জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: Boris Becker সম্পত্তি লুকিয়ে নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু সেই গোপনতা আদালতের কাছে ফাঁস হয়ে যায়। ফলে ব্রিটেনের দেউলিয়া আইনে দোষী সাব্যস্ত হন প্রখ্যাত টেনিস খেলোয়াড় বরিস বেকার। শুক্রবার তাঁকে আড়াই বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনালেন লন্ডনের সাউথওয়ার্ক ক্রাউন কোর্টের বিচারপতি ডেবোরা টেলর।
প্রায় ২৫ লক্ষ পাউন্ডের সম্পত্তি গোপন করে গত মার্চ মাসে ব্রিটেনের আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন বরিস। ৩টি উইম্বলডন এবং ৬টি গ্র্যান্ড স্লাম জয়ী এই খেলোয়াড় ভেবেছিলেন, নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করে পার পেয়ে যাবেন। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া অনেকগুলি মামলার মধ্যে চারটিতে একেবারে ফেঁসে যান তিনি। শেষমেশ জেল খাটার সাজা শুনলেন বছর চুয়ান্নর বরিস। তবে বিচারপতি টেলর জানিয়েছেন, আড়াই বছরের মধ্যে বরিসকে অন্তত ১ বছর ৩ মাস জেলে কাটাতেই হবে। বাকি সময়টা তিনি জামিনে জেলের বাইরে থাকতে পারবেন।
২০১৭ সালে বরিস ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া ঋণ শোধ করতে না পারায়, তাঁকে দেউলিয়া ঘোষণা করা হয়। তখন তাঁর দেনার পরিমাণ প্রায় ৫ কোটি পাউন্ড। স্পেনের মায়োর্কাতে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি কিনতে গিয়ে তিনি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই ঋণের কোনও কিস্তিই তিনি শোধ করতে পারেননি। পরে জানা যায়, বরিস নিজের সম্পত্তি লুকিয়ে রেখেছিলেন ব্যাঙ্কের চোখে ধুলো দিয়ে। জার্মানিতেও তাঁর সম্পত্তি ছিল। শুধু তাই নয়, তিনি নিজের বিজনেস অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষ লক্ষ পাউন্ড তাঁর স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেছিলেন। দু’টি উইম্বলডন পদকের কথাও বেমালুম চেপে যান।
প্রায় ২০টি মামলায় ছাড় পেয়ে গেলেও শেষমেশ ৪টি মামলা তাঁকে বেঁধে ফেলে আষ্টেপৃষ্ঠে। আদালতকেও ভুল পথে পরিচালিত করেন বরিস। তিনি জানান, তাঁর অনেকগুলো পুরস্কার এ পদক কোথায় রয়েছে তা জানেন না। এমনকি, প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের কারণে তাঁর ৫ কোটি ডলার গচ্চা গিয়েছে। আদালতে যদিও প্রমাণ হয়েছে, বরিস তাঁর সম্পত্তির কথা লুকিয়েছেন। সে কারণেই দেউলিয়া আইনে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং আড়াই বছরের সাজা।
সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, এ দিন আদালতে সাজার কথা শোনার আগে ও পরে বরিসের মধ্যে কোনও পরিবর্তন দেখা যায়নি। বিচারপতি টেলরও প্রকাশ্যে জানান, বরিসের মদ্যে তিনি কোনও অনুশোচনাও দেখেননি। এমনকি নম্র আচারণও কোথাও নজরে পড়েনি বরিসের।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)