জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: Anju Bobby George, দেশের প্রাক্তন অ্যাথলিট। এক সময় সাফল্য পেয়েছেন ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে। ১৮ বছর আগে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন এই ভারতীয়। এত বছর পর বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স সংস্থার তরফে তাঁকে সেরা মহিলার সম্মান দেওয়া হল। তাদের দাবি অঞ্জু ভারতের মতো দশে অসংখ্য মহিলাকে খেলাট অনুপ্রাণিত করেছেন। ভারতের খেলা বিস্তারেও তাঁর অবদান রয়েছে। আর সে কারণেই এই সম্মান তাঁর প্রাপ্য বলেই মনে করে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স সংস্থা। অলিম্পিকের খুব কাছে গিয়ে ফিরতে হয়েছিল তাঁকে।
তবুও ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে অঞ্জুর অবদান অনস্বীকার্য। ২০০৩-এ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ ছাড়া তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিক্স ফাইনাল ২০০৫-এসোনা, ২০০২ কমনওয়েলথ গেমসে ব্রোঞ্জ, এশিয়ান গেমস ২০০২-এ সোনা ও ২০০৬-এ রুপো, এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ ২০০৫-এ সোনা ও২০০৭-এ রুপো এবং সাউথ এশিয়ান গেমস ২০০৬-এ সোনা। তাঁর লড়াই বাকিদের থেকে অনেকটাই আলাদা। এক কথায় একদমই আলাদা। এক জটিল শারীরিক সমস্যাকে সঙ্গে নিয়েই এই বিপুল সাফল্য এসেছে তাঁর ঝুলিতে।
একটি কিডনি নিয়েই ওই লাফ, যা দেশের অ্যাথলেটিক্সকে অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছিল। অন্য কেউ হলে অসুস্থ শরীরে বাড়িতে বসে থাকতেন। কিন্তু অঞ্জু তেমনটা করেননি। বরং এমন একটা জগত বেছে নিয়েছিলেন যেখানে পদে পদে বিপদ। বার বার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। চোট লাগলে যা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে, সারতে অনেক সময় নিয়েছে। দৌড়তে দৌড়তেই জ্ঞ্যান হারিয়েছেন ট্র্যাকে। তবুও লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন।এ হেন লড়াকু মহিলা সত্যিই এই সম্মানের যোগ্য।
অবসর নিয়েছেন। কিন্তু অ্যাথলেটিক্স থেকে দূরে থাকতে পারেননি। হাত লাগিয়েছেন, আগামী প্রজন্মের অ্যাথলিট তৈরিতে। শুরু করেছেন নিজের অ্যাকাডেমি। তাঁর অ্যাকাডেমি থেকে বেরিয়ে দেশকে সাফল্য এনে দিয়েছে ইতিমধ্যেই। তাঁর এই লড়াই স্বীকৃতি পেল বিশ্বের দরবারে, যা শত বাধা সত্ত্বেও অঞ্জুকে এগিয়ে যাওয়ার পথে শ্ক্তি জোগাবে। তাঁর ঝুলিতে এসেছে ২০০২-এ অর্জুন পুরস্কার। ২০০৩-এ পেয়েএছেন খেলরত্ন। পদ্মশ্রী এসেছে ২০০৪-এ। বিবিসি-র আজীবন স্বীকৃতি পুরস্কারও পেয়েছেন। লং জাম্পে ভারতীয় অ্যাথলেটিক্সকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)