২০১৮ আইএফএ শিল্ড জিতে ছোটরা বদলা নিল দাদাদের হারের

ইস্টবেঙ্গল স্পনসর

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: ২০১৮ আইএফএ শিল্ড ইস্টবেঙ্গলের। শিল্ডে এখন আর অতীতের জৌলুস নেই। খেলে না বড়দের দল, আসে না কোনও বিদেশি দল। যেটা আইএফএ শিল্ডের মূল বিষয় ছিল। তাও বন্ধ হয়েছে। এখন কোনও রকমে কলকাতার ক্লাবগুলোর জুনিয়র টিম দিয়েই কাজ সারে আইএফএ।

বৃহস্পতিবার বারাসতের বিদ্যাসাগর ক্রীড়াঙ্গনে ছিল আইএফএ শিল্ডের ফাইনাল। আর সেই ফাইনালে খেলছিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান। কিন্তু কোথায় ডার্বির আঁচ? কোথায় সেই ইস্ট-মোহন ম্যাচ ঘিরে টান টান উত্তেজনা? খেলছে জুনিয়র দল। তাই গা নেই কারও। সমর্থকরা তাও পৌঁছেছিলেন ছোটদের সমর্থন করতে। এঁরাই যা বাঁচিয়ে রেখেছে শিল্ডটাকে। না হলে আইএফএ কবেই তুলে দিয়েছিল ঐতিহ্যশালী এই শিল্ড। যে শিল্ড জয় ঘিরে আজও সরগরম হয় ২৯শে জুলাই। যাক সে সব অতীতের কথা। ফিরে আসা যাক আজকের ম্যাচ।

বৃহস্পতিবার বারাসত স্টেডিয়ামে ম্যাচ গড়াল টাইব্রেকারে। আর সেখানে বাজিমাত ইস্টবেঙ্গলের। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে মোহনবাগানকে হারিয়ে ১২২তম আইএফএ শিল্ড জিতে নিল ইস্টবেঙ্গল।  ২০০৩ সালে শেষ বার শিল্ড ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দুই প্রধান। তখন খেলত ক্লাবগুলোর সিনিয়র দল। সেই ম্যাচে মোহনবাগানের কাছে হারতে হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। তা হলে কি দাদাদের বদলা ভাইরা নিল শেষ পর্যন্ত এত বছর পর?

মোহনবাগানের ভাগ্য এ বার আদালতের হাতে

নির্ধারিত সময়ে খেলার ফল ছিল  ১-১। এর পর টাই ব্রেকার। সেখানে ৪-২ গোলে ম্যাচ জিতে নেয় ইস্টবেঙ্গল। এ দিন ম্যাচের শুরু থেকেই মোহনবাগানকে চাপে রেখেছিল ইস্টবেঙ্গল। যদিও নির্ধারিত সময়ের ফল দেখে তা বোঝার উপায় নেই। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল করে মোহনবাগানকে এগিয়ে দিয়েছিলেন সৌরভ দাস। সমতায় ফিরতে ইস্টবেঙ্গলের লেগে যায়  ৮৪ মিনিট। বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া দীপ সাহার জোড়াল শট মোহনবাগান জালের ঠিকানা খুঁজে পায়। কিছুটা বাগান গোলরক্ষকের ভুলেই।

অবশেষে টাইব্রেকারে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানকে ৪-২ গোলে হারিয়ে দেয় ইস্টবেঙ্গল। টাইব্রেকারে প্রথম শট বাইরে মারে মোহনবাগান। তাদের দ্বিতীয় শটটি সেভ করে দেয় লাল-হলুদের গোলরক্ষক। ২০১২-এর পর আবার আইএফএ শিল্ড জিতল ইস্টবেঙ্গল। এই নিয়ে ২৯তম শিল্ড জিতল লাল-হলুদ। ফাইনালের আগে পরিসংখ্যানের বিচারে এগিয়েই ছিল ইস্টবেঙ্গল গত চার ম্যাচে ১৭ গোল করা লাল-হলুদ ব্রিগেড খুবই কম গোল হজম করেছিল। শুধু পরিসংখ্যানের দিক দিয়েই নয়, পারফরম্যান্সের বিচারেও এগিয়ে ছিল লাল-হলুদ। শেষ বেলা পর্যন্ত তা ধরে মান রাখল লাল-হলুদ।