জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: ডুরান্ড কাপে প্রথম জয় পেল এটিকে মোহনবাগান। যদিও সেই জয় এল ইস্টবেঙ্গলের আত্মঘাতী গোলে। অন্যদিকে গোলের মুখ খূলতে পারল না লাল-হলুদ বাহিনী। রবিবার ডুরান্ড কাপে ২০২২-এ (Durand Cup 2022, EEB vs ATKMB) মুখোমুখি হয়েছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল ও এটিকে মোহনবাগান। কলকাতার বুকে প্রায় আড়াই বছর পর ডার্বি ঘিরে সমর্থকদের আবেগ ছিল আকাশছোঁয়া কিন্তু তার ছিটেফোটাও খুঁজে পাওয়া গেল না মাঠে। ফুটবলের মান নিয়েও প্রশ্ন থাকতে পারে। প্রশ্ন উঠতেই পারে আন্তর্জাতিক মানের আইএসএল খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে যদি এই ফুটবল হয় তাহলে কী দোষ করেছিল আই লিগ।
এবার আসা যাক টুর্নামেন্টের কথায়। এবার ডুরান্ড কাপের আসর বসেছে কলকাতায়। যার হাত ধরে দীর্ঘদিন পর আবার মাঠে বসে ডার্বি দেখার সুযোগ পেল ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান সমর্থকরা। ডার্বি ঘিরে সব সময়ের মতই সাজ সাজ রব ছিল গোটা বাংলা জুড়ে। দুই দলের তাঁবুর বাইরে সমর্থকদের লাইন পুরনো স্মৃতিকে ফেরাচ্ছিল বার বার। গরম, ঝড়, বৃষ্টিকে মাথায় করেই টিকিটের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে কেটে গিয়েছে সমর্থকদের। মাত্র ৬০ হাজার টিকিট। আর সেই টিকিটের চাহিদা লাখ লাখ। অতীতে এই যুবভারতীতে একলাখ দর্শক খেলা দেখতে পারতেন। এখন অবশ্য তা অতীত। তার মধ্যেই যাঁরা অত কষ্ট করে টিকিট কেটে স্টেডিয়ামে পৌঁছলেন তাঁরা কী পেলেন?
৯০ মিনিটের টান টান উত্তেজনা যেটা গ্যালারিতে ছিল তার কিছুই ছিল না মাঠে। দুই দল মিলিয়ে ২২ জনের মধ্যে মাঠে খেলছিলেন মাত্র তিনজন বাঙালি। বাকিদের কাছে এটা আর একটা ম্যাচ মাত্র। আবেগ কোথায়? এই ম্যাচ তো আবেগের। এটাই তো বাংলার ফুটবলের প্রতিনিধিত্ব করে। কিন্তু সে সব আর নেই। তাই গ্যালারি আবেগে মোড়া থাকলেও মাঠ ছিল আবেগহীন। যার প্রভাব ফুটবলেও দেখা গেল। দীর্ঘ সময় মোহনবাগান আক্রমণ করে গেল আর ইস্টবেঙ্গল রক্ষণ সামলে গেল। সব প্রায় হাফ চান্স তৈরি হল। ইস্টবেঙ্গলেরও যা গোলের সুযোগ তৈরি হল হাতে গুনে বলা যায়। ১-০ গোলে এই ম্যাচ মোহনবাগান জিতে নিল ঠিকই কিন্তু তাও কর্নার থেকে সেম সাইড গোলে। ইস্টবেঙ্গলের সুমিত পাসির পায়ে গেলে বল ঢুকে যায় ইস্টবেঙ্গল গোলে। এ ছাড়া আর বলার তেমন কিছু নেই।
ডুরান্ডের প্রথম দুই ম্যাচে মোহনবাগানের ফল একটি হার একটি ড্র আর ইস্টবেঙ্গলের দুটো ড্র। দুই দলের কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন ও হুয়ান ফেরান্দোর কাছে অবশ্য অশনী সঙ্কেত পৌঁছে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। দলের ছেলেদের খেলা কোনওভাবেই তাঁদের সন্তুষ্ট করতে পারে না। এই খেলা নিয়ে অনেক দূর ভাবার কোনও জায়গা নেই। তবে সদর্থক দিক হল, ডুরান্ডের আগে খুব বেশি সময় পায়নি কোনও দলই। তার মধ্যে ইস্টবেঙ্গলের কোচ এবং দল দুটো বদলে গিয়েছে। তাই গুছিয়ে নিতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। অন্য দিকে মোহনবাগান পুরনো দল প্রায় ধরেই রেখেছে। ধরে রেখেছে কোচকেও। সেদিক থেকে দেখতে গেলে মোহনবাগানের খেলায় আরও একটু ধার দেখতে পাওয়ার কথা ছিল।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: Facebook, Twitter, Google