জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: ইস্টবেঙ্গল-পিয়ারলেস ম্যাচ শেষে তাণ্ডব লাল-হলুদ শিবিরের। হার মানতে না পেরে রেফারির উপর চরাও হলেন ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা। তার সঙ্গে হাত মেলালেন কর্তারাও। কর্তা, ফুটবলার সবাই যখন ময়দানে নেমে পড়েছেন তখন আর দর্শকরাই বা পিছিয়ে থাকেন কিভাবে? তাঁরাও হাতের কাছেএ যা পেলেন তা নিয়েই হাত মেলালেন। শেষ পর্যন্ত লাঠি চার্জ। চার সমর্থক আহত। ক্লাবের পক্ষ থেকে এক্কেবারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হওয়ার পরিকল্পনা। এই সবের মধ্যে ফুটবলটাই হারিয়ে গেল।
সোমবার ইস্টবেঙ্গল মাঠেএ কলকাতা লিগের ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল ও পিয়ারলেস। ম্যাচ শেষ হয় ১-০ গোলে। তবে সেটা পিয়ারলেসের পক্ষে। পেনাল্টি থেকে ৬৫ মিনিটে গোল করে পিয়ারলেসকে জেতান আনসুমানা ক্রোমা। এই সেই ক্রোমা যিনি প্রাক্তন মোহনবাগানী এবং এই সিএফএল-এই পিয়ারলেস মোহনবাগানকেও হারিয়ে ৩-০ গোলে। এখানেও জোড়া গোল করেছিলেন ক্রোমা।
বৃষ্টিতে এমনিতেই মাঠগুলোর যা অবস্থা তাতে ফুটবলাররা কখন চোট পেয়ে যাবেন সেটাই সব থেকে বড় চিন্তার কারণ হওয়ার কথা। কিন্তু তার মধ্যেই চলছে খেলা। এদিন আবার ম্যাচের মধ্যেই প্রবল বৃষ্টি হয়। সুতরাং ভেজা মাঠে খেলার গতি স্বাভাবিকভাবেই মন্থর হয়ে যায়। তার মধ্যেই ম্যাচ জিতে নেয় পিয়ারলেস। বাকি সময়টা ইস্টবেঙ্গল কী করল সেটাও লাখ টাকার প্রশ্ন।
(খেলার আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)
ভিতরে ভিতরে যে ক্ষোভটা রয়ে গিয়েছিল তা কে জানত। ম্যাচ শেষ হতেই ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা তেড়ে যান রেফারির দিকে। তাঁকে ধাক্কা দিতে থাকেন। সারদা টিভির ক্যামেরায় স্পষ্ট ধরা পড়ে ডিকা রেফারির জার্সি ধরে টানছেন। পুলিশ কোনও রকমে ইস্টবেঙ্গল ফুটবলার ও কর্তাদের হাত থেকে রেফারিদের বাঁচিয়ে ভিতরে নিয়ে যায়। ততক্ষণে তেতে উঠেছে গ্যালারি। উড়ে আসতে থাকে জলের বোতল। পুলিশ লাঠি চার্জ করতে বাধ্য হয়।
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)
এই হারে ইস্টবেঙ্গল অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে। পিয়ারলেস আবার এক নম্বরে উঠে এল। মোহনবাগান জর্জ টেলিগ্রাফকে হারিয়ে একনম্বরে মাত্র একদিনই থাকতে পারল। পিয়ারলেসের জয়ে নেমে যেতে হয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। ডার্বি থেকেই ভাল ফুটবল খেলতে শুরু করেছে মোহনবাগান। সেই ম্যাচ ড্র হয়ে গেলেও সেদিনই ইস্টবেঙ্গলকে ফুটবল বুদ্ধিতে মাত দিয়েছিলেন বাগান কোচ।
দেখুন সেই মুহূর্তের ভিডিও (সৌজন্য সাধনা টিভি)