এবার এই কাদা লাগা পোষাক তো আর ওভাবে রেখে দেওয়া যাবে না। তাহলে তার ১২টা বেজে যাবে। এমনকি বৃষ্টিতে ভেজা জামাও রেখে দেওয়া যায় না। তাহলে উপায়? নতুন জামা না ধুয়েও তাহলে কী করে ঠিক রাখবেন। সেটাই একবার দেখে নেওয়া যাক।
প্যান্ডাল হপিং সেরে বাড়ি ফিরতে মাঝ রাত। তাহলে ভিজে যাওয়া পোষাক খুলে ফ্যানের তলায় ছড়িয়ে রাখুন। ভেজা পোষাক গুটিয়ে ফেলে রাখবেন না। সারা রাত ফ্যানের তলায় থাকলে ভিজে ভাবটা কেটে যাবে। কিন্তু থেকে যাবে স্যাঁতস্যাঁতে ভাব। সেটা পুরোপুরি না যাওয়া পর্যন্ত তা আলমারিতে রাখলে বাকি পোষাকও নষ্ট হবে। তাই পর দিন রোদ উঠলে ভাল করে পুরো পোষাক যাতে রোদ পায় তেমন জায়গায় রাখতে হবে। টানা কয়েকদিন রোদ লাগলে তবেই স্যাঁতস্যাঁতে ভাব যাবে এবং তা আলমারিতে রাখার অবস্থায় আসবে। এটা তো গেল ভেজা পোষাকের উপসম।
এবার আসি যদি পোষাকে কাদা লেগে যায়। শাড়ি, পালাজো, লং কূর্তি, প্যান্ট, লেগিংস জাতীয় পোষাক যেহেতু পায়ের পাতার কাছাকাছি থাকে তাই কাদাও বেশি লাগে। আর ভিড়ে কাদা খেয়াল করার সুযোগ থাকে না। অন্যের পায়ের চাপেও কাদা এসে লাগতে পারে। তবে সাধারণত পোষাকের নিচের অংশেই এই সমস্যা থাকে। তার জন্য পুরো পোষাক ধোয়ার কোনও দরকার নেই। একটি কাপড় ডিটার্জেন্ট পাউডার জলে ভিজিয়ে সেটা দিয়ে কাদা লাগা জায়গা ঘষে দিলেই তা চলে যাবে। তার পর পরিষ্কার জলে কাপড় ভিজিয়ে তা দিয়ে মুছে দিতে হবে। আর রোদে তো দিতেই হবে।
জুতোর ক্ষেত্রেও একই সমস্যা। নতুন চামরার জুতো ধোয়া মানেই তা দ্রুত খারাপ হওয়ার জন্য যথেষ্ট। এই পরিস্থিতিতে কাদামাখা জুতো তুলে রাখলেও খারাপ। তাই জুতোর সোল ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে। দেখতে হবে যাতে উপরে চামরার অংশে জল না লাগে। তাহলে চামরা খারাপ হয়ে যেতে পারে। তাই সেই অংশ কাপড় ভিজিয়ে শুকনো শুকনো করে মুছে নিতে হবে। তাহলেই জুতো পরিষ্কার হয়ে যাবে। তবে চামরার জুতো কখনওই রোদে দেবেন না শুকনোর জন্য। তাহলে পেস্টিং নষ্ট যায় তাড়াতাড়ি। তাই পোষাকের মতো জুতো রোদে দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়। জুতো শুকোতে হবে ফ্যানের নিচেই। অথবা দ্রুত শুকোতে হলে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করা যেতে পারে।
অন্য সময়েও এই সব টোটকা ব্যবহার করা যেতে। আমাদের প্রতিদিনের জীবনে এটা খুবই কার্যকরী। বেড়াতেও গিয়েও এই টোটকাগুলো কাজে লাগতে পারে। কারণ বেড়াতে যাওয়ার সময় আমরা খুব হিসেব করে পোষাক, জুতো নিয়ে যাই। তাই একটা কিছু ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে গেলে বিপদে পড়তে হয়। তাই নিত্য দিন হোক বা উৎসব বা বেড়াতে যাওয়া, সব সময়ই কাজে লাগবে এই শর্টকাট রাস্তা।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: Facebook, Twitter, Google