Sanjiv Goenka-র ক্রিকেট ভাগ্য অধিনায়ক বদলেও কেন থমকে

Sanjiv Goenka

ফুটবলে যতটা ভালো সময় কাটাচ্ছেন Sanjiv Goenka, ক্রিকেটে ঠিক ততটাই খারাপ অবস্থা। মোহনবাগান যখন সাফল্যের শিখরে থাকার রেকর্ড গড়ছে পর পর মরসুমে, তখন বার বার মুখ থুবড়ে পড়তে হচ্ছে লখনউ সুপার জায়ান্টকে। আর তাতেই মাথা ঠিক রাখতে পারছেন না দলের অন্যতম মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। গত মরসুমে লখনউ সুপার জায়ান্টের অধিনায়ক কেএল রাহুলের সঙ্গে মাঠের মধ্যেই অভব্য ব্যবহারের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। তার জন্য কম সমালোচনার মুখ পড়তে হয়নি তাঁকে। এবার হয়তো সে কারণেই নিজেকে সংযত রেখেছেন তিনি। বদল হয়েছে অধিনায়কও। তবে তাতে ফলের পরিবর্তন খুব একটা হয়নি।

গত আইপিএল মরসুমে কেএল রাহুলের অধিনায়কত্বে লখনউ দল শেষ করেছিল সাত নম্বরে। ১৪ ম্যাচে সাতটি জয় ও সাতটি হারসহ শেষ দলের পয়েন্ট ছিল ১৪। এই মরসুমেও এখন লখনউ দাঁড়িয়ে রয়েছে সেই সাত নম্বরে। ১১টি ম্যাচ এখনও পর্যন্ত খেলেছে, তার মধ্যে পাঁচটি জিতেছে এবং ছ’টিতে হেরেছে। তবে এখনও আইপিএল-এর ময়দান থেকে এমন কোনও ছবি উঠে আসেনি, যেখানে অধিনায়ক ঋষভ পন্থের উপর ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, যেটা কেএল রাহুলের সঙ্গে হয়েছিল।


এর মধ্যে আরও একটি ঘটনাও ঘটেছে আইপিএল ২০২৫-এর ময়দানে। লখনউ বনাম দিল্লির ম্যাচে সঞ্জীব গোয়েঙ্কা ও কেএল রাহুলের সাক্ষাৎ। যেখানে দেখা গিয়েছে, প্রাক্তন মালিকের সঙ্গে কোনও রকমে হাত মিলিয়ে এক মুহূর্ত না দাঁড়িয়ে চলে যাচ্ছেন রাহুল। গোয়েঙ্কা কিছু বলার চেষ্টা করছেন, কিন্তু তা খানিকটা অবজ্ঞা করেই এগিয়ে যান রাহুল। এখানে মনে রাখতে হবে গত মরসুমে লখনউ দলের অধিনায়ক থাকার সময় কেএল রাহুলের ফর্মও ছিল একদম তলানিতে, যেটা এবার দেখা যাচ্ছে ঋষভ পন্থের। রীতিমতো খারাপ ফর্মের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

রবিবার পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ম্যাচে ২৩৬ রান তাড়া করতে নেমে পন্থ মাত্র ১৮ রান করে আউট হয়ে যান যখন তাঁর ক্রিজে টিকে থাকাটা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আয়ুষ বাদোনীর ৭৪ আর আব্দুল সামাদের ৪৫ রান কিছুটা আশা জাগিয়েছিল ঠিকই কিন্তু ১৯৯ রানে থেমে যায় লখনউয়ের ইনিংস। পন্থ আউট হওয়ার পর গ্যালারিতে সঞ্জীব গোয়েঙ্কার শরীরীভাষা রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। প্রতি মরসুমেই কোনও না কোনও কারণে ভাইরাল হচ্ছেন লখনউ মালিক। তবে নিন্দুকেরা বলেন, বড্ড বেশি দলের মধ্যে তাঁর হস্তক্ষেপই খারাপ পারফর্মেন্সের কারণ।

তিনি হতে পারেন মালিক, কিন্তু ক্রিকেটের দর্শক হওয়া আর ক্রিকেট বোঝা দুটো আলাদা বিষয়। আর সেটা যখন মালিকপক্ষ ভুলে যান তখনই হয় সমস্যা। কে কীভাবে খেলবে, আর কী দল নামাবে টিম ম্যানেজমেন্ট সেটা মনে দলের ক্রিকেট বোদ্ধাদের হাতেই ছাড়া উচিত। কলকাতা নাইট রাইডার্সের মালিক শাহরুখ খান সম্পর্কে বার বার ঠিক উল্টো তথ্যটাই উঠে এসেছে তাঁর দলের ক্রিকেটার, কোচদের থেকে। তিনি নাকি কখনওই ক্রিকেটীয় বিষয়ে নাক গলান না। দল হারলে ড্রেসিংরুমে গিয়ে রাগ দেখানোর বদলে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য উৎসাহ দেন, জিতলে উচ্ছ্বাস করেন। যার ফল তারা তিনবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: FacebookTwitterGoogle