জলপাইগুড়ির ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। শুধুমাত্র সন্দেহের কারণেই চলে গেল দুটো প্রাণ। সানি রাউত ছিলেন রেলকর্মী, তাঁর স্ত্রী নন্দিনী। সানির সব সময়ই মনে হতো স্ত্রী নন্দিনী কারও সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন। কোনও ফোন এলেই সন্দেহ দানা বাঁধত। এমন কি নন্দিনীর বাপের বাড়ির লোকেদের ফোন এলেই তিনি সন্দেহ করতেন। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, এই কারণে ঝগড়া লেগেই থাকত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। শুক্রবার রাতেও প্রতিবেশিরা প্রবল ঝগড়া শুনতে পান। প্রতিদিনের ঘটনা বলে বিষয়টিতে কেউ নাক গলায়নি। একটা সময় তা থেমেও যায় প্রতিবারের মতো। কিন্তু শনিবার সকাল গড়িয়ে দুপুর হলেও সানি বা নন্দিনী কাউকে বাইরে আসতে দেখা যায়নি। তাতেই সন্দেহ হয় আশপাশের লোকদের। এক আত্মীয় দরজা ঠেলে ঢুকতেই দেখেন, মেঝেতে পড়ে রয়েছে নন্দিনী। সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দেহ দুটো ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।