জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: গতবার হিরো ইন্ডিয়ান সুপার লিগে অল্পের জন্য ফাইনালে উঠতে পারেনি তাঁর দল এটিকে মোহনবাগান। চলতি মরশুমের শুরুটাও ভাল হয়নি তাদের। ডুরান্ড কাপ ও এএফসি কাপের ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালে সফল হতে পারেনি সবুজ-মেরুন শিবির। স্বাভাবিক ভাবেই এমন সময়ে দলের কোচের চিন্তিত হওয়ারই কথা। কিন্তু হুয়ান ফেরান্দোর মধ্যে সেই দুশ্চিন্তা নেই বলেই মনে হয়। তাঁর কথা শুনে অন্তত সে রকমই মনে হওয়া স্বাভাবিক। হিরো আইএসএল ২০২২-২৩ শুরু হওয়ার আগে www.indiansuperleague.com এর সঙ্গে সংক্ষিপ্ত কথোপকথনে (Juan Ferrando Interview) কী বললেন সবুজ-মেরুন শিবিরের স্প্যানিশ কোচ?
মরশুমের শুরুটা আপনাদের ভাল হয়নি। এই ব্যর্থতার প্রভাব সারা মরশুমে কী ভাবে সামলাবেন?
অবশ্যই আমরা হতাশ। বিশেষ করে এএফসি কাপের পারফরম্যান্সের জ্ন্য। তবে এখন আমাদের আর অতীতের কথা ভাবলে চলবে না, বর্তমান ও ভবিষ্যতের কথা ভাবতে হবে।
দু’জন নতুন বিদেশি ডিফেন্ডার দলে থাকা সত্ত্বেও ডুরান্ড কাপ ও এএফসি কাপের ম্যাচে আপনাদের রক্ষণকে সে রকম শক্তিশালী মনে হয়নি। হিরো আইএসএলে কি এই সমস্যার সমাধান করা যাবে বলে মনে করেন?
ওই ম্যাচে প্রতিপক্ষ আমাদের চেয়ে ভাল ছিল বলে মনে হয় না। আমাদের কিছু ছোটখাটো জায়গায় উন্নতি করতে হবে। যেমন, সেট পিস, ট্রানজিশন (ওঠানামা)।
ফ্লোরেন্তিন পোগবা ও ব্রেন্ডান হ্যামিলকে নিয়ে কী বলবেন? পোগবা কি তিরির যোগ্য বিকল্প হয়ে উঠতে পারবেন?
পোগবা ও হ্যামিল দলকে অবশ্যই সাহায্য করছে। পেশাদার হিসেবে ওরা খুবই ভাল এবং মাঠে ও মাঠের বাইরে সব জায়গাতেই দলকে সাহায্য করার জন্য তৈরি হয়ে যাবে। ভুলে যাবেন না, আমরা একটা দল। তাই রক্ষণ হোক বা আক্রমণ, আমাদের দল হিসেবেই কাজ করতে হবে।
দিমিত্রিয়স পেট্রাটস এখনও ভারতে আত্মপ্রকাশ করেননি। তিনি কি হিরো আইএসএলে আপনার তুরূপের তাস হয়ে উঠতে চলেছেন? ওঁকে নিয়ে আপনি কতটা আশাবাদী?
দিমিত্রিয়স একশো শতাংশ তৈরি। ওর অনেক গুণ আছে আর ওর পারফরম্যান্সও এখন যথেষ্ট ভাল। আশা করি ও প্রতি ম্যাচেই ওর প্রতিভার প্রমাণ দেবে।
আশিস রাই, আশিক কুরুনিয়ান, হ্নামতে, ফারদিন আলির মতো দলের নতুন ছেলেদের নিয়ে কী বলবেন?
সব খেলোয়াড়দের সুরক্ষিত রাখাই আমাদের স্টাফদের কাজ। একই উদ্দেশ্যেই কাজ করি আমরা। এই নতুন ছেলেরাই আমাদের ভবিষ্যৎ এবং ওদের সেরা মুহূর্তটা ওদের কাছে এনে দেওয়া খুব জরুরি। প্রতি ট্রেনিং সেশনেই দলের সিনিয়ররা শিক্ষকের ভূমিকা পালন করে। এটাও ওদের পক্ষে খুবই ভাল।
এই মরশুমে আপনাদের ছেলেদের সমর্থকদের সামনে খেলতে হবে। দলের অনভিজ্ঞ সদস্যদের কি এই ব্যাপারটা চাপে রাখবে বলে মনে করেন?
সমর্থকদের সামনে খেলার অভিজ্ঞতাটা অসাধারণ। ওরা আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুঃসময়ে ওরাই আমাদের পাশে থাকবে এবং আমাদের সমর্থন জোগাবে। ওদের সামনে খেলা তাই চাপের হতে যাবে কেন?
(লেখা আইএসএল ওয়েবসাইট থেকে)
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: Facebook, Twitter, Google