এতদিনের সব অপবাদের জবাব দিলেন Dimitrios Diamantakos

Dimitrios Diamantakos

গত মরসুম থেকে শুধুই শুনতে হয়েছে অপবাদ। শুনতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের বোঝা তিনি। ঘাড়ে চেপে বসেছে, বয়ে যেতে হবে। সমর্থক থেকে সংবাদ মাধ্যম, একই সুরে গেয়েছে। এই মরসুমে তাঁকে ছেটে ফেলার চেষ্টা করা হতে পারে বলেও শোনা গিয়েছিল কিন্তু বাধ সাধল দীর্ঘ চুক্তি। চুক্তি ভেঙে তাঁকে বাদ দিতে হলে বড় জরিমানা দিতে হবে ক্লাবকে, তার থেকে তাঁকে রেখে দেওয়াই শ্রেয় বলে মনে করেছে ক্লাব। শেষ পর্যন্ত ক্লাবের আস্থার মান রাখলেন Dimitrios Diamantakos ।

আইএসএল-এর সর্বোচ্চ স্কোরার হওয়ার পরই কেরালা ব্লাস্টার্স থেকে ইস্টবেঙ্গলের যোগ দিয়েছিলেন দিয়াছি দিয়ামান্তাকস। তার পর থেকে তাঁকে ঘিরে স্বপ্ন দেখতে পারেনি লাল-হলুদ সমর্থকরা। একটা দীর্ঘ সময় চোট ভুগিয়েছে তাঁকে অথবা মাঠে নামলে দলকে ভুগিয়েছেন তিনি। কেরালায় তাঁর সেই চেনা ফুটবল পাওয়া যায়নি। তবে মরসুমের প্রথম ডার্বিতে অন্য দিয়ামান্তাকসকে পাওয়া গেল। জোড়া গোল করলেন, যা দু’বছর পর লাল-হলুদ ব্রিগেডকে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে জয় এনে দিল। শেষ এই মাঠে ইস্টবেঙ্গল জিতেছিল ১২ অগস্ট ২০২৩-এর ডুরান্ড ডার্বিতেই।


ফিরে আসি দিয়ামান্তাকসের কথায়, রবিবার ডুরান্ড ২০২৫-এর কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে প্রথম দলে তাঁকে রাখেননি কোচ অস্কার ব্রুজোঁ। হামিদ ১৭ মিনিটে চোট পেয়ে বেরিয়ে না গেলে তাঁর কখন শিকে ছিড়ত তা কোচও হয়তো নিশ্চিত ছিলেন না। তবে হামিদের চোটে শাপে বর হল ইস্টবেঙ্গলের। যদিও মরসুমের শুরুতেই দলের গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলারের চোট কোনও দলের জন্যই বর হতে পারে না। তবে দিমির জন্য হামিদের চোট আশীর্বাদের মতোই। এদিন প্রান দিয়ে খেললেনও। একজন স্ট্রাইকারের যা যা করা উচিত গোলের জন্য সবটা করলেন। আর সেই নিয়ন্ত্রিত ফুটবলেই দুই অর্ধে দুই গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করলেন।

প্রথমটি এল পেনাল্টি থেকে। এর আগে পর্যন্ত তিনি পেনাল্টি নিতে গেলেও সবাই আতঙ্কে থাকতেন। আর দ্বিতীয় গোলের পিছনে রয়ে গেল টিম গেমের অনবদ্য নজির। বক্সের মধ্যে থেকে যা ফিনিশ করতে ভুল করেননি তিনি। শেষে একটা গোল হজম করতে হল ঠিকই তবে বাকিটা সামলে নিল ইস্টবেঙ্গলের অনবদ্য ডিফেন্স লাইন। আর মাঝ মাঠ সম্পর্কে যত বলব ততটাই কম বলা হবে। পর পর আক্রমণ তৈরি করলেন, ক্রেসপো, এডমুন্ডরা। এই মরসুমে কিন্তু দিমি, হামিদদের জন্য বল বাড়ানোর লোকের অভাব হবে না। ফুটবলে বলা হয়, যে দলের মাঝমাঠ যত শক্তিশালী সে দলের স্ট্রাইকিং ফ্রন্টের স্কোরিং দক্ষতা ততটাই ভালো। বার্সেলোনার মেসি আর আর্জেন্টিনার মেসির মধ্যের পার্থক্য দেখাতে গিয়েও বিশেষজ্ঞরা এই উদাহরণ তুলে ধরেছেন।

একটা শক্তিশালী মাঝমাঠের সামনে দাঁড়িয়ে ইস্টবেঙ্গল স্ট্রাইকারদের জন্য কিন্তু এখন নিজেদের সেরাটা দেওয়ার সুযোগ এসেছে। শুধু কি মাঝমাঠ আর ফরোয়ার্ড, এই ডার্বি দেখল ইস্টবেঙ্গলের অলআউট পারফর্মেন্স। যেখানে আনোয়ার, কেভিনের ডিফেন্স লাইন থেকে দলের লাস্ট ডিফেন্স প্রভসুখন সিং গিল নিজেদের নিংড়ে দিলেন। দলের অন্দরের এই বন্ডিংটাই এতদিন মিসিং ছিল লাল-হলুদে। অস্কার ম্যাচের আগের দিন বলেছিলেন, এবার অন্য ইস্টবেঙ্গলকে দেখা যাবে। যেমন বলা তেমন কাজ। শুরু হয়ে গেল অস্কারের হাত ধরে নতুন ইস্টবেঙ্গলের পথ চলা।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবর

জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: FacebookTwitterGoogle