বিরাটদের ডেনে গিয়েই জয়ে ফিরল কলকাতা

বিরাটদের ডেনেজিতে রাসেলের জন্মদিন সেলিব্রেশন।

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: বিরাটদের ডেনে খেলতে গিয়েছে কলকাতা। ১৮.৫ ওভার। ব্যাট করছে কেকেআর লক্ষ্য থেকে মাত্র ৫ রান দুরে। হাতে ৭ বল বাকি। জিততে হলে এর মধ্যে বাজিমাত করতে হবে। ঠিক সেই সময়ই ছন্দপতন। মহম্মদ সিরাজের বলে বাউন্ডারির লক্ষ্যেই ব্যাট চালিয়েছিলেন দীনেশ কার্তিক। ওটা ক্যাচ ধরার মতো জায়গায় কেউ ছিলেন না। কোথা থেকে যেন উড়ে এলেন বিরাট কোহালি। যে ড্রাইভটা দিলেন আর ক্যাচটাও ধরলেন তার পর চমক ছাড়া আর কিছু ছিল না। গ্যালারিতে যখন ক্যামেরা মিসেস কোহালির মুখে জুম হল তখন তাঁরও অবাক দৃষ্টি। কিন্তু শেষটা আনন্দে মাঠ ছাড়তে পারলেন না অনুষ্কা শর্মা। ঠিক চেন্নাই ম্যাচে যে ভাবে হতাশ মুখেই ফিরেছিলেন।

একটা সময় মনে হচ্ছিল হেরেই যাবে নাইটরা। বিরাটদের ডেনে গিয়ে তাঁদের হারিয়ে আসা তো আর সহজ নয়। কিন্তু সময়টা ভাল যাচ্ছে কোহালি অ্যান্ড ব্রিগেডের। তাই হয়তো ব্যাট হাতে অপরাজিত ৬৮ বা দীনেশ কার্তিকের দুরন্ত ক্যাচ নিয়ে তাঁকে ওই কঠিন সময়ে প্যাভেলিয়নে পাঠানোটা কোনও কাজেই লাগল না বিরাট কোহালির। ভারত অধিনায়ক বিরক্ত দলের ফিল্ডিংয়ে।

দুরন্ত নাদালের বার্সেলোনা ওপেন জয়

চিন্নাস্বামীতে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কেকেআর অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক। প্রথমে ব্যাট করে কলকাতার জন্য বিরাট রানের টার্দেট দিতে না পারলেও রানটা খুব কম ছিল না চেস করার জন্য। বিরাট ছাড়া অবশ্য ব্যাট হাতে কেউই দাঁড়াতে পারেননি। দুই ওপেনার কুইন্টন ডে কক ২৭ বলে ২৯ ও ব্রেন্ডন ম্যাকালাম ২৮ বলে ৩৮ রান করে প্যাভেলিয়নে ফিরে যান।

এর পর হাল ধরতে নামেন স্বয়ং অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত টিকে থাকেন তিনিই। তাঁর ৪৪ বলে অপরাজিত ৬৮ রানের ইনিংস সাজানো ছিল ৫টি বাউন্ডারি ও ৩টি ওভার বাউন্ডারি দিয়ে। শেষ পর্যন্ত তাঁর লড়াইয়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ইনিংস শেষ হয় ১৭৫/৪এ। লক্ষ্যটা খুব বেশি ছিল না। কলকাতার হয়ে তিনটি উইকেট নেন অ্যান্ড্রু রাসেল। একটি উইকেট কুলদীপ যাদবের।

বিরাটদের ডেনে

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা করে দিয়েছিলেন ক্রিস লিনই। শেষ পর্যন্ত ৫২ বলে ৬২ রানে অপরাজিত থাকলেন তিনি। আর এক ওপেনার সুনীল নারিন ২৭ রানে আউট হওয়ার পর ৩৬ রান করে ভরসা দিলেন রবিন উথাপ্পা। নীতিশ রানা চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন। এর পর কার্তিকের ১০ বলে ২৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস অনেকটাই কাছে পৌঁছে গিয়েছিল জয়ের। কিন্তু তিনি আউট হওয়ার পর আবার শুরু হয় টেনশন। কিন্তু ১৯.১ ওভারেই কাজ সেরে ফেলে কলকাতা। ৫ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। ম্যাচের সেরা হয়েছেন ক্রিস লিন।